কলেজ ক্যাম্পাসে বন দেবীর মন্দির 

College Campus: প্রাচীন রাজবাড়ি আজ নামী কলেজ, ক্যাম্পাসেই পূজিতা জাগ্রত বনদেবী

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামীণ এলাকার মানুষ শক্তির দেবতা হিসেবে বিভিন্ন লৌকিক দেবতার আরাধনা করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গাছের নীচেই পূজিত হন দেব-দেবী। তবে এমন কি দেখেছেন, কলেজ ক্যাম্পাসেই রয়েছে লৌকিক দেবতার মন্দির। কলেজের নজরদারির পাশাপাশি বছরে নির্দিষ্ট দিনে ধূমধাম করে হয় পুজো। সাড়ম্বর আয়োজন এর মধ্য দিয়ে পালন হয় লৌকিক এই দেবতার পুজো। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে রয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই লৌকিক দেবীর অবস্থান।

এই লৌকিক দেবতাকে স্থানীয় জঙ্গলে ঘেরা মূলবাসী মানুষের আরাধ্য দেবতা হিসেবে মনে করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় বা গোপ কলেজ। এলাকায় মহিলাদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশে বহু বছর আগে রাজাদের রাজবাড়ি অর্থাৎ গোপ প্যালেস থেকে শুরু হয় মহাবিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। তখন এই গোপ সংলগ্ন এলাকায় ছিল আদিবাসী, মূলবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। গোটা এলাকা ছিল জঙ্গলাকীর্ণ। তাই এলাকার মানুষ শক্তির দেবতা হিসেবে লৌকিক দেবতা বনদেবীর পুজোর প্রচলন শুরু করেন।

আরও পড়ুন : আজ পঞ্জিকামতে কখন শুরু জন্মাষ্টমী? কতক্ষণ থাকবে এই পুণ্যতিথি? জানুন অমৃতযোগ, মাহেন্দ্রযোগ, বারবেলার সময়

ধীরে ধীরে সেই পুজোর প্রসার বাড়ে। বর্তমানে রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রাচীর ঘেরা কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে এই বনদেবতার মন্দির।কলেজ ক্যাম্পাসের এক পাশেই বনদেবীর অবস্থান। রয়েছে মন্দির। গাছের নিচেই দেবীর অবস্থান। ইতিহাস গবেষকেরা মনে করেন, জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় বসবাস করা মানুষের প্রধান আরাধ্য দেবতা এবং শক্তির দেবী এই বনদেবী।

পৌষ সংক্রান্তির সময়ে বড় পুজো এবং মেলাও বসে। তবে এই লৌকিক দেবতা এবং দেবস্থান সংরক্ষণ করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোপ কলেজ ক্যাম্পাসে এলেই দেখতে পাবেন এই মন্দির। তাই একবার ঘুরে দেখতে পারেন কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা সংরক্ষিত এই বনদেবীর মন্দির।