ফের সিবিআই-এর ডাক!

CBI-RG Kar Case: ‘আপনি ওখানে কী করছিলেন?’ ঘটনার দিনের সেমিনার রুম নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য! সোমে প্রশ্নের মুখে ‘সোম’

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে রবিবার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ির পাশাপাশি হাসপাতালের তৎকালীন কর্তাব্যক্তিদের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’ চরিত্র হয়ে উঠেছেন আরজি করের ফরেন্সিক সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোম। রবিবার সকালে তাঁর কেষ্টপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে বেরিয়েও আসেন তাঁরা। এর পর গাড়ি করে সস্ত্রীক নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু, সোমবার ফের তাঁকে ডাকল সিবিআই।

কেন? আসলে সোমবার ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, যেদিন আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটে, সেদিন সেমিনার রুমের মধ্যে প্রচুর মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে রয়েছেন দেবাশিস সোমও। ‘ক্রাইম সিনে’ এত মানুষের উপস্থিতি কীভাবে ঘটতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সূত্রের খবর, যেহেতু সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে দেবাশিস সোমকেও। তাই সেদিন তিনি ঘটনাস্থলে কী করছিলেন, তা তাঁর কাছ থেকেই জানতে চায় সিবিআই। সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই এদিন ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের ‘ডানহাত’ কে? শেষমেশ ‘জেনেই’ ফেলল সিবিআই! খোঁজ মিলল ‘সিং’য়েরও, ভয়ঙ্কর অভিযোগ

গত ৮ অগাস্ট রাতে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা। ধর্ষিতা ও খুন হন হাসপাতালেরই তরুণী চিকিৎসক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে ঘটনাটি ঘটে ভোর রাত অর্থাৎ ৪ টের আশেপাশে। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহ। আর ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর সেই রুমে ঢোকা বেরনোর ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই, গিজগিজ করছে মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে মিশে ছিলেন দেবাশিস সোমও।

দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আরজি করের শবাগারে দুর্নীতিতে তিনিই ছিলেন সন্দীপ ঘোষের প্রধান সহায়তাকারী। মৃতদেহ ও মৃতদেহের অঙ্গ পাচারের যে অভিযোগ রয়েছে, তাতেও অভিযোগ হিসেবে উঠে আসছে দেবাশিস সোমের নাম। এছাড়া মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ও তা নিহতের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও মোটা টাকা তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালে। সেই কারণে ফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আরজি করের এই অধ্যাপক।