সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড বিটা ভার্সন 2.24.18.13-এ পাসকি-এর মাধ্যমে ব্যাক আপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখার কাজ শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে টেক বিশেষজ্ঞরাও একমত। তবে এই ফিচারের উপর এখনও কাজ চলছে।

সাবধান! ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না, হ্যাকারদের হাতে পড়ে যেতে পারে আপনার Whatsapp অ্যাকাউন্ট

বর্তমানে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে Whatsapp। দ্রুত গতি এবং সুবিধার কারণে দৈনন্দিন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মানুষের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে এই জনপ্রিয় অ্যাপ। Whatsapp-এর দারুণ অন্যতম স্ট্যান্ড-আউট ফিচার হল end-to-end encryption। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী যাঁর সঙ্গে চ্যাট করছেন, তাঁদের মধ্যে হওয়া কথোপকথন নিরাপদ থাকবে। শুধু তা-ই নয়, শেয়ার করা ছবি, ভিডিও থাকবে সুরক্ষিত। অন্য কেউ তা দেখতে পাবেন না।

যে ভুলগুলির কারণে Whatsapp হ্যাকিংয়ের মুখে পড়ে:
ওটিপি অথবা ভেরিফিকেশন কোড:
ওটিপি কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ ভেরিফিকেশন কোড কারও সঙ্গে শেয়ার করা চলবে না। এই কোড একবার অন্য কারও হাতে পড়ে গেলে কিন্তু হ্যাকিংয়ের মুখে পড়তে পারে Whatsapp।

দুর্বল টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন পিন:
টু-স্টেপ ভেরিফিকেশনে সহজ-সরল অথবা সহজে অনুমানযোগ্য পিন তৈরি করা হলে Whatsapp অ্যাকাউন্ট দুর্বল হয়ে যায়। আর হ্যাকাররা এই সুযোগে হ্যাক করে নিতে পারে অ্যাকাউন্ট।

সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক:
মেসেজ এবং ই-মেলের মাধ্যমে অজ্ঞাতপরিচয় এবং সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করলে ফিশিং হানার মুখে পড়তে পারে Whatsapp অ্যাকাউন্ট। আসলে এই ধরনের লিঙ্ক ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করতে পারে।

কোনও সাবধানতা ছাড়া পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার:
জনবহুল স্থানে অসুরক্ষিত ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলেও বিপদ বাড়তে পারে। আসলে এই সময় কোনও ভিপিএন ব্যবহার না করলে হ্যাকারদের হাতে ব্যবহারকারীর সমস্ত ডেটা পড়ে যেতে পারে।

অ্যাপ আপডেটে গাফিলতি:
Whatsapp সময়ে সময়ে আপডেট না করা হলে এর নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। আসলে আপডেটের মধ্যে থাকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটির জন্য প্যাচেস।

অসুরক্ষিত স্থানে ফোন রাখা:
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড, পিন অথবা বায়োমেট্রিক লক ঠিক মতো সেট করা না হলে অসুরক্ষিত স্থানে ফোন রাখলে তা হ্যাকারদের হাতে পড়ে যেতে পারে।

Whatsapp ওয়েব সেশনে গাফিলতি:
শেয়ার্ড অথবা পাবলিক কম্পিউটারে নিজের Whatsapp ওয়েব সেশন খোলা রাখলে হ্যাকাররা খুব সহজেই নিশানা করতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর Whatsapp অ্যাকাউন্টকে।

ছদ্ম স্ক্যামের ফাঁদে পা দেওয়া:
হ্যাকাররা বিশ্বস্ত বন্ধু বা কন্ট্যাক্টের ভান করে ব্যক্তিগত তথ্য অথবা ভেরিফিকেশন কোড জানতে চান। এই ধরনের স্ক্যামের ফাঁদে পা দিলেই সমূহ বিপদ!

আলাদা আলাদা প্ল্যাটফর্মে একই ধরনের পাসওয়ার্ডের ব্যবহার:
একাধিক অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। এতে অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়।