নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতা এবং হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা৷ ছবি- পিটিআই

Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে অশান্তি পাকাল কারা? পুলিশের ভরসা সেই ফেসবুক, দায়ের ১১টি মামলা

কলকাতা: নবান্ন অভিযানে পুলিশের উপরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মতো অভিযোগ এনে একাধিক মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ৷ সবমিলিয়ে এগারোটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷

এর মধ্যে হেস্টিংস থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ আলিপুর, ময়দান, হেয়ার স্ট্রিট, মুচিপাড়া, আহমার্স্ট স্ট্রিট, বড়বাজার, উত্তর বন্দর এবং জোড়াসাঁকো থানায় একটি করে মামলা দায়ের করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷ রাতে নিউ মার্কেট থানায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়৷

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম, একমঞ্চে মমতা-অভিষেক! বুধবারেই পাল্টা জবাব?

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় রাত পর্যন্ত অন্তত দেড়শো জনকে আটক করা হয়েছে৷ পুলিশের উপরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে আরজি কর ভাঙচুর কাণ্ডের মতোই এবারেও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ছবি দিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সাধারণ মানুষের সাহায্য চাওয়া হয়েছে৷ আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনাতেও একই পন্থা অবলম্বন করে অনেককেই চিহ্নিত করতে পেরেছিল কলকাতা পুলিশ৷

নবান্ন অভিযানে অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে অন্তত ২৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে অনেকের আঘাতই গুরুতর৷ দেবাশিস চক্রবর্তী নামে কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন৷ শহরের একটি বেসরকারি চোখের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে৷

এ দিন পুলিশের বিরুদ্ধে যেমন বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে, একই ভাবে বাবুঘাট, প্রিন্সেপ ঘাটের মতো এলাকায় পাল্টা পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন লাগানো, গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে৷