প্রতীকী ছবি

নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় আদিবাসী নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার! ধর্ষণ করে খুন?

বিশ্বজিৎ মিশ্র, ফাঁসিদেওয়া: নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় আদিবাসী নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার। চাবাগানের নালায় মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার পচাগলা মৃতদেহ। ফাঁসিদেওয়ার গয়াগঙ্গা চাবাগানের ঘটনা। ধৃত রাকেশ খেস, মৃত নাবালিকার কাকা। চাবাগানের গিটমিট লাইনে চা শ্রমিকদের নজরে আসতেই খবর চাউর হয়। পরে স্বয়ং জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।

বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই আদিবাসী নাবালিকার মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালে পুলিশ ব্যারিকেড করে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ১৮ অগাস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল নবম শ্রেণির এই নাবালিকা! পুলিশে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করার পর এদিন মৃতদেহের শরীরের কাপড় দেখে পুলিশকে পরিচয় দেন মৃতের মা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্জন এলাকায় মাটি পুঁতে এই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃষ্টি হ‌ওয়ায় মাটি আলগা হতেই মৃতদেহ উঠে আসে। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। যদিও জেলা পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ জানান, অভিযোগের পর অনেকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃতের কারণ পরিস্কার আসবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে মেডিক্যাল টিম গঠন করে ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি নিয়ে। যদি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তবে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ ও দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হবে।

শ্বাসরোধ করে গলায় দড়ি দিয়ে খুন বলেই অনুমান। রাগের বশে না অন্য কোনও কারণে এই খুন তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পর  বোঝা যাবে। খুনের মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আজ মেডিক্যাল টিম গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।