রং এর সাজের অপেক্ষায় দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা।

West Bardhaman News: এখনও বাকি সপ্তাহ তিনেক, কিন্তু আগেভাগেই তৈরি হয়ে থাকছে বিশ্বকর্মা পুজোর মূর্তি! কেন?

পশ্চিম বর্ধমান: ক্যালেন্ডারে ভাদ্রপদ মাস শুরু হতেই বাঙালি অপেক্ষা শুরু করে দেয় বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য। কারণ বিশ্বকর্মা পুজো পেরিয়ে গেলেই বাঙালির মূল উৎসব দুর্গাপুজোর আমেজটা আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। অনেকেই বলেন পুজো এলেই শেষ হয়ে যায়।

কিন্তু ‘পুজো আসছে’ এই ব্যাপারটা অনেক বেশি আনন্দের। কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজোর সপ্তাহ তিনেক বাকি থাকলেও মৃৎশিল্পীরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন মৃৎশিল্পীরা।

আরও পড়ুন: উল্টো চাল শুরু হবে বৃহস্পতির! কপাল খুলে যাবে ৩ রাশির, ধনসম্পদে উপচে পড়বে ঘর, সৌভাগ‍্যের সেরা সময়

মূর্তি তৈরির মূল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি থাকছে শেষ মুহূর্তের কাজগুলি। কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজোর তো এখনও সপ্তাহ তিনেক বাকি। তাহলে এত আগে থেকে প্রস্তুতি কেন? শিল্পীরা বলছেন, বিশ্বকর্মা পুজো পেরিয়ে গেলেই এক এক করে বিভিন্ন পুজো আসবে।

দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো। তখন শিল্পীদের চাপ অনেকটা বেড়ে যাবে। আর সেই সমস্ত কাজ এগিয়ে রাখতে, আগে থেকে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার মূর্তি তৈরির কাজ এগিয়ে রাখছেন তারা।

আরও পড়ুন: ছবিতে আছে ৪ জন লোক, ৩ জনকে দেখতে পাচ্ছেন, চতুর্থ জন কোথায় লুকিয়ে বলুন তো? জিনিয়াসরাই পারবে ১০ সেকেন্ডে খুঁজতে

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা অনেকটা ভাবিয়ে তুলেছে শিল্পীদের। মূর্তি কারিগররা বলছেন, এখন পুজোর মরশুমের সময় বৃষ্টি হতে দেখা যায়। তখন কারিগরদের বাড়তি ভোগান্তি হয়। মৃন্ময়ী মূর্তি শুকনো করতে গিয়ে পোড়াতে হয় অনেক কাঠখড়।

তাতে মূর্তি তৈরির জন্য খরচও বেড়ে যায়। নষ্ট হয় সময়। তাই আগে থেকে মূর্তি তৈরির মূল কাজগুলি তারা এগিয়ে রাখছেন। যাতে করে মূর্তি শুকনো করার জন্য পর্যাপ্ত সময় তাদের কাছে থাকে। এমনটা না হলে প্রতিমায় শেষ মুহূর্তের প্রলেপ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে শিল্পীদের।

মূর্তি তৈরির ওয়ার্কশপগুলিতে দেখা গিয়েছে, দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার ছোট, বড় বিভিন্ন মাপের একাধিক প্রতিমা তৈরি করে রাখা হয়েছে। কাঠামো তৈরির পর তাতে দেওয়া হয়েছে মাটির প্রলেপ। শিল্পীরা বলছেন, এরপর ওই কাঠামোয় দেওয়া হবে সাদা রঙ।

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

তারপর মূর্তি তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ অর্থাৎ মূর্তি রং করা, সাজানোর মত কাজগুলি করা হবে। কিছুটা আগেভাগেই বিশ্বকর্মার মূর্তি তৈরির কাজ এগিয়ে রাখতে চাইছেন তারা। কারণ তারপর শিল্পীদের মনোনিবেশ করতে হবে দুর্গা প্রতিমার দিকে।

নয়ন ঘোষ