ইথিওপিয়ার নিজস্ব ক্যালেন্ডারে আছে ১৩ টা মাস

General Knowledge: বলুন তো কোন দেশের ক্যালেন্ডারে ১ বছরে ১৩ টা মাস? সেখানে এখনও চলছে ২০১৭ সাল! সে দেশের নাম জানেনই না ৯৯% মানুষ

বিশ্বে বৈচিত্র্যের শেষ নেই৷ বিশ্বাস, অনুভূতি, সংস্কৃতির দিক দিয়ে প্রচুর পার্থক্য থাকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে৷ তবে সাধারণত ক্যালেন্ডারের দিক দিয়ে এক সূত্রে বাঁধা থাকে সব দেশ৷ কিন্তু সেখানেও আছে ভিন্নতা৷ বিশ্বে এমন দেশও আছে যেখানে এক বছরে আছে ১৩ টা মাস৷ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি৷ এখানেই শেষ নয়৷ এই দেশ ৭ বছর পিছিয়ে আছে বিশ্বের বাকি অংশের তুলনায়৷

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও৷ সেখানে বলা হয়েছে ইথিওপিয়ার নিজস্ব ক্যালেন্ডারে আছে ১৩ টা মাস৷ ত্রয়োদশতম মাসে মাত্র ৫ দিন আছে৷ লিপ ইয়ারে থাকে ৬ দিন৷ বিশ্বের বাকি অংশে ২০২৪ এসে গেলেও ইথিওপিয়ায় নতুন বছর শুরু হবে ১১ সেপ্টেম্বর৷ এই পার্থক্যের কারণ হল ইথিওপিয়া এখনও প্রাচীন বর্ষপঞ্জী বা ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে৷ এই বর্ষগণনার হিসেব খ্রিস্টীয় ৫২৫ অব্দে তৈরি করেছিল রোমানরা৷ সেটাই এখনও মেনে চলছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া৷

ইতিহাসের দিক থেকেও ইথিওপিয়া বৈচিত্রপূর্ণ৷ এটা একমাত্র আফ্রিকান দেশ, যাকে কোনওদিন গ্রেট ব্রিটেন অধিকার করতে পারেনি৷ মাত্র ৬ বছরের জন্য ইতালি জয় করেছিল এই দেশকে৷ পাশাপাশি, এই দেশকে কফির জন্মস্থান হিসেবেও ধরে নেওয়া হয়৷

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by SafalManzil (@motivationallhindii)

যে প্রাচীন ক্যালেন্ডার নিয়ে এত আলোচনা, সেই ইথিওপিয়ান বর্ষপঞ্জীর নাম ‘গিজ ক্যালেন্ডার’৷ মাসের নামের দিক থেকেও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের থেকে এই বর্ষপঞ্জী আলাদা৷ এই ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসের নাম ‘মেসকেরেম’৷ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের (যে ক্যালেন্ডার বর্তমানে পৃথিবীতে ব্যবহৃত ও প্রচলিত) ১১ সেপ্টেম্বরে নতুন বছর শুরু হয় গিজ ক্যালেন্ডারে৷ মেসকেরেম-এর পর যে মাসগুলি পর পর আসে, সেগুলি হল টিকিমট, হিদার, তাহাস, তির, ইয়াকাটিট, ম্যাগাবিট, মিয়াজিয়া, গিনবট, সেনে, হ্যামলে, নেহাসা এবং শেষ তথা ত্রয়োদশতম মাস প্যাগিউম৷