একটা সময় কেউ বিদেশ থেকে ফিরেছে শুনলেই লোকে হাঁ করে দেখত। বিশেষ করে প্লেনে চাপা ছিল বিশাল গর্বের ব্যাপার। এখন সময় বদলে গিয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবারও হিল্লি-দিল্লি ঘোরেন প্লেনে চেপেই।
ইদানীং বিমানবন্দর আধুনিকীকরণের কাজ চলছে প্রায় সব দেশেই। বিদেশি পর্যটকরা ঝাঁ চকচকে বিমানবন্দর দেখে মুগ্ধ হবেন, দেশের সুখ্যাতি করবেন সেটাই তো কাম্য। কিন্তু সব বিমানবন্দরেই যে আধুনিকীকরণের কাজ চলছে তা কিন্তু নয়, আসলে উপায়ই নেই।
বিমানবন্দর বললেই মনে বিলাসবহুল জায়গার ছবি ভেসে ওঠে। চেক ইন করার পর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বিশ্রাম, আধুনিক সমস্ত সুযোগ সুবিধা মজুত। বিমানবন্দরের মধ্যেই রেস্তোরাঁ, স্পা, কী নেই! কিন্তু সব জায়গায় ছবিটা এক নয়। বিশ্বে এমনও বিমানবন্দর রয়েছে যাকে বিমানবন্দর বলে চিনিয়ে না দিলে চেনার উপায় নেই।
মিরর-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলম্বিয়ার আগুয়াচিকা (Aguachica) শহরে রয়েছে হাকারাতিমা (Hacaritama Airport) বিমানবন্দর। এটাই বিশ্বের সব থেকে ছোট বিমানবন্দর। দুটো ওয়েটিং এরিয়া। একটায় যাত্রী চেক ইন করেন। অন্যটায় চেক আউট।
ট্রাভেল কলম্বিয়া নামের একটি হ্যান্ডেল থেকে এই বিমানবন্দরের ছবি পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একনজরে দেখলে বিমানবন্দর বলে বোঝার উপায় নেই। গাছের নীচে চেয়ার পাতা। সেটাই ওয়েটিং এরিয়া। রোদের মধ্যেই যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন।
ছবির ক্যাপশনে লেখা, লাগেজ চেক করার জন্য কোনও স্ক্যানার মেশিন নেই। সবটাই ম্যানুয়ালি হচ্ছে। আসল কথা হল, এখানে স্ক্যানার মেশিন বসানোর জায়গাই নেই। যাত্রীরা বিমানবন্দরে এসে রোদের মধ্যেই অপেক্ষা করেন।
বিলাসবহুল ওয়েটিং রুম এখানে সুদূরের কল্পনা। বরং একটা বড় আম গাছ রয়েছে। তার নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চেয়ার পাতা। সেখানেই অপেক্ষা করেন পুরুষ ও মহিলা যাত্রীরা। ওই পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, মাত্র ৪৮ জন যাত্রীর ব্যবস্থা রয়েছে বিমানবন্দরে। ফলে গোটা এলাকাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। প্লেনগুলো ছোট, তবে সিটগুলো আরামদায়ক। এখান থেকে টিকিটও দেওয়া হয়। গন্তব্যে নেমে লাগেজ নেওয়ার সময় দেখাতে হয় সেই টিকিট।