বীরভূম: কৌশিকী আমাবস্যার দিনে তন্ত্র সাধনায় মেতে উঠেছেন তন্ত্রসাধকরা। চলছে যজ্ঞ। তারাপীঠ মহাশ্মশানে দেখা গেল সেই ছবি। কথিত আছে, এই দিনেই সাধক বামাখ্যাপা মা তারার দর্শন পেয়েছিলেন তন্ত্র সাধনা করে। এই বিশেষ দিনে তারাপীঠ মহাশ্মশান সংলগ্ন দরকা নদে স্নান করে মা তারাকে পুজো দিলে পুণ্য লাভ হয়। সাধক বামাখ্যাপাও এই দারকা নদে স্নান করে বিশেষ এই দিনে তন্ত্র সাধনা করে দর্শন পেয়েছিলেন মা তারার।
আরও পড়ুন- বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! নির্যাতিতার মা দেখতে পেয়ে ধরলেন হাতেনাতে
কৌশিকী অমাবস্যার পুন্য তিথি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই তিথিতে অশুভ শক্তি বিনাশ করা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় শুভ শক্তি। তন্ত্রসাধনার ক্ষেত্রে কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অমাবস্যা শুরু হয়েছে বাংলার ১৫ ভাদ্র অর্থাৎ রবিবার ১ সেপ্টেম্বর। এ দিন ভোর ৫’টা ৭ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে তিথি। অমাবস্যা স্থায়ী হবে ১৭ ভাদ্র মঙ্গলবার সকাল ৬ টা বেজে ৩১ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ ইংরেজির ৩ সেপ্টেম্বর। কৌশিকী আমাবস্যার নিশি বা ব্রত পালন করা হবে আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার অর্থাৎ ১৬ ভাদ্র।
সোমবার রাত ন’টার পর থেকে তারা মায়ের পুজোর সবচেয়ে ভাল সময়। যাঁরা এই শুভদিনে গঙ্গা স্নান করতে চান, তাঁরা সোমবার যে কোনও সময়ে গঙ্গাস্নান করতে পারেন।
আরও পড়ুন- তিরিশেই বয়সের ছাপ মুখে? এই ১ সবজি নিংড়ে নেবে বার্ধক্য! ঝকঝকে ত্বকে ফিরবে আত্মবিশ্বাস
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে নির্যাতিতা তন্ত্রসাধনার জন্য সাধারণত জ্যোতিষীরা অমাবস্যার রাতকেই বেছে নেন। তেমনই একটি হচ্ছে কৌশিকী অমাবস্যা। কথিত আছে, বামাখ্যাপা কৌশিকী অমাবস্যায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা। কারণ, তন্ত্র ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটি একটু বিশেষ।
তন্ত্রমতে এই অমাবস্যার রাতকে তারা রাত্রিও বলা হয়। এ দিন এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দ্বার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছামতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধি লাভ করেন। তাই তন্ত্রসাধনার জন্য এই অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কৌশিকী অমাবস্যায় বড় সংখ্যক ভক্তরা ভিড় জমান তারাপীঠ ধামে।