দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গ্রামে সাপে কাটা রোগীর বিষ তুলে দেওয়া ওঝারই মৃত্যু হল সাপের কামড়ে। ঘটনাটি ঘটে সুন্দরবনের কুলতলি থানার পশ্চিম গাবতলা এলাকায়। জানা যায়, কেউটে সাপে কাটার পরে শম্ভুচরণ নস্কর নামে ওই ব্যক্তি নিজেই বিষ তুলে নিজের চিকিৎসার চেষ্টা করেন। সাপটিকে বর্শা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। আর এতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। জয়নগর কুলতলি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: সবুজের মাঝে টলটলে নদীর জলে দেশবিদেশের পাখির আনাগোনা, পুজোর ছুটিতে চট করে ঘুরে আসুন ‘এই’ জায়গায়
কুলতলির পশ্চিম গাবতলার বাসিন্দা ৬৫ বছরের শম্ভুচরন নস্কর পেশায় চাষি ছিলেন। পাশাপাশি তিনি সাপে কাটা রোগীর বিষ তুলে দিতেন। এদিকে আহত কেউটে সাপটিকে রায়দিঘি রেঞ্জের তরফে চিতুর বিট থেকে চিকিৎসার জন্য রায়দীঘিতে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার রায়দিঘির বনদফতরের রেঞ্জ অফিসে চিকিৎসা করা হচ্ছে সাপটিকে। ধীরে ধীরে সে সুস্থ হয়ে উঠছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।
তবে বর্ষা এলেই সুন্দরবনে বাড়ে বিষধরের আতঙ্ক। সচেতনতার অভাবে মৃত্যু হয় মানুষের। এ নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু সংস্থা প্রচার চলালেও প্রশাসন বা বনদফতরের উদ্যোগে প্রচার কম। কুলতলির চিতুরী বিট অফিসার শামীম প্রধান সাপে কাটা বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন। এ ব্যাপারে কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বলেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সরকারি নিয়ম মেনে কাজ চলছে।
সুমন সাহা