ঝাড়গ্রাম রবীন্দ্র পার্ক

Jhargram News: দীর্ঘদিন পরে হাল বদলাতে চলেছে ঝাড়গ্রামের এই পার্কের, বরাদ্দ ২৫ লক্ষ 

ঝাড়গ্রাম : দীর্ঘদিন পরে হতশ্রী দশা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে ঝাড়গ্রামের সুপরিচিত একটি পার্ক । শিশুদের খেলা করার জন্য বসানো হবে নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। বড়দের সময় কাটানোর জন্য থাকবে বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে হতশ্রী দশা থেকে এবার রূপশ্রী হতে চলেছে ঝাড়গ্রামের রবীন্দ্র পার্ক। সবুজ শাল জঙ্গলের মধ্যে শিশুদের জন্য নানা খেলার সামগ্রী থেকে শুরু করে বড়দের সময় কাটানোর জন্য ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে তৈরি হয়েছিল রবীন্দ্র পার্ক। সকাল থেকে বিকেল দিনের সারা সময়ে বহু মানুষের আনাগোনা ছিল পার্কে। সাজানো গোছানো পার্কটিতে প্রবেশের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হত প্রবেশ মূল্য। পৌরসভার উদাসীনতার কারণে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে পার্কটি।

পার্কের একটি অংশ একটি ফাস্টফুড এর সেন্টারকে ভাড়া দেওয়া হয় এবং একটি কোণে পৌরসভার সাফায় এর গাড়ি সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখা হয়। পার্কের মধ্যে একটি মুক্ত মঞ্চ থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বর্তমানে পার্কের চারিদিকে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিশুদের খেলার সামগ্রী। শহরবাসী দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়েছিল পার্কটিকে পার্কের মত করে গড়ে তোলার জন্য। অবশেষে পুজোর আগে সেই খুশির খবর দিল ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ।

আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোর আগে বিরাট চমক! খুশির খবর দিল ঝাড়গ্রাম পৌরসভা, জানলে চমকে যাবেন

ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন,”ঝাড়গ্রাম শহরের মধ্যে অবস্থিত রবীন্দ্র পার্কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। পার্কটিকে সংস্কারের জন্য আমরা রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। পার্কটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার”।

আরও পড়ুন : ২০ টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা করেছিলেন স্বামী, ক্ষতিপূরণ পেলেন স্ত্রী

চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ আরওবলেন,”পুজোর আগেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পার্কের মধ্যে থাকা রাস্তা গুলি নতুন করে তৈরি করা হবে বসানো হবে সোলার আলো ও বৈদ্যুতিক আলো।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

শিশুদের খেলার জন্য নতুন খেলার সামগ্রী এবং পার্কের মধ্যে যে মঞ্চটি রয়েছে সেই মন্ত্রটিকে আরওভালো করে তৈরি করা হবে”।

বুদ্ধদেব বেরা