Tag Archives: Jhargram news

Viswakarma Pujo: বিশ্বকর্মা পুজোয় পথ নিরাপত্তার বার্তা ঝাড়গ্রামের গাড়ি স্ট্যান্ডের মন্ডপ জুড়ে!

ঝাড়গ্রাম: “স্বাভাবিক গতিতে চালালে গাড়ি সুস্থ শরীরের ফিরবে বাড়ি”। “ফোন করতে করতে চালান যদি গাড়ি, তাহলে আপনি নাও ফিরতে পারেন বাড়ি”। মানুষের জীবন রক্ষা এবং তাদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে এবার বিশ্বকর্মা পূজার মন্ডপেও ফুটে উঠল রাজ্য সরকারের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি বার্তা । পুরো পুজো মণ্ডপ জুড়েই পথ নিরাপত্তার একাধিক বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা পেট্রলপাম্প সংলগ্ন সাবিত্রী সিনেমা হল মোড় মিনি গাড়ি স্ট্যান্ডের বিশ্বকর্মা পুজোয়। এই বছর এই পুজো ১৯ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুজোর উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা পুজো কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিশ্বকর্মা পুজোতে এ কী থিম? মুহূর্তে ভাইরাল, দেখুন

জানা গিয়েছে, গাড়ির চালকদের প্রতিমুহূর্তে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গাড়ি নিয়ে যেতে হয়। সামান্য ভুল ত্রুটি হলেই ঘটতে পারে বড় বিপত্তি । কারওহয়তো জীবনের বাতি নিভে যেতে পারে। সেই জায়গায় সমস্ত চালককে এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচিকেই হাতিয়ার করেছে বিশ্বকর্মা পুজোর উদ্যোক্তারা। সাবিত্রী সিনেমা হল মোড় মিনি গাড়ি স্ট্যান্ড এর সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন,” পণ্যবাহী গাড়ি হোক বা যাত্রীবাহী গাড়ি সব সময় চালককে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দৌড়াতে হয়। চালকের মাথার উপর থাকে নিজের নিরাপত্তার পাশাপাশি গাড়িতে থাকা যাত্রীদের। চালকের একটু ভুল হলেই ঘটতে পারে বড় বিপত্তি। তাই বিশ্বকর্মা পুজোয় গাড়ির চালকদের এবং পথ চলতি সকল সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্যই আমাদের এই ভাবনা চিন্তা।

আরও পড়ুন: বাড়তি সতর্কতা! আবহাওয়ার উন্নতি হতেই ব্যস্ত কুমোরপাড়া

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচিকে মাথায় রেখেই মন্ডপ প্রাঙ্গণে ফেস্টুন এবং ব্যানারের মাধ্যমে পথ নিরাপত্তার বিষয়টি সকলের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। চালকদের একটু সামান্য ভুলে ঘটে যেতে পারে বড় বিপত্তি। তাই নিজেদেরকে প্রতি মুহূর্তে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অবগত রাখতে এবং সাধারণ মানুষকে পথ নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করতে বিশ্বকর্মা পূজোয় উদ্যোক্তাদের এই ভাবনা-চিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনেও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বুদ্ধদেব বেরা

Coffee Cultivation: দক্ষিণে ছুটতে হবে না! ঘরের কাছেই কফি চাষ! স্বাদও নিন অনায়াসে, কোথায় গেলে পাবেন

ঝাড়গ্রাম: কফি চাষের বাগান দেখার জন্য যেতে হবে না কর্ণাটক। জঙ্গলমহলের লাল মাটিতেই চাষ হচ্ছে কফি। ব্রিটিশ আমলে বেলপাহাড়িতে চাষ করা হত কফি। সেই সূত্র ধরেই কফি চাষ শুরু হয়েছিল জঙ্গলমহলের লাল মাটিতে। আর তাতেই বড় সাফল্য পেয়েছে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে কফি চাষের বাগান দেখা বড় একটা পাওনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় বড় কফি গাছে  ফলে রয়েছে সবুজ, হলুদ, লাল রঙের কফির ফল । ইতিমধ্যেই সেই কফির ফলগুলিকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে কফি বানিয়ে পান করা হয়েছে। তার সাধও অতুলনীয় বলে জানা গিয়েছে।

একদা ব্রিটিশ আমলের সময় বেলপাহাড়ির বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা হত কফি। এই সূত্র ধরেই ২০১৮-১৯ সালে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে বেশ কিছু কফি গাছ রোপন করা হয়। কয়েক বছরের মধ্যে তাতে ফল আসা শুরু হয়। প্রায় তিন থেকে চার ঝুড়ি কফি ফল সংগ্রহ করার পর তা পাঠানো হয় খড়গপুর আইআইটিতে। বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করার পর কফি তৈরি হয়ে চলে আসে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। পান করে দেখে কফির স্বাদ অতুলনীয়। তাই এবার রাজবাড়ির পক্ষ থেকে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে কফির বীজ গুলিকে রাজবাড়িতেই বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে কফি তৈরি করে পর্যটকদের জন্য পরিবেশন করা হবে রোবাস্টা ভ্যারাইটির কফি।

ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের সদস্য বিক্রমাদিত্য মল্লদেব বলেন, “ব্রিটিশ আমলে বেলপাহাড়িতে কফি চাষ করা হত। সেই সূত্র ধরেই আমরা কাপগাড়ি সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয় এর ভূগোল বিভাগের হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট প্রণব সাহুর সঙ্গে যোগাযোগ করে ২০১৮-১৯ সালে রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে কফি চারা রোপন করি। কয়েক বছরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফল আসে কফি গাছগুলিতে। প্রায় তিন থেকে চার ঝুড়ি কফি সংগ্রহ করে তার শুকনো করার পর পাঠানো হয় খড়গপুর আইআইটিতে। সেখানে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত হওয়ার পর কফি তৈরি হয়ে চলে আসে আমাদের কাছে। আমরা খেয়ে দেখেছি। কফির স্বাদ অতুলনীয়। আমাদের ভাবনাচিন্তা রয়েছে আগামী দিনে পর্যটকদের এই কফি পরিবেশন করা হবে।”

ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে রাজ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ঝাড়গ্রাম প্যালেস নামের অতিথিশালা। যেখানে পর্যটকরা রাজবাড়িতে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। তার পাশাপাশি এবার তাদের কাছে বাড়তি পাওনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কফি চাষের বাগান দেখার সুযোগ।

বুদ্ধদেব বেরা

Jhargram News: ঝাড়গ্ৰামের বেলপাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর

ঝাড়গ্ৰাম : ঝাড়গ্ৰামের বেলপাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। ঝাড়গ্ৰাম জেলায় এই বছর দু’শোর অধিক ব্যাক্তি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। বেলপাহাড়ি এলাকার আমলাশোল , মেরাসুলি, কাঁকড়াঝোড় ,কুচলাপাহাড়ি, সরিষাবাসার মত এলাকার আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড়শোর কাছাকাছি। ঘন ঘন বৃষ্টিতে জঙ্গল লাগোয়া গ্ৰামগুলোতে মশার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। যার জেরেই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে লাগাতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিক্যাল টিম এলাকা পরিদর্শন করছে। আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তারপরেও সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ার একাধিক কারণ উঠে আসছে। এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই রাতে মশারি ব্যাবহার করেন না। রোগ চিহ্নিত হলেও অনেকেই নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন না। এছাড়াও ঘন জঙ্গল এলাকায় ঘোরাঘুরি করার মশার কামড়ে অনেকে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দু’শো পার করে গিয়েছে । বেলপাহাড়ি এলাকাতেই সংখ্যাটা অর্দ্ধশতাধিকের কাছাকাছি। জেলায় জুলাই মাস পর্যন্ত জেলায় ১৮৪৭৯৮ জনের ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা হয়েছে। তারমধ্যে ১৯৯ জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে। সেপ্টেম্বরে মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা যা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করছেন।

আরও পড়ুন : ভারতের হয়ে খেলবে বাংলার জুয়েল সরকার, আর্চারিতে নতুন তারকা পাবে দেশ!

ঝাড়গ্ৰাম জেলার সিএমওএইচ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা বলেন,”ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রোধে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ব্লকের সাস্থ্য কর্মীর এলাকা পরিদর্শন করছেন। স্থানীয় বিদ্যালয় , বাজার ও জনবসতি এলাকায় কোথাও যাতে জল জমে আছে কিনা দেখা হচ্ছে। স্থানীয় হোম স্টে গুলোতে ম্যালেরিয়া সংক্রমিত কোনও ব্যক্তি এসেছেন কিনা সেটার উপরেও নজর দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গল লাগোয়া গ্ৰামবাসীদের বাড়িঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা রাতে মশারি খাটানো , অসুস্থ হলে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারা অনান্য শারীরিক অসুস্থায় ভুগছেন কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। জেলা ও ব্লকস্তরে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে”।

আরও পড়ুন : যুব সমাজকে মোবাইল ছেড়ে মাঠে আসার বার্তা দিতে হাতিয়ার ক্রিকেট লীগ

জেলার স্বাস্থ্য দফতরেরএক আধিকারিক বলেন , বিনপুর -২ব্লকের বেলপাহাড়ি এলাকা ছাড় জেলার অন্যান্য ব্লকে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কম। জেলা শহরে সংখ্যাটা শূন্য। বেলপাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সচেতনতামূলক প্রচার , স্বাস্থ্যশিবিরে পরীক্ষার সঙ্গে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অসচেতনতা কিছুটা হলেও প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

জেলা কালেক্টরটে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। ম্যালেরিয়া সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বুদ্ধদেব বেরা

Jhargram News : যুব সমাজকে মোবাইল ছেড়ে মাঠে আসার বার্তা দিতে হাতিয়ার ক্রিকেট লীগ 

ঝাড়গ্রাম : বর্তমান দিনে চরম নেশায়আসক্ত হয়ে পড়েছে যুব সমাজ। দিনের বেশিরভাগ সময় জীবনটা যেন বন্দী হয়ে যাচ্ছে ছয় ইঞ্চি কালারফুল স্কিনের মধ্যেই। ফলস্বরূপ একাগ্রতা থেকে শরীর চর্চা সব কিছুতেই পিছিয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্মের তরুণরা। ছয় ইঞ্চির কালারফুল মায়াজাল থেকে বাইরে নিয়ে আসার জন্য অনুষ্ঠিত হল ২২ গজের খেলা।ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বিদ্যালয়ের হোস্টেল মাঠে সাত দিনের জন্য অনুষ্ঠিত হল ক্রিকেট লীগ । এই ক্রিকেট লীগে মূলত ঝাড়গ্রাম জেলার ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে লীগের উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ।

অংশগ্রহণ করেছে ৮টি ক্রিকেট দল। যার মধ্যে ১০ জন খেলোয়াড় ঝাড়গ্রাম জেলার। ৭ দিনে ফাইনাল সহ মোট ১৭ টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ঝাড়গ্রাম জেলায় এই প্রথম এই ধরনের ক্রিকেট লীগ হওয়ায় ক্রিকেট খেলার গুরুত্ব বাড়ছে খেলা প্রেমীদের কাছে। ঝাড়গ্রাম বার্নার বয়সের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ মৈত্র বলেন,”দিনের পর দিন যুবসমাজ মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদেরকে মাঠমুখী করার জন্যই আমাদের এই ক্রিকেট লীগের আয়োজন করা হয়েছে। নকআউট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কেবলমাত্র ১ থেকে ২ দিনের জন্য আয়োজিত হয়।

আরও পড়ুন : গোটা বছর অপেক্ষা আর পুজো এলেই ডাক পড়ে ,পরিবার ছেড়ে ‘ওরা’ দিন কাটায় মন্ডপে রোজগারের আশায়

কিন্তু ক্রিকেট লীগ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত করা সম্ভব। তাই যুব সমাজকে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য আমাদের এই ক্রিকেট লীগের আয়োজন। এই প্রথম এই ধরনের লীগের ভাবনা চিন্তা আগামী দিনে আরও বড় আকারের করারও ভাবনাচিন্তা রয়েছে”। ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন,” ঝাড়গ্রাম জেলায় এই প্রথম এই ধরনের ক্রিকেট লীগের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের আমি সাধুবাদ জানাই। বর্তমান দিনে যুব সমাজকে মাঠ মুখি করার জন্য এই ধরনের খেলার প্রচলন আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন”।

আরও পড়ুন : ফের শিরোনামে লালগড় থানার পুলিশ! কারণ জানলে অবাক হবেন, কী এমন করল?

২২ গজের খেলাকে কেন্দ্র করেই তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে ঝাড়গ্রাম। মোবাইল ছেড়ে মাঠে আসার বার্তা কার্যত কার্যকর হতে চলেছে উদ্যোক্তাদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

আগামীদিনে এভাবে কিছুটা হলেও যুব সমাজের মোবাইল আসক্তি কমানো যেতে পারে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।

বুদ্ধদেব বেরা

Durga Puja 2024 : গোটা বছর অপেক্ষা আর পুজো এলেই ডাক পড়ে ,পরিবার ছেড়ে ‘ওরা’ দিন কাটায় মন্ডপে রোজগারের আশায়

ঝাড়গ্রাম : দুর্গাপুজো এলেই মুখে হাঁসি ফোটে তাঁদের। সারা বছর তেমন একটা অর্থের মুখ দেখতে পায় না তাঁরা । কিন্তু পুজোর সময় ভালো অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পায় তাঁদের পেশার সঙ্গে জড়িত থাকা সকলেই । বর্তমান দিনে পুজোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের চাহিদাও বেড়েছে। আগের তুলনায় বায়নাও পাচ্ছে বেশি। সঙ্গে ভালো মজুরিও পারছে তারা তাই এবার মুখে হাঁসি ফুটেছে ঢাকিদের।

ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যারডিহি এলাকার মির্ধাপাড়ায় বসবাস ঢাকিদের। মির্ধাপাড়ার সিংহভাগ মানুষ ঢাক বাজানোর সঙ্গে যুক্ত। মনসা পুজো, শীতলা পুজোবা বাড়ির যে কোনও পুজোর অনুষ্ঠানে তাঁদের ডাক পড়ে।কিন্তু সেই অর্থে তাঁরা তাঁদের পারিশ্রমিক পায়না হাতে। কিন্তু দুর্গাপুজোএলেই হাঁসি ফোটে তাঁদের মুখে। মোটা অংকের কাজের বরাত পায় তারা। পুজোর ৫-৬ টা দিন কেউ থাকে না বাড়িতে। সকলেরই অস্থায়ী ঠিকানা হয়ে ওঠে পুজোমন্ডপ। পঞ্চমী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত তাদের শব্দেই মেতে থাকে পুজো মন্ডপ।

আরও পড়ুন : একদিনের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার সেরা জায়গা, সাক্ষী হবেন অনন্য অভিজ্ঞতার !

সত্যাডিহি গ্রামের মির্ধাপাড়ার বাসিন্দা সুভাষ মির্ধা বলছেন,”আগের তুলনায় পুজোর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে । ফলে আমাদেরও চাহিদা বেড়েছে। আগে পুজোর সময় আমাদের ঠিকমতমজুরি জুটত না। প্রয়োজন মত অর্থ পেতাম না হাতে। কিন্তু এই বছর প্রথম থেকেই ভালো বায়না পেয়েছি। আমাদের গ্রামের প্রায় সকলেরই কোনও না কোনও পুজোমন্ডপে বায়না ধরা হয়ে গেছে।”

আরও পড়ুন : স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিচ্ছে জঙ্গলমহলের মহিলারা, পুজোর আগে নিজেদের উদ্যোগে শুরু হল মেলা

আগের তুলনায় টাকাও বাড়িয়েছে পুজো কমিটি গুলি। তাই এবার পুজোতে আমাদের পরিবারের সদস্যরাও আনন্দ করতে পারবে।পুজোর এই কটা দিন যাদের ঢাকের কাঠির শব্দে মেতে থাকে মণ্ডপ তারা এবার ভালো বায়না পেয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

তাই এবার মির্ধাপাড়ার ঢাকিদের ঘরে ঘরে খুশির ছোঁয়া।

বুদ্ধদেব বেরা

Jhargram News : স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিচ্ছে জঙ্গলমহলের মহিলারা, পুজোর আগে নিজেদের উদ্যোগে শুরু হল মেলা

ঝাড়গ্রাম : বাড়ির কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে নিজের কর্ম প্রতিভাকে ফুটিয়ে তুলছে জঙ্গলমহলের নারীরা। নিজেদের কর্ম প্রতিভার দক্ষতায় হাতের তৈরি নানা সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে দুর্গা পুজোর আগে নিজেরা একজোট হয়ে শুরু করেছে মেলা। আর এই মেলার মধ্য দিয়ে তাঁরা নিজেদেরকে স্বনির্ভর করার বার্তা দিচ্ছে সমাজকে।নিজেদের স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে ঝাড়গ্রাম শহরের মহিলারা একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে স্বপ্নের মেয়েবেলা নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্যোগেই ঝাড়গ্রাম শহরের তরুণ তীর্থ ক্লাব প্রাঙ্গণে পাঁচ দিনের জন্য শুরু করেছে পুজোর হাট জমজমাট মানের মেলা ।

৪সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে মেলাটি। ৮সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকাল দশটা থেকে রাত্রি দশটা পর্যন্ত চলবেমেলা। মেলা শুরুর দিন থেকেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে নারীদের এই স্বনির্ভর হওয়ার মেলায়।কেউ পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি করেছে গয়না, কেউ আবার ঝিনুক, কড়ি, কাঠ, সুতো দিয়ে তৈরি করেছে কানের দুল ও গলার মালা। কেউ আবার সুতির শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছে নিজের কারুকার্য। বাবুই ও সাবাই ঘাস দিয়ে তৈরি করেছে ঘর সাজানোর জিনিস। সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে এই মেলায়।

আরও পড়ুন : ভারতের হয়ে খেলবে বাংলার জুয়েল সরকার, আর্চারিতে নতুন তারকা পাবে দেশ!

মেলাতে দোকান দিয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা প্রিয়া নন্দী, রাজশ্রী দাসরা তাঁরা বলেন,”বাড়িতে নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের গয়না তৈরি করেছি। পোড়ামাটি, সুতো, ঝিনুক, ,কড়ি সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে গয়না গুলি তৈরি করা হয়েছে। এইগুলি বিক্রির জন্য প্রতিবছর দুর্গা পুজোর আগে আমাদের মহিলাদের পরিচালিত স্বপ্নের মেয়ে বেলা সংগঠনের পক্ষ থেকে মেলার আয়োজন করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য নিজেদের স্বনির্ভর করে তোলা” ।

আরও পড়ুন : দীর্ঘদিন পরে হাল বদলাতে চলেছে ঝাড়গ্রামের এই পার্কের, বরাদ্দ ২৫ লক্ষ

কেবলমাত্র মহিলাদের হাতে তৈরি সামগ্রী এখানে বিক্রি হচ্ছে না পাওয়া যাচ্ছে টাটকা টাটকা খাবার। ঘুগনি, চিকেন পকোড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পিঠে ও মিষ্টিও পাওয়া যাচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

নারীদের স্বনির্ভর হওয়ার পুজোর আগের এই হাট পরিণত হয়েছে জমজমাট মেলায়।

বুদ্ধদেব বেরা

Jhargram News : হোস্টেলের পঠন-পাঠন থেকে শুরু করে সমস্ত দায়িত্ব এখন ছাত্রদের হাতে, কিন্তু কেন?

ঝাড়গ্রাম : ৫সেপ্টেম্বর ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে সাড়ম্বরে পালিত হয় শিক্ষক দিবস। শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা এবং তাদের গুরুত্ব পড়ুয়াদের বোঝানোর জন্য অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঝাড়গ্রাম শহরের প্রজায়িনী ছাত্রাবাস। ছাত্রাবাসের পঠনপাঠন থেকে শুরু করে বাজার করা, পড়ুয়াদের সময় মত খেতে দেওয়া, তাদের দেখভাল সবকিছুই এখন পড়ুয়াদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু করে তিন দিন ধরে শিক্ষক দিবসের দিন পর্যন্ত ছাত্রাবাসের দায়িত্ব থাকবে পুড়ুয়াদের হাতেই।

সকালে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ছাত্রাবাসের ছাত্রদের দিনের শুরু। প্রার্থনার পরেই করা হয় মনঃসংযোগ এর একটি কর্মসূচি। সকালের খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পরেই ছাত্রাবাসের ছাত্রদের শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিতে দেখা যায় ছাত্রাবাসে থাকা উঁচু শ্রেণি ছাত্রদের। সকালের ক্লাস শেষ হওয়ার পরেই ছাত্রাবাসে ছাত্ররা যে যার স্কুলে চলে যায়। ফিরে এসে বিকেলে খেলার মাঠ। তারপর খেলা শেষে টিফিন। পড়ুয়াদের দেশ বিদেশের হাল হাকিকত জানার জন্য পড়তে দেওয়া হয় বিভিন্ন সংবাদপত্র। সংবাদপত্র পড়া শেষ হলে শুরু হয়ে যায় পড়ুয়াদের রাতের পড়াশোনা। সঙ্গেরয়েছে সময় মত খাওয়া দাওয়া। এই সমস্ত কিছুই দায়িত্ব নিয়ে পালন করছে আবাসিক হোস্টেলে থাকা সমস্ত পড়ুয়ার।

আরও পড়ুন : ২০ টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা করেছিলেন স্বামী, ক্ষতিপূরণ পেলেন স্ত্রী

ছাত্রাবাসের প্রতিষ্ঠাতা তথা শিক্ষক দিলীপ কুমার দে বলেন,”ছাত্রদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কেবল পুঁথিগত বিদ্যার উপরই সম্ভব নয়। ফল সরূপ ছাত্রের মধ্যে যে সুপ্ত শক্তি থাকে তা বহিঃপ্রকাশ হয় না। পুঁথিগত বিদ্যার উপর নির্ভর করে চলাচল করার চেষ্টা করার দরুন বিভিন্ন সময় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা প্রাপ্ত হতে হয় তাদের। সার্বিক উন্নয়নের জন্য যেমন ছাত্রদের বুদ্ধি অর্জন করতে হবে ঠিক তেমনি সামাজিকতা, সময়ের প্রতি গুরুত্ব থাকা খুবই জরুরী। ছাত্রদের এখন থেকেই একটি প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্যই শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আবাসিক হোস্টেলের ছাত্রদের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে সমস্ত দায়িত্ব”।

আরও পড়ুন : হাতির হানা থেকে সবজি রক্ষা করতে চাষে আমূল পরিবর্তন জঙ্গলমহলের চাষিদের

ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরায় ২০০৪ সালে মাত্র ২ জন ছাত্রকে নিয়ে শুরু হয়েছিল প্রজায়িনী ছাত্রাবাস। বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জন। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা এই ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

প্রজায়িনী ছাত্রাবাসের প্রতিষ্ঠাতা তথা শিক্ষক দিলীপ কুমার দে ছাত্রাবাসের পড়ুয়াদের অভিভাবকের মত আগলে রাখেন।

বুদ্ধদেব বেরা

Jhargram News: দীর্ঘদিন পরে হাল বদলাতে চলেছে ঝাড়গ্রামের এই পার্কের, বরাদ্দ ২৫ লক্ষ 

ঝাড়গ্রাম : দীর্ঘদিন পরে হতশ্রী দশা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে ঝাড়গ্রামের সুপরিচিত একটি পার্ক । শিশুদের খেলা করার জন্য বসানো হবে নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। বড়দের সময় কাটানোর জন্য থাকবে বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে হতশ্রী দশা থেকে এবার রূপশ্রী হতে চলেছে ঝাড়গ্রামের রবীন্দ্র পার্ক। সবুজ শাল জঙ্গলের মধ্যে শিশুদের জন্য নানা খেলার সামগ্রী থেকে শুরু করে বড়দের সময় কাটানোর জন্য ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে তৈরি হয়েছিল রবীন্দ্র পার্ক। সকাল থেকে বিকেল দিনের সারা সময়ে বহু মানুষের আনাগোনা ছিল পার্কে। সাজানো গোছানো পার্কটিতে প্রবেশের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হত প্রবেশ মূল্য। পৌরসভার উদাসীনতার কারণে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে পার্কটি।

পার্কের একটি অংশ একটি ফাস্টফুড এর সেন্টারকে ভাড়া দেওয়া হয় এবং একটি কোণে পৌরসভার সাফায় এর গাড়ি সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখা হয়। পার্কের মধ্যে একটি মুক্ত মঞ্চ থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বর্তমানে পার্কের চারিদিকে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিশুদের খেলার সামগ্রী। শহরবাসী দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়েছিল পার্কটিকে পার্কের মত করে গড়ে তোলার জন্য। অবশেষে পুজোর আগে সেই খুশির খবর দিল ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ।

আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোর আগে বিরাট চমক! খুশির খবর দিল ঝাড়গ্রাম পৌরসভা, জানলে চমকে যাবেন

ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন,”ঝাড়গ্রাম শহরের মধ্যে অবস্থিত রবীন্দ্র পার্কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। পার্কটিকে সংস্কারের জন্য আমরা রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। পার্কটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার”।

আরও পড়ুন : ২০ টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা করেছিলেন স্বামী, ক্ষতিপূরণ পেলেন স্ত্রী

চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ আরওবলেন,”পুজোর আগেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পার্কের মধ্যে থাকা রাস্তা গুলি নতুন করে তৈরি করা হবে বসানো হবে সোলার আলো ও বৈদ্যুতিক আলো।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

শিশুদের খেলার জন্য নতুন খেলার সামগ্রী এবং পার্কের মধ্যে যে মঞ্চটি রয়েছে সেই মন্ত্রটিকে আরওভালো করে তৈরি করা হবে”।

বুদ্ধদেব বেরা

Jhargram News: ২০ টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা করেছিলেন স্বামী, ক্ষতিপূরণ পেলেন স্ত্রী

ঝাড়গ্রাম : মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। ২০ টাকার বীমা থাকায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন স্ত্রী । বৃহস্পতিবার দুপুরে বীমার ২ লক্ষ টাকার চেক ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর হাতে তুলে দেয় ব্যাঙ্ক ও বীমা কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার আঁধারিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর জানা ২০২৩ সালের জুন মাসে মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। উদ্ধার করে তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রবীর বাবুর ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের তপসিয়া শাখায় একটি প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার ২০ টাকার বীমা করা ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে প্রবীর বাবুর স্ত্রী ঝুমা জানা আবেদন জানায় ।কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের টাকার ঝুমাকে দিচ্ছিল না । এই অবস্থায় চলতি বছরের মার্চ মাসে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানায় ঝুমা। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রিলিটিকেশনের মামলা রুজু হয় । নোটিশ করে ব্যাঙ্ক এবং বীমা কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। তারপরেই সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ঝুমার হাতে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : ফের শিরোনামে লালগড় থানার পুলিশ! কারণ জানলে অবাক হবেন, কী এমন করল?

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার বলেন,”ঝুমা জানা নামের এক মহিলা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। ব্যাঙ্ক উনার স্বামীর নামে একটি বীমা ছিল যার ক্ষতিপূরণের মূল্য ছিল ২ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্কে আবেদন করার পরেও ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছিলেন না ওই মহিলা। আমাদের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেই একটি প্রিলিটিকেশনের মামলার রুজু করা হয় । নোটিশ করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং বীমা কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। তারপর সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক বীমা কোম্পানি ঝুমা জানার হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা উনাকে সাহায্য করতে পেরে অত্যন্ত খুশি”।

আরও পড়ুন : ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে ডুলুং, ব্রিজের উপর দিয়ে বইছে জল, বিপদে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা!

স্বামী মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ঝুমা জানা বলেন,”মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। স্বামীর বীমার ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাকে দিচ্ছিল না ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাই।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

তাদের হস্তক্ষেপে আমাকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে”।

বুদ্ধদেব বেরা

Jhargram News: ফের শিরোনামে লালগড় থানার পুলিশ! কারণ জানলে অবাক হবেন, কী এমন করল?

ঝাড়গ্রাম : একদা মাওবাদী অধ্যুষিত লালগড়ের কথা সকলেরই জানা রয়েছে। প্রতিদিন সকাল হলেই মাওবাদীদের হাতে নিহতদের মৃত্যুর মিছিলের দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতিটা বদলে গিয়েছে। নেই আর গোলাবারুদের শব্দ। নেই আর যৌথ বাহিনীর ভারী বুটের আওয়াজ। তবুও ফের খবরের শিরোনামে লালগড় থানার পুলিশ।

লালগড় থানার পুলিশ কী এমন কাজ করল, যে ফের খবরের শিরোনামে তারা? রবিবার সকালে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে লালগড় থানার আইসি হাজির হন পুর্নাপানি গ্রামে। কোনও আসামির খোঁজে নয়, হাতে বন্দুকের বদলে ছিল কালো ত্রিপল। পুর্নাপানিতে বসবাস লোধা-শবর সম্প্রদায়ের। বৃষ্টিতে যে সমস্ত লোধা শবরদের ভগ্ন প্রায় বাড়িতে জল পড়ছিল সেই সমস্ত বাড়ি গুলিকে চিহ্নিত করে তা সংস্কার করে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আইসি, সাব-ইন্সপেক্টর, এএসআই ,কনস্টেবল, সিভিক ভলেন্টিয়ার সকলে মিলে ভগ্নপ্রায় বাড়ির উপরে ত্রিপল চাপিয়ে, তা সংস্কার করেন।

আরও পড়ুন: এবার মুখ্যমন্ত্রী-পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, আরজি কর ইস্যুতে FIR-এর আবেদন কৌস্তভ বাগচীর

এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ পরিচালিত দিশা কোচিং সেন্টারে খুদে পড়ুয়াদের হাতে পড়াশোনার সামগ্রী এবং মশা বাহিত রোগের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে স্থানীয়দের হাতে মশারি তুলে দেওয়া হয় লালগড় থানার পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস। এ প্রসঙ্গে লালগড় থানার আইসি স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে লালগড় থানার পুলিশ প্রতিনিয়ত সামাজিক কাজ করে চলেছে। পুর্নাপানি এলাকার যে সমস্ত মানুষজনের বাড়ির অবস্থা বেহাল দশা ছিল, সেগুলিকে আমরা চিহ্নিত করে নিজেরাই সংস্কার করে দিয়েছি। আবার অনেকের হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি এখানে ৪০০ জনের হাতে মশারি এবং ১০০ জন স্কুল পড়ুয়ার হাতে পড়াশোনার সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয়েছে।”

ভগ্নপ্রায় বাড়ি পুলিশ নিজের উদ্যোগে ত্রিপল দিয়ে সংস্কার করে দিয়েছে, বাড়িতে আর জল পড়বে না তাই এবার মুখে হাসি পুর্নাপানি গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ শবর, যশোদা শবর, ঝুমী শবরদের। বিকাশ বলেন, “বৃষ্টি হলে জল পড়ত বাড়ির মধ্যে। থাকতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। আজ দেখলাম পুলিশ এসে নিজেরাই আমার বাড়িটি ত্রিপল দিয়ে ঠিক করে দিয়েছে। এবার আর জল পড়বে না। আমি খুবই খুশি।”

—- বুদ্ধদেব বেরা