বাঁকুড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: কিছু টাকা লোন নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা! এখন প্রতি মাসে ব্যাঙ্কে উপচে পড়ছে টাকা Gallery September 5, 2024 Bangla Digital Desk ১০ লাখ টাকা লোন নিয়ে, দুরু দুরু বুকে শুরু করেছিলেন একটি ছোট্ট ব্যবসা। লোনের টাকা আদৌ শোধ করতে পারবেন কিনা তাই নিয়ে ছিল শঙ্কা। একটু একটু করে পথ চলা। লোনের টাকা তো শোধ করেও এখন প্রতি মাসে টার্নওভার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা! বাঁকুড়ার এই গৃহবধূর অধীনে কাজ করেন একাধিক মহিলা। ভাবছেন কি ব্যবসা? এমনকি বাঁকুড়া শহরের স্কুলডাঙ্গার বাসিন্দা চৈতালি বিশ্বাস জানান চাইলে খুব সহজেই শিখে নিয়ে শুরু করা যায় এই বিজনেস। ব্যবসা করার পাশাপাশি, ব্যাচ তৈরি করে মেয়েদেরকেও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই যাতে তার সঙ্গে অন্যান্য মহিলারাও স্বনির্ভরতার পথ খুঁজে পেতে পারে। প্রায় চার বছর আগে বাঁকুড়ার স্কুলডাঙ্গা এলাকায় ১০ লাখ টাকা লোন নিয়ে একটি বিউটি পার্লার তৈরি করেন চৈতালি মন্ডল। এরপর ধীরে ধীরে, চার বছর পর পাল্টে গেছে তার ব্যবসার ছবি। বিউটি পার্লারে কাজ করেন অন্যান্য মহিলারা। কাজ করার পাশাপাশি কীভাবে মেকআপ করতে হয় এবং মেকআপ সম্বন্ধিক সবকিছু শিক্ষা প্রদান করে থাকেন চৈতালি মন্ডল। তবে একটি মেয়ে কীভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে পারে? এই প্রশ্ন শুনে চৈতালি মন্ডল জানান যে ব্যবসা শুরু করার কোনও গতানুগতিক পদ্ধতি নেই, তবে বিউটি পার্লার খুলতে চাইলে আগে নিজেকে জানতে হবে কীভাবে বিউটি পার্লারের সব ধরনের কাজ করতে হয়। তার জন্য একটি কোর্স অবশ্যই করে ফেলতে হবে। তারপর খুব কম সরঞ্জাম কিনে, নিজের ঘরেও শুরু করা যায় এই ব্যবসা। বাড়ির আশেপাশের মানুষজন থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী। একটি দুটি ক্লায়েন্ট ধরে কাজ করতে থাকলে তৈরি হবে অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতায় ভর করে কিছু অর্থ সঞ্চয় করে অথবা লোন নিয়ে শুরু করাই যেতে পারে বিউটি পার্লারের ব্যবসা। চৈতালি মন্ডল, নিজের বিউটি পার্লারের ব্যবসা করে নিজের সব স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি নিজের পুত্র সন্তানের ভরণপোষণে কোনও ত্রুটি রাখেননি বলে জানিয়েছেন। তাছাড়াও এই কাজ করেই সমাজ সেবার কাজ করে থাকেন চৈতালি মন্ডল।একজন দৃষ্টান্ত হিসেবে অন্যান্য মহিলাদের সামনে অর্থ উপার্জন করার একটি পথ দীর্ঘদিন ধরে বাঁকুড়ার বুকে দেখিয়ে আসছেন তিনি। চৈতালি মন্ডল জানান, “কেউ যদি আমার কাছে শিখতে চাইছে বা আমার গাইডেন্স চাইছে। তারা অবশ্যই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুক। আমি তাদের গাইড করে দেব।”