পুলিশের উর্দি পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতেন মহিলা কনস্টেবলদের। চরম প্রতারণার অভিযোগে এক ঠগকে গ্রেফতার করেছে বরেলি পুলিশ। অভিযোগ, এভাবে প্রচুর মহিলা কনস্টেবল ওই প্রতারকের ফাঁদে পড়েছেন। এমনকী, তাঁদের থেকে ২ কোটি টাকারও বেশি তুলেছে বলেও অভিযোগ ধৃতের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলা পুলিশকর্মীকে বিয়েও করেছে অভিযুক্ত।

মহিলা কনস্টেবলদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে প্রতারণা; গ্রেফতার ‘নকল’ পুলিশকর্মী

পুলিশের উর্দি পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতেন মহিলা কনস্টেবলদের। চরম প্রতারণার অভিযোগে এক ঠগকে গ্রেফতার করেছে বরেলি পুলিশ। অভিযোগ, এভাবে প্রচুর মহিলা কনস্টেবল ওই প্রতারকের ফাঁদে পড়েছেন। এমনকী, তাঁদের থেকে ২ কোটি টাকারও বেশি তুলেছে বলেও অভিযোগ ধৃতের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলা পুলিশকর্মীকে বিয়েও করেছে অভিযুক্ত।
পুলিশের উর্দি পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতেন মহিলা কনস্টেবলদের। চরম প্রতারণার অভিযোগে এক ঠগকে গ্রেফতার করেছে বরেলি পুলিশ। অভিযোগ, এভাবে প্রচুর মহিলা কনস্টেবল ওই প্রতারকের ফাঁদে পড়েছেন। এমনকী, তাঁদের থেকে ২ কোটি টাকারও বেশি তুলেছে বলেও অভিযোগ ধৃতের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলা পুলিশকর্মীকে বিয়েও করেছে অভিযুক্ত।
বরেলি কোতওয়ালি থানার পুলিশ স্যাটেলাইট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। এসপি সিটি রাহুল ভাটি এই খবর নিশ্চিত করেছেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণী পাশ। রাহুল ভাটি জানান, পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে মহিলা পুলিশকর্মীদের বিষয়ে তথ্য বার করত অভিযুক্ত। কোথায় কোন মহিলা পুলিশকর্মীর পোস্টিং, সেটাও সে জানত। এরপর নিজেকে পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখত সে। এর জন্য পুলিশের উর্দি পরা ছবিও পাঠাত ওই মহিলাদের। Representational Image
বরেলি কোতওয়ালি থানার পুলিশ স্যাটেলাইট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। এসপি সিটি রাহুল ভাটি এই খবর নিশ্চিত করেছেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণী পাশ।
রাহুল ভাটি জানান, পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে মহিলা পুলিশকর্মীদের বিষয়ে তথ্য বার করত অভিযুক্ত। কোথায় কোন মহিলা পুলিশকর্মীর পোস্টিং, সেটাও সে জানত। এরপর নিজেকে পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখত সে। এর জন্য পুলিশের উর্দি পরা ছবিও পাঠাত ওই মহিলাদের। Representational Image
এমনকী, বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিত সে। আর ফাঁদে পা দিলেই মহিলা পুলিশকর্মীদের থেকে টাকা লুঠ করত রাজন ভার্মা নামের ওই অভিযুক্ত। এমন ৮-১০টি ঘটনার কথা নিজে মুখেই স্বীকার করে নিয়েছে সে। তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বরেলি জেলার কোতওয়ালি থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, এক মহিলা পুলিশকর্মীর থেকে সে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল ৷ Representational Image
এমনকী, বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিত সে। আর ফাঁদে পা দিলেই মহিলা পুলিশকর্মীদের থেকে টাকা লুঠ করত রাজন ভার্মা নামের ওই অভিযুক্ত। এমন ৮-১০টি ঘটনার কথা নিজে মুখেই স্বীকার করে নিয়েছে সে। তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বরেলি জেলার কোতওয়ালি থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, এক মহিলা পুলিশকর্মীর থেকে সে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল ৷ Representational Image
পুলিশ সূত্রে খবর, এই রাজন ভার্মা লখিমপুর খেরির বাসিন্দা। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত রাজনের থেকে টাকা নিয়েছিল এক এসওজি কনস্টেবল। ফলে এখান থেকেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় অভিযুক্তের ওঠা-বসা। চাকরি না পাওয়ায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গেই মেলামেশা করতে শুরু করে সে। এমনকী তাঁদের জীবনযাপনের বিষয়েও জেনে যায়। Representational Image
পুলিশ সূত্রে খবর, এই রাজন ভার্মা লখিমপুর খেরির বাসিন্দা। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত রাজনের থেকে টাকা নিয়েছিল এক এসওজি কনস্টেবল। ফলে এখান থেকেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় অভিযুক্তের ওঠা-বসা। চাকরি না পাওয়ায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গেই মেলামেশা করতে শুরু করে সে। এমনকী তাঁদের জীবনযাপনের বিষয়েও জেনে যায়। Representational Image
কীভাবে উর্দি পরতে হয়, কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ধরতে হয়, কীভাবে স্যালুট করতে হয়, এই সমস্ত জিনিস শিখে ফাঁদ পাততে শুরু করে রাজন। এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে রীতিমতো প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়েও করে সে। কিন্তু সত্যিটা জানাজানি হতেই অবশ্য সেই বিয়ে ভেঙে যায়। তবে রাজনের এই নেশা কিন্তু থেমে থাকেনি। একই কায়দায় মহিলা পুলিশকর্মীদের ফাঁসাতে থাকে সে। কিন্তু এক মহিলা কনস্টেবল বরেলি থানায় অভিযোগ দায়ের করতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ওই মহিলা কনস্টেবল জানান, জমির ঋণের কাগজপত্র নিয়ে রাজন ভার্মা জালিয়াতি করে একটি গাড়ি নিয়েছিলেন। যখন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটতে শুরু করে, তখনই ভুয়ো পুলিশকর্মীর সত্য সামনে আসে। Representational Image
কীভাবে উর্দি পরতে হয়, কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ধরতে হয়, কীভাবে স্যালুট করতে হয়, এই সমস্ত জিনিস শিখে ফাঁদ পাততে শুরু করে রাজন। এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে রীতিমতো প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়েও করে সে। কিন্তু সত্যিটা জানাজানি হতেই অবশ্য সেই বিয়ে ভেঙে যায়।
তবে রাজনের এই নেশা কিন্তু থেমে থাকেনি। একই কায়দায় মহিলা পুলিশকর্মীদের ফাঁসাতে থাকে সে। কিন্তু এক মহিলা কনস্টেবল বরেলি থানায় অভিযোগ দায়ের করতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ওই মহিলা কনস্টেবল জানান, জমির ঋণের কাগজপত্র নিয়ে রাজন ভার্মা জালিয়াতি করে একটি গাড়ি নিয়েছিলেন। যখন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটতে শুরু করে, তখনই ভুয়ো পুলিশকর্মীর সত্য সামনে আসে। Representational Image