গণেশ মূর্তি

Ganesh Chaturthi 2024: রাত পোহালেই গণেশ চতুর্থী, দেখা মিলল লালবাগচা রাজার প্রথম দর্শন! ছবি দেখলে মুগ্ধ হবেন

মুম্বই: এক বছরের প্রতীক্ষার অবসান। ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন গণপতি বাপ্পা। ফলে উৎসবের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছে মুম্বই। এদিকে গণেশ চতুর্থীর প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার লালবাগচা রাজার প্রথম দর্শন পাওয়া গেল। যার জন্য বহু সময় ধরেই অপেক্ষা করেছিলেন মুম্বইকররা।

লালবাগচা রাজার পরনে মেরুন রঙা পোশাক। যা দেখে মোহিত দর্শনার্থীরা। মুম্বইয়ের বাণিজ্যনগরীর মধ্যে সবথেকে বেশি দর্শনীয় পুতলাবাঈ চওলের এই লালবাগচা রাজা। আমজনতা থেকে শুরু করে তারকা কেউ বাদ যান না। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ দর্শনাথীর সমাগম ঘটে এখানে।

আরও পড়ুন: বাড়িতে গণেশ পুজো করবেন? সিদ্ধিদাতার ভোগে এগুলি রাখতেই হবে! জেনে নিন পুরোহিতের মত

চলতি বছর ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে গণপতি উৎসব। আর এটাই মহারাষ্ট্রের সবথেকে বড় উৎসব। যা প্রায় ১০ দিন ধরে চলে। আনন্দমুখর এই উৎসবের শেষে হয় বিসর্জন। আর এই বিসর্জনের শোভাযাত্রাও হয় বেশ রাজকীয়। সেই কারণে উৎসেবর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে পুরোদমে। এদিকে যাঁরা বিগ্রহ নির্মাণ করছেন, তাঁরা আজকাল ভগবান গণেশের পরিবেশবান্ধব মূর্তি বানাচ্ছেন। আর উৎসবের রেশ কিন্তু দেখা যাচ্ছে দোকান-বাজারেও।

আরও পড়ুন: সন্দীপের সঙ্গে এত খাতির! এমন এক ব্যক্তিকে ধরেছে সিবিআই, যার কাণ্ডকারখানা চোখ কপালে তুলে দেবে

কিন্তু অনেকেই জানেন না, কিংবদন্তি লালবাগের রাজার ইতিহাস। আর সেই ইতিহাস ১৯০০ শতকের গোড়ার দিকের পুরনো। আসলে সেখানকার বিস্তীর্ণ পারেল এলাকা জুড়ে ছিল প্রচুর কাপড়ের কল। ১৯৩০-এর দশকে শিল্পায়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই কাপড়ের কলগুলির উল্লেখযোগ্য উত্থান ধরা পড়ে। যা স্থানীয় সম্প্রদায় এবং তাঁদের জীবনযাপনের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

স্থানীয় কিংবদন্তির মতে, শিল্পায়নের সময় মৎস্যজীবী এবং ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রিয় দেবতা ভগবান গণেশের পুজোর দিকে ঝোঁকেন। তাঁদের প্রার্থনায় সাড়া মেলে। একটুকরো জমি উপহারস্বরূপ পেয়েছিলেন তাঁরা। বর্তমানে যা ব্যস্তমুখর লালবাগ মার্কেট নামে পরিচিত। এই বিষয়টিকে অবশ্য ভগবান গণেশের দৈব আশীর্বাদ হিসেবেই দেখেন সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ।

আর এই দৈব আশীর্বাদের কারণেই স্থানীয়রা উপহারে পাওয়া জমির একটা অংশ গণপতি উৎসবের জন্য উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে সেখানেই তৈরি হয় লালবাগচা রাজা সার্বজনীক গণেশোৎসব মণ্ডল। প্রতি বছর সেখানেই ভগবান গণপতির বিগ্রহ স্থাপন করা হয়। নানা ধরনের রাজকীয় পোশাকে দর্শন দেন লালবাগচা রাজা। আর সময় যত এগিয়েছে, এই উৎসবের রাজকীয়তাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা গিয়ে বেড়েছে। চলে মণ্ডপের প্রতিযোগিতাও। আর এভাবেইমুম্বইয়ের গণেশ উৎসবের রাজা হয়ে উঠেছেন লালবাগচা রাজা।