কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : যেন ভূতুড়ে কারবার চলছিল এই গ্রাম পঞ্চায়েতে। জীবিত মানুষের নামেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল ডেথ সার্টিফিকেট। হাতেনাতে সেই ঘটনা ধরে ফেলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।
আসলে কী হয়েছিল? গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীনন্দা রায় মোহান্তি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতে লক্ষীর ভান্ডার সংক্রান্ত একটি নথি জমা পড়ে। সেখানে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করার আবেদন জমা করা হয়েছিল বলে খবর। সেই নথি থেকেই একটি পুরানো ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করতেই পুরো ঘটনা সামনে আসে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
প্রথমে এই ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে পঞ্চায়েত অফিসে ডাকা হয়। সেখানে তাকে পুরো বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনি পুরো ঘটনা জানিয়ে দেন। দেখা যায় এই ঘটনায় মোট তিনজন জড়িত রয়েছেন। তারপরে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয় কাঁকসা থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন শুক্রবার তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১০০০ টাকা নিয়ে এই দেশে গেলেই হবে ৩ লাখ, সস্তায় ছবির মতো সুন্দর বিদেশ ঘুরতে যাবেন নাকি?
সূত্রের খবর পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পঞ্চায়েত প্রধান বলছেন, “এই ধরনের কাজকর্ম করলে সরকারি দফতরের যেমন বদনাম, তেমনভাবেই যার নামে হচ্ছে তিনিও বিপদে পড়বেন। যদিও কেন এই ধরনের কাজকর্ম করা হচ্ছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট এখনও কিছু জানা যায়নি। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।