লাইফস্টাইল IVF: আইভিএফ কাদের উপর প্রয়োগ করা হয়? আসলে এই প্রক্রিয়াটি কী? জানালেন বিশেষজ্ঞ… Gallery September 6, 2024 Bangla Digital Desk আইভিএফ (ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। যা বহু দম্পতিদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। ধানবাদের আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডা. নেহা প্রিয়দর্শিনীর মতে, এই পদ্ধতিটি মূলত ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের উপর প্রয়োগ করা হয়। যাঁদের ডিম্বাণু সংক্রান্ত সমস্যা, কিংবা যাঁদের স্বামীর শুক্রাণুর সংখ্যা কম, কিংবা যাঁদের টিউব ব্লক থাকে, তাঁদের উপরই প্রয়োগ করা হয় এটা। ডা. নেহা Local 18-কে বলেন যে, গত ১০ বছরে তিনি আইভিএফ-এর মাধ্যমে অনেক দম্পতির মা-বাবা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, আইভিএফ সেই ক্ষেত্রে কার্যকর, যখন ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু শরীরের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক ভাবে মিলিত হতে পারে না। এই অবস্থায় ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুকে শরীরের বাইরে একটি টেস্টটিউবে মিলিত করা হয়। এর ফলে ভ্রূণ তৈরি হয় এবং তারপর ভ্রূণটিকে মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়।আইভিএফ সম্পর্কে মানুষের প্রায়ই ভুল ধারণা থাকে। যেমন – আইভিএফ-এর মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো সন্তান পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে ডা. নেহা বলেন, বাবা-মা যেমন হবে, সন্তানও কিন্তু তেমনই হবে। আইভিএফ-এর খরচ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ডা. নেহা Local 18-কে বলেন যে, প্রক্রিয়াটি বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে। তবে এর খরচ নির্ভর করে রোগীর জটিলতা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধার উপর। ডা. নেহা প্রিয়দর্শিনী ১০ বছর ধরে ধানবাদ শহরের কেন্দ্রে কাজ করছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য রোগীর একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এইভাবে, আইভিএফ সেই দম্পতিদের জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে, যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করতে অক্ষম। তবে এ নিয়ে ছড়িয়ে থাকা ভ্রান্ত ধারণাগুলোও দূর করা প্রয়োজন। ডক্টর নেহা বলেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বাবা-মা হওয়ার আশা পূরণ হতে পারে। কিন্তু এটাকে অলৌকিক সমাধান হিসেবে দেখলে ভুল হবে।