Tag Archives: IVF

IVF: আইভিএফ-এর মাধ্যমে সন্তানের পরিকল্পনা? এই বিষয়গুলো অবশ্যই জেনে নিন

শিলিগুড়ি : ইদানিং ঘরে-ঘরে বাড়ছে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত নানা সমস্যা। শারীরিক অসুস্থতা তো বটেই, সেই সঙ্গে বড় সমস্যা হয়ে উঠছে বন্ধ্যাত্ব। বহু দম্পতি ভুগছেন গর্ভধারণ না করতে পারার সমস্যায়। তবে এখন বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা অনেক উন্নত। আইভিএফ অনেক নিঃসন্তান দম্পতির মুখেই হাসি ফুটিয়েছে। এই পদ্ধতি কার্যকরী।

প্রজেস্টেরন একটি অপরিহার্য হরমোন যা সুস্থ গর্ভাবস্থার জন্য জরুরি। কাজেই,  ডাক্তার যেভাবে এবং যে ওষুধগুলো খেতে বলেছে, তা নিয়ম মেনে খেতে হবে।

 যাঁরা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করতে চান, তাঁদের প্রত্যেক দিন অন্তত ৩০ মিনিট কার্ডিও এক্সারসাইজ করতে হবে। আইভিএফ শুরু হওয়ার পরও মেয়েদের শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। তার জন্য কার্ডিও করা খুব জরুরি। তবে ভ্রূণ স্থানান্তরের পর এবং আপনার গর্ভাবস্থার সময় লাফালাফি করবেন না, দৌড়বেন না, সাঁতার কাটবেন না এবং ভারী ওজন তুলবেন না।অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম সন্তানের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিতে পারে।

মানসিক চাপ যে শুধু আইভিএফ পদ্ধতিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে তাই নয়, আপনার শরীরে নানা রকম জটিলতার কারণও হতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যোগ, ম্যাসাজ, ডায়েরি লেখা, ধ্যান, হাঁটা— অনেক ভাবেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

 ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। যেমন মাছ, মাংস,ডিম। খেতে পারেন পনির, ডাল। জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

ধূমপান ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকর। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন। আপনার আইভিএফ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়ার সময় ধূমপান নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করবেন।

অনেকেরই বয়স বাড়লে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হতেই পারে। তা ছাড়া কর্মব্যস্ত জীবনে অত্যধিক মানসিক চাপ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেও সন্তানধারণে সমস্যা হয়ে থাকে।ইদানীং আইভিএফ অথবা ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেকে দম্পতি সন্তানসুখ লাভ করছেন। পদ্ধতিটি একটু খরচসাপেক্ষ হলেও সন্তান ধারণ করা সম্ভব। তবে জীবনশৈলির একটু পরিবর্তন অবশ্যই দরকার।

অনির্বাণ রায়

IVF: আইভিএফ কাদের উপর প্রয়োগ করা হয়? আসলে এই প্রক্রিয়াটি কী? জানালেন বিশেষজ্ঞ…

আইভিএফ (ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। যা বহু দম্পতিদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। ধানবাদের আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডা. নেহা প্রিয়দর্শিনীর মতে, এই পদ্ধতিটি মূলত ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের উপর প্রয়োগ করা হয়। যাঁদের ডিম্বাণু সংক্রান্ত সমস্যা, কিংবা যাঁদের স্বামীর শুক্রাণুর সংখ্যা কম, কিংবা যাঁদের টিউব ব্লক থাকে, তাঁদের উপরই প্রয়োগ করা হয় এটা।
আইভিএফ (ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। যা বহু দম্পতিদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। ধানবাদের আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডা. নেহা প্রিয়দর্শিনীর মতে, এই পদ্ধতিটি মূলত ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের উপর প্রয়োগ করা হয়। যাঁদের ডিম্বাণু সংক্রান্ত সমস্যা, কিংবা যাঁদের স্বামীর শুক্রাণুর সংখ্যা কম, কিংবা যাঁদের টিউব ব্লক থাকে, তাঁদের উপরই প্রয়োগ করা হয় এটা।
ডা. নেহা Local 18-কে বলেন যে, গত ১০ বছরে তিনি আইভিএফ-এর মাধ্যমে অনেক দম্পতির মা-বাবা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, আইভিএফ সেই ক্ষেত্রে কার্যকর, যখন ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু শরীরের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক ভাবে মিলিত হতে পারে না। এই অবস্থায় ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুকে শরীরের বাইরে একটি টেস্টটিউবে মিলিত করা হয়।
ডা. নেহা Local 18-কে বলেন যে, গত ১০ বছরে তিনি আইভিএফ-এর মাধ্যমে অনেক দম্পতির মা-বাবা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, আইভিএফ সেই ক্ষেত্রে কার্যকর, যখন ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু শরীরের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক ভাবে মিলিত হতে পারে না। এই অবস্থায় ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুকে শরীরের বাইরে একটি টেস্টটিউবে মিলিত করা হয়।
 এর ফলে ভ্রূণ তৈরি হয় এবং তারপর ভ্রূণটিকে মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়।আইভিএফ সম্পর্কে মানুষের প্রায়ই ভুল ধারণা থাকে। যেমন - আইভিএফ-এর মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো সন্তান পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে ডা. নেহা বলেন, বাবা-মা যেমন হবে, সন্তানও কিন্তু তেমনই হবে।
এর ফলে ভ্রূণ তৈরি হয় এবং তারপর ভ্রূণটিকে মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়।
আইভিএফ সম্পর্কে মানুষের প্রায়ই ভুল ধারণা থাকে। যেমন – আইভিএফ-এর মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো সন্তান পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে ডা. নেহা বলেন, বাবা-মা যেমন হবে, সন্তানও কিন্তু তেমনই হবে।
আইভিএফ-এর খরচ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ডা. নেহা Local 18-কে বলেন যে, প্রক্রিয়াটি বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে। তবে এর খরচ নির্ভর করে রোগীর জটিলতা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধার উপর। ডা. নেহা প্রিয়দর্শিনী ১০ বছর ধরে ধানবাদ শহরের কেন্দ্রে কাজ করছেন।
আইভিএফ-এর খরচ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ডা. নেহা Local 18-কে বলেন যে, প্রক্রিয়াটি বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে। তবে এর খরচ নির্ভর করে রোগীর জটিলতা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধার উপর। ডা. নেহা প্রিয়দর্শিনী ১০ বছর ধরে ধানবাদ শহরের কেন্দ্রে কাজ করছেন।
এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য রোগীর একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এইভাবে, আইভিএফ সেই দম্পতিদের জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে, যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করতে অক্ষম। তবে এ নিয়ে ছড়িয়ে থাকা ভ্রান্ত ধারণাগুলোও দূর করা প্রয়োজন। ডক্টর নেহা বলেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বাবা-মা হওয়ার আশা পূরণ হতে পারে। কিন্তু এটাকে অলৌকিক সমাধান হিসেবে দেখলে ভুল হবে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য রোগীর একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এইভাবে, আইভিএফ সেই দম্পতিদের জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে, যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করতে অক্ষম। তবে এ নিয়ে ছড়িয়ে থাকা ভ্রান্ত ধারণাগুলোও দূর করা প্রয়োজন। ডক্টর নেহা বলেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বাবা-মা হওয়ার আশা পূরণ হতে পারে। কিন্তু এটাকে অলৌকিক সমাধান হিসেবে দেখলে ভুল হবে।