পাঁচমিশালি টিকিট কাটার আগে সাবধান! ভারতের ‘এই’ ট্রেনগুলি চলে সব থেকে বেশি লেট-এ Gallery September 8, 2024 Bangla Digital Desk ভারতে ট্রেনের সংখ্য়া কম নয়। তবে এমন কিছু ট্রেন রয়েছে যাদের সুনামের বদলে দুর্নামই বেশি। এরপরও ট্রেনগুলিতে ভিড় নেহাত কম হয় না। যেমন কোটা-পাটনা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ইতিমধ্য়েই লেট-এর কারণে রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। ২০১৭-তে ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছতে সময় নিয়েছিল ৭২ ঘণ্টারও বেশি। ভেঙে দিয়েছিল মহানন্দা এক্সপ্রেসের রেকর্ড। পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গন্তব্যে পৌঁছতে এটির সময় লেগেছিল ৭১ ঘণ্টারও বেশি। ‘লেট’ করা ট্রেনের তালিকায় রয়েছে আরও বেশ কিছু নাম। প্রথমেই নাম আসবে একটি স্পেশাল ট্রেনের। যেটি মূলত মুম্বইয়ের দাদার থেকে গোরখপুর যায়। ১৮৮১ কিলোমিটার কভার করতে ট্রেনটির সময় লাগে প্রায় ৩৬ ঘণ্টারও বেশি। পরিসংখ্য়ান বলে, ট্রেনটি গড়ে প্রায় ১৩ ঘণ্টা লেটে পৌঁছয় গন্তব্যস্থলে। রেলযাত্রীর পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, এরপরের নাম নিউদিল্লি-নিউ জলপাইগুড়ি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। গন্তব্যে পৌঁছতে এই ট্রেনের নেওয়া উচিত ২৭ ঘণ্টার সামান্য বেশি। কিন্তু গড়ে ট্রেনটি তার পরও প্রায় ২০ ঘণ্টা সময় নেয় গন্তব্যে পৌছতে। প্রতি বছর ট্রেনটি গড়ে প্রায় ৩৩৮ মিনিট লেটে চলে। পরের নামটি হল গুয়াহাটি-ত্রিভান্দ্রাম এক্সপ্রেসের। গন্তব্যে পৌঁছতে এর ১০-১২ ঘণ্টা লাগলেও, কখনওই সে টাইমে পৌঁছতে পারে না। পরিসংখ্য়ান বলে, গড়ে প্রতি বছর এই ট্রেন ৪৮৮ মিনিট লেটে চলে। সর্বশেষ নাম দিল্লি আনন্দ বিহার টার্মিনাল জোগওয়ানি সুপারফাস্ট সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস। গন্তব্যে পৌঁছানোর হিসাবে গড়ে প্রতি বছর এটি প্রায় ৮ ঘণ্টা লেটে চলে। এবং এই কারণে, ট্রেনটি বেশিরভাগ সময় বাতিলও থাকে।