জঙ্গলের শুকনো পাতা নিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা

Bankura News: বনবাসীরা পাবেন জমির পাট্টা! বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে আশা পূরণ আদিবাসিদের

বাঁকুড়া :  জনজাতি এবং অন্যান্য পরম্পরাগত বনবাসী যারা তিন প্রজন্ম ধরে বনে বসবাস করছেন তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমায়। ১৩ ডিসেম্বর ২০০৫ সালের পূর্বে যারা বনে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কিন্তু অধিকার লিপিবদ্ধ হয়নি, তাদের অধিকার লিপিবদ্ধ করার জন্য বনাধিকার আইন 2006 প্রবর্তিত হয়। এই আইন অনুযায়ী তফসিলি জনজাতি এবং অন্যান্য পরম্পরাগত বনবাসীর উন্নতিসাধন, তাদের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করে।

এই আইনের বিশেষ কিছু উদ্দেশ্যও রয়েছে যেমন, বনবাসীদের জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পৈত্রিক জমির উপর বন অধিকার এবং তাদের বাসস্থান যা ব্রিটিশ আমলের পাশাপাশি স্বাধীন ভারতেও স্বীকৃতি ছিল না, সেই বাসস্থান স্বীকৃতি দেওয়া। এছাড়াও ভূমি অধিকার এবং বনবাসীদের প্রবেশাধিকার দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তাহীনতার সমাধান করা। শুরু হল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে।খাতড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে খাতড়া মহকুমা শাসকের সভাকক্ষে ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিনের শিবিরে খাতড়া মহকুমা এলাকার প্রতিটি পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক এবং বনবিভাগের কর্মীদের নিয়ে ওই শিবিরটি হয়।

আরও পড়ুন : বাঁকুড়ায় পদ্মশ্রী গাছদাদু, দিলেন মোক্ষম দাওয়াই!

শিবিরে উপস্থিত ছিলেন, খাতড়ার মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া সাউথ ডিভিশনের এ ডি এফ ও অসিতকুমার দাস, খাতড়া মহকুমা জনজাতি কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত দে প্রমুখ। এদিনের ওই শিবিরে, বনাধিকার আইন কি?, বনাধিকার আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্য, বনাধিকার আইন প্রয়োগের জন্য কাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, গ্রাম সভা এবং বনাধিকার কমিটির কাজ করার পদ্ধতি – এইসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন উপস্থিত আধিকারিকেরা। খাতড়ার মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তপসিলি জনজাতি এবং অন্যান্য পরম্পরাগত বনবাসী যাঁরা তিন প্রজন্ম বা 2005 সালের ডিসেম্বর মাসের পূর্বে বন দফতরের জায়গায় বসবাস করছেন তাদেরকে ভারতের আইন মেনে সুষ্ঠুভাবে ফরেস্ট পাট্টা দেওয়া হবে। কিভাবে, কোথায় তারা সহজে পাট্টা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন ওইসব বিষয় নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি সচেতন‌ও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : বাঁকুড়ার স্কুলে এ কী কাণ্ড! আনন্দে আত্মহারা ছাত্র থেকে শিক্ষিকা, শুনলে আপনিও খুশি হবেন

পাট্টা প্রদান করতে গ্রাম সভা এবং বন অধিকার কমিটির কাজ করার পদ্ধতি রয়েছে বিশেষ। গ্রামসভা বাস্তু জমি ও চাষাবাদ সংক্রান্ত ফরেস্ট পাট্টার আবেদন জমা নেবে। ইচ্ছুক বনবাসী ফর্ম “ক” তে কমপক্ষে দুটি সাক্ষ্য করে নিজের দাবী জানাবেন। গ্রাম সভা সেই সমস্ত আবেদন গ্রহণ করার জন্য বনাধিকার কমিটিকে পাঠাবে এবং তিন মাসের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ করবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

ফর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দাগ দিয়ে ভূমি দফতরের সরবরাহ করা তথ্য (RORs) এবং হাতে করা নির্ভুল মানচিত্র থাকা প্রয়োজনীয়। মানচিত্রটি যথার্থতা ভূমি দফতরের আধিকারিককেই করতে হবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী