বাঁশি বাজাচ্ছেন চিত্তরঞ্জন

Jalpaiguri News: তাঁর বাঁশির সুরেই কেটে ‌যায় ট্রেন সফরের সব ক্লান্তি! চেনেন এই বাঁশিওয়ালাকে?

জলপাইগুড়ি: পুরো জীবনটাই অন্ধকার! তা সত্ত্বেও হাত পেতে ভিক্ষা নয় বরং গুণের জোরে দু’মুঠো অন্ন জোগানের চেষ্টায় ব্রতী এই ব্যক্তি। হাজার বাধাকে উপেক্ষা করেও যে সৎ পথে কাজ করে জীবনযাপন সম্ভব তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় চিত্তরঞ্জন বাবুর লড়াই। কিন্তু কে এই চিত্তরঞ্জন? কেমনই বা তার লড়াই? জানলে মন স্পর্শ করবেই। জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি যাওয়া আসার অন্যতম ব্যস্ত ষ্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের এক কোণে দেখা মেলে এই ব্যক্তির।

নিত্যযাত্রীরাও এখন চিনে গিয়েছেন এনাকে। স্টেশনের হাজার যাত্রীদের ভীড়ের মাঝে এক কোণে দাঁড়িয়ে বাঁশির সুর তুলে মন মুগ্ধ করে সকলের। একটানা বাজিয়ে যান তিনি। সেই সুরে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই অর্থ সাহায্য করেন। জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ির ব্যস্ততম রেল স্টেশন বলা হয় এই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে। ট্রেনের যাত্রী থেকে ক্লান্ত পথের পথিক সকলেই চিত্তরঞ্জন বাবুর সুরের জালে খানিকক্ষণ হলেও আটকে পড়েন। মন ছুঁয়ে যাওয়া গানের সুর অনুভব করে প্রশংসাও জানান তাকে।

আরও পড়ুন:ইট ও নড়বে না, ছাদও থাকবে অক্ষত, বাড়িটা নিজের জায়গা থেকে উঠে যাবে ৩ ফুট উঁচুতে ! কী করে

তবে এত মানুষের ভালোবাসা চিত্তরঞ্জন বাবু চোখে দেখতে পান না ঠিকই অন্তর থেকে অনুভব করেন বটে! চিত্তরঞ্জন বাবুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত ৩০ বছর ধরেই চলছে তার এই লড়াই। কখনো কখনো ট্রেনে উঠেও যাত্রীদের গান শোনান তিনি।চোখের দৃষ্টি নেই, পরিবার বলেও কেউ নেই, শিলিগুড়ির একটি ভাড়া বাড়িতে একাই চলে জীবনযাপন। বলতে গেলেপৃথিবীতে একা তিনি। কিন্তু, এ হেন জীবন নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তার। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি, আর হাতে বাঁশি এটাই তার একমাত্র সঙ্গী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুরজিৎ দে