লাইফস্টাইল Child Height Tips:তরতরিয়ে লম্বা হবে সন্তান…! এই ‘দুই’ সবজির রসে ম্যাজিক, বাচ্চা টেক্কা দেবে বুদ্ধিতে! ছুঁতে পারবে না কেউ Gallery September 10, 2024 Bangla Digital Desk সন্তানের ওজন ও উচ্চতা নিয়ে মা-বাবাদের চিন্তার শেষ থাকে না। উচ্চতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠিকভাবে না বাড়া নিয়ে অনেক সময়ই দেখা যায় খুব চিন্তায় থাকেন বাবা-মা। বাজারচলতি নানা ধরনের হেলথ ড্রিংকসের উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। আমার সন্তানের গ্রোথ ঠিক হচ্ছে তো? এই এক চিন্তা কাজ করতে থাকে সব মা-বাবার মধ্যেই। সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশই বাবা-মায়ের অন্যতম চিন্তার বিষয় হতে থাকে। বাবা-মা বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধি ঠিকভাবে না হাওয়া নিয়ে অনেক সময়ই দেখা যায় খুব চিন্তায় থাকেন। বাজারচলতি নানা ধরনের হেলথ ড্রিংকসের দিকে ঝোঁকেন তাঁরা। তবে জানলে অবাক হবেন, এক্ষেত্রে দুটি সবজির রস কার্যত মোক্ষম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিনগত হয় বাচ্চার উচ্চতা বা ওজন। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন বা মিনারেসলের অভাবেও এমনটা হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে এক্ষেত্রে উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস অনেক সময় চমৎকার কাজ করে। মনোবিদদের মতে, উচ্চতা না বাড়া কমিয়ে দিতে পারে শিশুর আত্মবিশ্বাসও। দেখুন এক্ষেত্রে কীভাবে ঘরোয়া উপায়েই আপনি করতে পারবেন সমাধান। জানলে আশ্চর্য হবেন, দুটি সবজির রস এক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে। পুষ্টিবিদ এবং একজন সার্টিফাইড ডায়াবেটিস শিক্ষাবিদ প্রিয়াঙ্কা সাধুখাঁ তাঁর পরামর্শে বলেন, “যদিও জিন অনেকাংশই উচ্চতা নির্ধারণ করে কিন্তু এই বিষয়ে নিশ্চিত যে প্রাকৃতিক ভাবে খাদ্যের মাধ্যমে বাচ্চাদের সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা সম্ভব।” এই প্রতিবেদনে আমরা এমন দুই সবজিকে তালিকাভুক্ত করেছি যা আপনার শিশুর সামগ্রিক শারীরিক বিকাশে সহায়তা করতে পারে, যা বৃদ্ধির হরমোন উত্পাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। ডায়েটিশিয়ান জেসি ফেডার বলেছেন, “শিশুরা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর, সু-ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করে প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে পালং শাকের মতো সবুজ সবজি।” বাচ্চাদের নিয়মিত পালং শাকের রস দিলে তাদের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয় এবং দৃষ্টিশক্তিও ভাল থাকে। এছাড়া শিশুদের উচ্চতা বাড়াতেও পালং শাকের রস খুবই উপকারী। কী ভাবে বানাবেন এই রস? পালংশাকের রস তৈরি করতে প্রথমে পালংশাক ধুয়ে কেটে নিন। এরপর শিশুর পছন্দের যে কোনো একটি ফল কেটে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই পালং শাকের পিউরিটি ছেঁকে নিয়ে তাতে সামান্য লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে আপনার শিশুকে পান করতে দিন। মিড-মর্নিং স্ন্যাক্স হিসেবেও এটি দিতে পারেন। অ্যাভোকাডোতে রয়েছে হাই ক্যালোরি। এবং এটি পুষ্টিগুণ ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। অ্যাভোকাডো খেলে শিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হজমের সমস্যাও দূর হয়। অ্যাভোকাডো শিশুদের চোখ ভালো রাখতেও সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোর জুস তৈরি করতে প্রথমে অ্যাভোকাডো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে মিক্সারে দিন। এবার সামান্য জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তাতে লেবুর রস আর মধু মেশান। চাইলে সামান্য পুদিনা পাতাও যোগ করতে পারেন এই শেষে। আর এই ভাবে দিলে বাচ্চারাও অ্যাভোকাডোর রস খেতে একটুও না বলবে না। আর চোখের সামনে দেখুন কী ভাবে তরতরিয়ে লম্বা হয় আপনার সন্তান। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।