সন্তানের ওজন ও উচ্চতা নিয়ে মা-বাবাদের চিন্তার শেষ থাকে না। উচ্চতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠিকভাবে না বাড়া নিয়ে অনেক সময়ই দেখা যায় খুব চিন্তায় থাকেন বাবা-মা। বাজারচলতি নানা ধরনের হেলথ ড্রিংকসের উপর ভরসা রাখেন অনেকেই।
আমার সন্তানের গ্রোথ ঠিক হচ্ছে তো? এই এক চিন্তা কাজ করতে থাকে সব মা-বাবার মধ্যেই। সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশই বাবা-মায়ের অন্যতম চিন্তার বিষয় হতে থাকে।
বাবা-মা বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধি ঠিকভাবে না হাওয়া নিয়ে অনেক সময়ই দেখা যায় খুব চিন্তায় থাকেন। বাজারচলতি নানা ধরনের হেলথ ড্রিংকসের দিকে ঝোঁকেন তাঁরা। তবে জানলে অবাক হবেন, এক্ষেত্রে দুটি সবজির রস কার্যত মোক্ষম।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিনগত হয় বাচ্চার উচ্চতা বা ওজন। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন বা মিনারেসলের অভাবেও এমনটা হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে এক্ষেত্রে উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস অনেক সময় চমৎকার কাজ করে।
মনোবিদদের মতে, উচ্চতা না বাড়া কমিয়ে দিতে পারে শিশুর আত্মবিশ্বাসও। দেখুন এক্ষেত্রে কীভাবে ঘরোয়া উপায়েই আপনি করতে পারবেন সমাধান। জানলে আশ্চর্য হবেন, দুটি সবজির রস এক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে।
পুষ্টিবিদ এবং একজন সার্টিফাইড ডায়াবেটিস শিক্ষাবিদ প্রিয়াঙ্কা সাধুখাঁ তাঁর পরামর্শে বলেন, “যদিও জিন অনেকাংশই উচ্চতা নির্ধারণ করে কিন্তু এই বিষয়ে নিশ্চিত যে প্রাকৃতিক ভাবে খাদ্যের মাধ্যমে বাচ্চাদের সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা সম্ভব।”
এই প্রতিবেদনে আমরা এমন দুই সবজিকে তালিকাভুক্ত করেছি যা আপনার শিশুর সামগ্রিক শারীরিক বিকাশে সহায়তা করতে পারে, যা বৃদ্ধির হরমোন উত্পাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
ডায়েটিশিয়ান জেসি ফেডার বলেছেন, “শিশুরা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর, সু-ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করে প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে পালং শাকের মতো সবুজ সবজি।”
বাচ্চাদের নিয়মিত পালং শাকের রস দিলে তাদের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয় এবং দৃষ্টিশক্তিও ভাল থাকে। এছাড়া শিশুদের উচ্চতা বাড়াতেও পালং শাকের রস খুবই উপকারী।
কী ভাবে বানাবেন এই রস? পালংশাকের রস তৈরি করতে প্রথমে পালংশাক ধুয়ে কেটে নিন। এরপর শিশুর পছন্দের যে কোনো একটি ফল কেটে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই পালং শাকের পিউরিটি ছেঁকে নিয়ে তাতে সামান্য লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে আপনার শিশুকে পান করতে দিন। মিড-মর্নিং স্ন্যাক্স হিসেবেও এটি দিতে পারেন।
অ্যাভোকাডোতে রয়েছে হাই ক্যালোরি। এবং এটি পুষ্টিগুণ ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। অ্যাভোকাডো খেলে শিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হজমের সমস্যাও দূর হয়। অ্যাভোকাডো শিশুদের চোখ ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডোর জুস তৈরি করতে প্রথমে অ্যাভোকাডো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে মিক্সারে দিন। এবার সামান্য জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তাতে লেবুর রস আর মধু মেশান।
চাইলে সামান্য পুদিনা পাতাও যোগ করতে পারেন এই শেষে। আর এই ভাবে দিলে বাচ্চারাও অ্যাভোকাডোর রস খেতে একটুও না বলবে না। আর চোখের সামনে দেখুন কী ভাবে তরতরিয়ে লম্বা হয় আপনার সন্তান।
শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
*ডেঙ্গুর প্রকোপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাবালকের। তবে এই বর্ষার মরশুমে শুধু ডেঙ্গু নয়, ডেঙ্গুর পাশাপাশি মশা বাহিত রোগ, জল বাহিত রোগ, জ্বর-কাশির উপসর্গ দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে। প্রতিবেদনঃ রঞ্জন চন্দ। সংগৃহীত ছবি।
*এই বর্ষার সময় কীভাবে বাড়ির বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখা যাবে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা সবিস্তারে তুলে ধরলেন এক চিকিৎসক। পশ্চিম মেদিনীপুরে ইতিমধ্যেই ১২ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। যার পর আতঙ্ক বাড়ছে। সংগৃহীত ছবি।
*তবে আতঙ্ক নয়, সতর্ক ও সচেতন থাকার নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন, বাড়বে না ডেঙ্গু। সুস্থ থাকবেন সপরিবারে। আপনাকে যা যা করতে হবে রইল তার পরামর্শ। পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশুমান মিশ্র। সংগৃহীত ছবি।
*বালকের মৃত্যুর পর সজাগ হয়েছে প্রশাসন। জেলাতে আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি দিচ্ছে তারা। যদিও ডেঙ্গুতে বালকের মৃত্যু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। প্রশাসন জানাচ্ছে, বাইরে গিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল বালক। সংগৃহীত ছবি।
*তবে জেলাতে যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নেই, তা কিন্তু নয়। চিকিৎসক অংশুমান মিশ্র জানালেন কীভাবে শিশুদের ডেঙ্গি থেকে দূরে রাখতে হবে। কীভাবে সতর্ক থাকবেন পরিবারের লোকজন। মূলত বর্ষার এই সময় ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে জ্বর, কাশি, গায়ে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। সংগৃহীত ছবি।
*বর্ষার সময়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, চিকনগুনিয়া, ইনসেফ্যালাইটিস এর মত রোগ লক্ষণ দেখা যায়। যে ক্ষেত্রে প্রধান পরিলক্ষিত হয় জ্বর। তবে বাচ্চাদের জ্বর কিংবা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। সংগৃহীত ছবি।
*এছাড়াও বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জল জমতে না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খাওয়া উচিত বলে মত চিকিৎসকের। বেশ কিছু নিয়ম মানলে সুস্থ থাকা যাবে অনায়াসে। সংগৃহীত ছবি।
২০২৪ সালের বিশ্ব সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সারা পৃথিবীর প্রায় ১৬০ মিলিয়ন শিশু ওবিসিটির সমস্যায় ভুগছে৷ এদের প্রত্যেকের বয়সসীমা পাঁচ থেকে উনিশ বছরের মধ্যে৷ মূলত আমাদের ফাস্ট লাইফস্টাইলই এই সমস্যার প্রধানতম কারণ৷ ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্যের প্রতি ভালবাসা, অতিরিক্ত শর্করার ব্যবহারে এই সমস্যা আরও জেঁকে বসছে৷
আমাদের প্রতিদিনের ঘুমেও হানা দিচ্ছে স্ট্রেস৷ বাড়ছে স্ক্রিনটাইম৷ খেলাধুলার সময়ও কমে যাচ্ছে৷ যার ফল এই ওবিসিটি৷ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জীবনযাপনে একটু-আধটু পরিবর্তন তো দরকার! সেই নিয়েই কথা বললেন বেঙ্গালুরুর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: শ্রীরাম বনু৷
প্রথমেই ফাস্টফুড খাবারে বিরতি দিন৷ দেখুন আপনার সন্তানটি যে খাবার খাচ্ছে, তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে কি না৷ সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি, প্রোটিন যেন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই থাকে৷
এখন পড়াশোনা চাপে হোক বা গেম খেলার অমোঘ আকর্ষণ, আপনার সন্তানটি বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করছে তো? নজর দিন সেই দিকে৷ এই বয়স থেকেই ওবিসিটি কমাতে পর্যাপ্ত-পরিমাণে শরীরচর্চা করা দরকার৷ আপনার সন্তানকে বইয়ের পাহাড় ও ইন্টারনেটের দুনিয়া থেকে বাইরে নিয়ে যান৷ অন্তত আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা শরীর চর্চা করা দরকার৷ সেক্ষেত্রে সাইকেলিং, সাঁতার, খেলাধূলা-সহ যে কোনও ধরনের ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি করলেই হবে৷
লক্ষ্য ছাড়া তো কোনও কাজ হয় না৷ আজকে, যেখানে চাইল্ড ওবিসিটি প্রায় এক মহামারিতে পরিণত সেখানেও দরকার সঠিক লক্ষ্য৷ প্রতিদিন একটু একটু করে পুরো পরিবারের জীবন-যাপনের বদল আনতে হবে৷ সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া আজকের ফাস্ট লাইফস্টাইলের যুগে সুস্থ জীবনযাপন করা প্রায় অসম্ভব৷
ধরুন আপনার সন্তানকে বাইরের খাবার কেলেই আপনি রে রে করে উঠছেন৷ কিন্তু পিৎজা, বার্গার ছাড়া আপনার উইকএন্ড কাটে না৷ এই রকম হলে তো চলবে না৷ ফ্রিজে আইসক্রিম রেখে সন্তানকে আইসক্রিম খেতে বারণ করা যাবে কি? তাই চেষ্টা করুন কেবল সন্তানটিকে শাসনের গন্ডিতে আটকালে চলবে না৷ নিজেদের জীবনেও স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস করে নিন৷
আমাদের সমস্যা, আমরা অনেকেই ওবিসিটি সম্বন্ধে সচেতনই নই৷ ‘‘বাচ্চারা খেতে চায় না’’ শুধু মাত্র এই কথা বললেই তো চলবে না৷ বাচ্চাকে সুস্থ জীবনযাপনের মাহাত্ম বোঝান৷ ওদের মতো করে শেখান খাদ্যে পুষ্টির গুণাগুণের উপকারিতা৷ ফাস্টফুড খাওয়া কতটা ক্ষতিকর৷ শিশুদের বোঝান৷ ঠিক মতো বোঝালে ওরা নিশ্চয়ই বুঝবেন৷ তবে সবার আগে দরকার বাবা-মাদের এই নিয়ে সচেতন হওয়া৷
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, অথচ তার শিশু বিভাগে নেই কোনও পাখা। ফলে এই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের। এমনই বেহাল অবস্থা বারুইপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত এই সরকারি হাসপাতালের অবস্থা দেখলে আপনার ভয় লাগবে।
বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগের আউটডোরে নেই পাখা। ফলে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরও গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। এই প্রচন্ড গরমে পাখা না থাকায় অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমনিতে এই হাসপাতালের বাহ্যিক চাকচিক্যে কোনও অভাব নেই। সুসজ্জিত শিশু বিভাগের আউটডোর। আলো জ্বলছে। কিন্তু পাখার দেখা নেই। ফলে তীব্র গরমে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে রোগীদের। কষ্টে নাভিশ্বাস উঠছে শিশুদের।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু নদিয়ার যুবকের, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ পরিবার
এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ, পাখা বসানোর নাম করে ওয়ারিং-এর কাজ হয়ে আছে বহুদিন আগে থেকে। কিন্তু পাখা আর লাগানো হচ্ছে না। এদিকে এই সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল সুদুর সুন্দরবনের কুলতলি, জয়নগর থেকে শুরু করে বারুইপুর, বিষ্ণুপুর, সোনারপুর এমনকী মগরাহাট এলাকার মানুষজন। মূলত এই সমস্ত এলাকাগুলিতে প্রাথমিক এবং ব্লক হাসপাতাল থাকলেও বড় কোনও সমস্যা হলে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হয়। প্রতিনিয়ত আউটডোরে রোগীর ভিড়ে নাস্তানুবুদ হতে হয় চিকিৎসকদের। সেখানকার শিশু বিভাগের পরিকাঠাময় এমন বড়সড় গলদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাবনা-চিন্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
সুমন সাহা
অসহ্যকর গরম। বাইরে বেরোলেই ঠান্ডা পানীয়ের জন্য মনটা আকুলি বিকুলি করে। বিশেষত বাড়ির কচিকাঁচাদের গরমে ঠান্ডা পানীয়ের প্রতি আগ্রহ আরও বেশি হয়। কিন্তু জানেন কী কোল্ড ড্রিঙ্কস কী ঘটাচ্ছে শরীরে?
কোল্ড ড্রিঙ্ক যে শরীরের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়, তা প্রায় কমবেশি সকলেই জানেন। কিন্তু শরীরের ঠিক কতটা ক্ষতি করছে তা জানেন কী? বিশেষত বাচ্চাদের জন্য এই ধরণের ঠান্ডা কত সমস্যা ডেকে আনতে পারে তা জানলে অবাক হতে হয়।
ড: পবন ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানালেন কোল্ড ড্রিঙ্কের ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক দিকগুলি সম্পর্কে। বাচ্চাদের শরীরের ঠিক কতখানি ক্ষতি করছে এগুলি, জানলে চমকে উঠবেন।
কোল্ড ড্রিংকগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকে, যা শিশুদের স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। বাচ্চাদের অত্যধিক ওজন বাড়ে। এছাড়াও, এগুলিতে কোনও পুষ্টি উপাদান থাকে না, যার কারণে শিশুরা প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলির ঘাটতিতে ভুগতে পারে।
পানীয় হলেও শরীরে ডিহাইড্রেশনকে আরও বাড়িয়ে দেয় ঠান্ডা পানীয়। তাই বাচ্চাদের শরীরে জলের পরিমাণ কমে যেতে পারে কোল্ড ড্রিঙ্ক খেলে।
ড: পবন জানালেন কোল্ড ড্রিঙ্ক বাচ্চাদের হার্টের জন্যও মোটেই ভাল নয়। শিশুদের হৃদরোগের সম্ভাবনাও কোনও ক্ষেত্রে বাড়িয়ে দিতে পারে।
ঠান্ডা পানীয়তে উপস্থিত চিনি এবং অ্যাসিড দাঁতের এনামেলকে দুর্বল করে দিতে পারে, যা দাঁতের ক্ষয় এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।
কোল্ড ড্রিঙ্ক হজমের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। ফলে শিশুদের পেটে ব্যথা, গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
কোল্ড ড্রিঙ্কে উপস্থিত ফসফোরিক অ্যাসিড শরীরে ক্যালসিয়ামের স্তরকে কমিয়ে দেয়। ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে। তাই কোল্ড ড্রিঙ্ক হাড়ের ক্ষয় ডেকে আনে।(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
বিরল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন আগেই কেরালায় এক পাঁচ বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। এক ধরণের বিরল মস্তিস্কের সংক্রমণে মৃত্যু হয় পাঁচ বছরের ফুটফুটে প্রাণের। জন্য দায়ী এক ধরণের অ্যামিবা। এই অ্যামিবাকে বলা হয় ‘ব্রেন ইটিং অ্যামিবা’ বা ‘মস্তিষ্ক খাওয়া অ্যামিবা’।
কিন্তু কী এই ‘ব্রেন ইটিং অ্যামিবা’? সত্যিই কি এই অ্যামিবা মানুষের ব্রেন খায়? ভয়ঙ্কর এই অ্যামিবা কীভাবে প্রবেশ করতে পারে মানবদেহে? ছোট্ট শিশুটির মৃত্যুর পর ফের একবার এই প্রশ্নগুলি ঘুরপাক খাচ্ছে বহু মানুষের মনে।
রিপোর্ট অনুসারে, ভারত-সহ ১৬ টিরও বেশি দেশে এটি প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিসের (পিএএম)- রোগ এর কারণ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমেরিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) অনুসারে, নেগেলেরিয়া ফাওলেরি গরম জলের জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
কেরলের মৃত শিশু কন্যাও প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস বা পিএএম-এর চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বেশ কিছুদিন ভেন্টিলেশনেও রাখতে হয়েছিল পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশুকে। কিন্তু কীভাবে দেহে প্রবেশ করে এই অ্যামিবা?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে এটি নাক দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তারপর মস্তিষ্কে পৌঁছায়। ধীরে ধীরে এটি মস্তিষ্ককে ধ্বংস করতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সাধারণত সাঁতার কাটার সময় নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে এই অ্যামিবা।
এটি মস্তিষ্কে পৌঁছানোর পরেই মস্তিস্কের টিস্যুগুলি ধীরে ধীরে ধ্বংস করতে শুরু করে। কেরলের কোকিঝড়ের শিশু কন্যার দেহেও নদীতে স্নান করতে নামার পর দেহে প্রবেশ করেছিল এই মারাত্মক অ্যামিবা।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই অ্যামিবার আক্রমণের পর মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। পরবর্তীতে রোগীর ঘাড়ে শক্ত হয়ে যেতে পারে। বিভ্রান্তি, খিঁচুনি বা হ্যালুসিনেশনও হতে পারে।
রোগী কোমাতেও যেতে পারে। ইউএস সিডিসি অনুসারে, ‘পিএএম-সহ বেশিরভাগ রোগের ক্ষেত্রেই লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার ১ থেকে ১৮ দিনের মধ্যে রোগী মারা যায়। সাধারণত ৫ দিন পর রোগী কোমায় চলে যায়, বা মৃত্যু হয়।
নেগ্লেরিয়া ফাউলেরির সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞানীরা এখনও এই রোগের কার্যকর কোনও চিকিৎসা আবিষ্কার করতে পারেননি। দেশে PAM-এর ২০ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। কোঝিকোড় মামলাটি কেরালা থেকে রিপোর্ট করা সপ্তম মামলা। গত বছরের জুলাই মাসে, আলাপুঝার এক ১৫ বছর বয়সী কিশোর PAM-এ মারা গিয়েছিল বলেই মিডিয়া সূত্রে খবর।
কলকাতা: চিকিৎসা ব্যবস্থায় ক্রমশ এগিয়ে চলেছে কলকাতা। এখন আর শরীরের কোনও সমস্যা হলেই বাংলার মানুষকে বাইরে যেতে হয় না। কলকাতাতেই পাওয়া যায় আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা। সম্প্রতি চিকিৎসার তেমনই নিদর্শন দেখা গেল ডিভাইন নার্সিং হোমে।
আরও পড়ুন: ১৯৯৯ সালে ভারতের ‘বিশ্বাস’ ভেঙেছিল পাকিস্তান, ২৫ বছর পর ভুল স্বীকার নওয়াজ শরিফের
সম্প্রতি বেলেঘাটার ডিভাইন নার্সিং হোমে, চিকিৎসক সুনীল কুমার যাদবের তত্ত্বাবধানে এক শিশুর চিকিৎসা হয়। শিশুটির জন্ম হয় মাত্র ২৫ সপ্তাহ বয়সে। এই অপরিণত শিশুটির জন্ম গ্রহণের সময় ওজন ছিল মাত্র ৬০৫ গ্রাম। জন্মের পরেই শিশুটি শ্বাসের সমস্যা- সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। প্রাথমিক ভাবে শিশুটির চিকিৎসা করা হয় সার্ফ্যাক্ট্যান্ট এবং যান্ত্রিক ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে। তার পরে সিপ্যাপের মাধ্যমে শ্বাসের ব্যবস্থা এবং নলে দিয়ে শিশুটির শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। এত কিছুর পরেও ষষ্ঠ দিনে শিশুটি সেপসিস (এক ধরনের সংক্রমণ) এবং নেক্রোটাইজিং এন্টারোকোলাইটিসে (অন্ত্রের সমস্যা) আক্রান্ত হয়।
এত কিছুর পরেও লড়াই থামাননি চিকিৎসকেরা। ৭০ দিন নার্সিংহোমে থাকার পর শিশুটিকে ১৬৫০ গ্রাম ওজন নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে সফল হন চিকিৎসকেরা। ছেড়ে যাওয়ার সময় শিশুটির চোখ এবং কান পরীক্ষা করা হয় এবং স্বাভাবিক রিপোর্টে সবকিছুই স্বাভাবিক আসে।
Just another WordPress site