টোলপ্লাজায় কর্মীরা মারধর করছেন একে অপরকে!

Bangla News: গভীর রাতে ধুন্ধুমার! একে অপরকে বেদম মারছেন কর্মীরা, দেখেই আতঙ্কিত যাত্রীরা, তুমুল শোরগোল টোলপ্লাজায়

বর্ধমান: গভীর রাতে সংঘর্ষে জড়ালেন জাতীয় সড়কের পালসিট টোল প্লাজায় কর্মীরা। লাঠি বাঁশ নিয়ে চলল মারধর। তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন জাতীয় সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। মারধরে জখম কর্মীদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি উইং অনাময় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এলাকার দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের দুপক্ষের মধ্যে গন্ডগোল, হাতাহাতি, সংঘর্ষ। রবিবার রাতে মেমারির পালসিট টোল প্লাজার ঘটনা।সংঘর্ষের ফলে ৬ – ৭ জন জখম হয়। তাদের বর্ধমান অনাময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন-        বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য ও মেমারি এক নম্বর ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জির গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। জখম কর্মীদের  অভিযোগ, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সোমবার যখন তারা এই আন্দোলন করছিলেন হঠাৎ করেই টোল প্লাজার বেশ কয়েকজন বিধায়ক অনুগামী কর্মী ও বহিরাগত লোকজন এসে তাদের ওপর চড়াও হয়। লাঠি নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। তাতে তাদের বেশ কয়েক জন আহত হয়।

আরও পড়ুন-       বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

তাদের আরও অভিযোগ মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য টোল প্লাজা থেকে প্রতি মাসে  মোটা অংকের টাকা নিতেন। সেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের ওপর এই আক্রমণ বলেই দাবি শ্রমিকদের।যদিও মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্য এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, দু’পক্ষই বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হয়েছে। কাজ না করে মজুরি  নেওয়া ও অবসর নেওয়ার পরও কাজ করে যাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে। এখানে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই।বহিরাগত ছিল কিনা প্রশাসন বলতে পারবে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এই এলাকা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। রবিবার রাতের ঘটনা তারই জের বলেই জানিয়েছেন কর্মীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ।