মা দুর্গা

Durga Puja 2024: গ্রামে ঢোকার মুখে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা, বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির ঠাকুরদালানে তুঙ্গে সাবেকি পুজোর প্রস্তুতি

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: আড়াইশো বছরের প্রাচীন বনেদি পুজো। ভক্তি ভরে রীতিনীতি মেনে গোটা গ্রাম এবং অঞ্চলকে এক জোট করেই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে প্রায় আড়াইশো বছর ধরে। বাঁকুড়া শহরের খুব কাছে। বাঁকুড়া শহরের সানবাঁধা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভূতশহর গ্রাম। রানী অহল্যাবাই রোডের পাশেই অবস্থিত এই গ্রামটি।

এই গ্রামে বহু বছর ধরে হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী মা সংকট তারিণীর মেলা এবং বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজো। গ্রামে প্রবেশ করার আগেই কাশফুল জানান দিচ্ছে দুর্গা পুজো এসে গেছে। গ্রামে ঢুকেই চোখে পড়বে দুর্গামেলা হঠাৎ দুর্গামন্দির, বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গামন্দির। এই অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় বনেদি পুজো গুলোর মধ্যে একটি।বন্দ্যোপাধ্যায়দের জমিদারি ছিল বাঁকুড়া জেলার প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড় সংলগ্ন শুশুনিয়ার হেল্লায়।

আড়াইশো বছর আগে দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় চলে আসেন বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন ভূত শহর গ্রামে। কথিত আছে শুশুনিয়াতে ঘণ্টা বাজার পর পুজো শুরু হত ভূতশহরে। তখন থেকেই পূজিত হয়ে আসছেন মা দুর্গা। এই পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো এবং পুজোর চারটি দিন কেটে যায় হইহই করতে করতে। একদম নিয়ম মেনে পূজিত হন মা দুর্গা। ষষ্ঠীর দিন নদী থেকে কলাবউ নিয়ে এসে বিল্ববরণ করা হয়। তারপর মন্দিরে প্রবেশ করেন মা। অষ্টমীতে পুষ্পাঞ্জলি, মহানবমী এবং দশমীর দিন বিসর্জন।

আরও পড়ুন : বিজয়া দশমীতে চকোলেট বিতরণ! জেনে নিন কোন ঠাকুরদালানে অপেক্ষা করে থাকে এই চমক

দুর্গাপুজো উপলক্ষ করে একত্রিত হয় গোটা গ্রাম এবং সকল পরিবার। প্রত্যেকেই ফিরে আসেন মাটির টানে এবং মায়ের ডাকে। তাই পুজোর সময় অহল্যাবাই রোড ধরে যদি কোথাও যান তাহলে একবার ঢুঁ মেরে দেখতেই পারেন বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজো।