দারভাঙ্গা: মিথিলা অঞ্চলের পানের সুনাম জগৎজোড়া। কিন্তু সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছেন না কৃষকরা। তারপরেও তাঁরা নিজেদের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচানোর জন্য পান চাষ করে চলেছেন। মিথিলাঞ্চলের বাসিন্দারা পান খুব পছন্দ করেন। বিশেষ করে স্থানীয় পানই তাঁদের বেশি পছন্দ। আর এই পান ‘ধানগিরা’ কিংবা ‘ছোটকাগিরা’ নামে পরিচিত।
এই পানটি বেশ সুস্বাদু। তবে এর স্বাদ বাংলা পাতার তুলনায় অনেকটাই ভাল। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই পান চাষে মজুরিও অনেকটাই কম এবং বাজারে এর চাহিদাও বেশি। আবার মিথিলাঞ্চলে পানের ধর্মীয় গুরুত্বও রয়েছে। প্রতিটি পূজা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এটি অপরিহার্য। আবার স্বাস্থ্যের দিক থেকে পান পান পাতাকে অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।
আসলে নিয়মিত পান পাতা চিবিয়ে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। মিথিলাঞ্চলের বাসিন্দা কৃষক মহেশ ভগত জানালেন যে, স্থানীয় পান ‘ধানগিরা’ বা ‘ছোটকাগিরা’ চাষ করা হয়। যা খুবই সুস্বাদু। আর এর মধ্যে তেতো স্বাদ পাওয়া যায় না। বলা যেতে পারে যে, এই জাতের পান পাতার স্বাদ বাংলা পাতার তুলনায় অনেকটাই ভাল এবং ফলনও বেশি হয়। আর বাজারে এর চাহিদাও অনেকটাই বেশি। মিথিলাঞ্চলে পানের ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। আর প্রতিটি পূজা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এটি অপরিহার্য। স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
কারণ পান পাতা চিবিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। মাছ, মাখন এবং পানের জন্য এখন খ্যাতির শিখরে উঠে এসেছে মিথিলাঞ্চল। মাছ ও মাখন উৎপাদনের উন্নতি ঘটছে ঠিকই, কিন্তু পিছিয়ে পড়ছেন পান চাষীরা।কৃষক মহেশ ভগতের আর্জি, মিথিলাঞ্চলকে খ্যাতি দেওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে চান, এমন পান কৃষকদের নিয়েও প্রচার করতে হবে। এই পান চাষ করতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন কৃষকরা। আর এই কৃষকদেরও সরকারের কাছ থেকে অনুদান পাওয়া উচিত।