কৃষক বন্ধু প্রকল্প

Purulia News: বিশেষভাবে সক্ষম মহিলা কৃষকের পাশে দাঁড়াতে মানবিক কর্মকাণ্ড কৃষি অধিকর্তার

পুরুলিয়া: কৃষকদের কৃষি কাজে সহায়তা করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেছে। কৃষি দফতরের উদ্যোগে ২০১৯ সাল থেকে এই প্রকল্প চলে আসছে। এতে উপকৃত হয়েছেন বহু কৃষক। প্রতিবছর এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকেরা সরকারের থেকে টাকা ও শস্য পেয়ে থাকেন।

জেলা পুরুলিয়াতেও এই প্রকল্প যথেষ্ট জনপ্রিয়। সম্প্রতি পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের গারাফুসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা কৃষক কাজলী মাহাতো এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর বয়স ৬৫ বছর। তিনিবিশেষভাবে সক্ষম এক মহিলা কৃষক। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নিয়ম অনুসারে, কৃষক বন্ধু পোর্টালের নাম নথিভুক্ত করার জন্য লাইভ ফটো তুলতে হয় আবেদনকারী কৃষকের। কাজলী মাহাতোর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়। কিন্তু তিনি বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার কারণে পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা তন্ময় সাহা গারাফুসরা গ্রামে নিজে গিয়ে ওই কৃষকের ছবি তোলেন ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পে তাঁর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন।‌

এ বিষয়ে পুরুলিয়ার এক নম্বর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা তন্ময় সাহা বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষি বিভাগের কৃষক বন্ধু নতুন যে প্রকল্প, সেটি খুব জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। যে সমস্ত কৃষকের কাছে জমির সঠিক কাগজপত্র থাকবে, তাঁরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি নির্ধারিত মূল্য পেয়ে থাকেন। একইভাবে পুরুলিয়ার কাজলী মাহাতো কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। ওঁর কাগজ পুরুলিয়া কৃষি দফতরে জমা হয়। আমরা জানতে পারি উনি বিশেষভাবে সক্ষম। তাই কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে আমরা ওঁর বাড়িতে গিয়ে আবেদনের কাজ সম্পন্ন করি। তৎপরতার সঙ্গে ওঁর রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছি। সহায়তা করতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি। আশা করছি, কৃষি দফতরের এবং সরকারি সাহায্য পেলে আগামী দিনে উনি ভাল ভাবে চাষ করতে পারবেন।”

আরও পড়ুন: নারীদের দুর্দশার কথা বলবে পুজো প্যান্ডেল, এবার থিমে বড় চমক কোচবিহারের এই পুজোয়

কৃষকদের পাশে সদা সর্বদাই থাকার চেষ্টা করে কৃষি দফতর। জেলা পুরুলিয়া কৃষি দফতরের পক্ষ থেকেও কৃষকদের সমস্ত দিক থেকে সহযোগিতা করা হয় কৃষি কাজের ক্ষেত্রে। আর এবার কৃষি দফতরের এই উদ্যোগ দেখে খুশি মহিলা কৃষক কাজলী মাহাতো-সহ পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের গারাফুসরা গ্রামের মানুষেরা।

রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আয়তন থাকা কৃষকেরা কৃষিকাজে অনেকখানি সহায়তা পান। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকদের প্রতি বছর দুই কিস্তিতে একর প্রতি ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে অর্থাৎ খারিফ ও রবিশস্যের দুই মরশুম মিলিয়ে কৃষকেরা প্রায় দশ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি