বারুইপুর: বারুইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো এ’বছর ২৭৫ তম বর্ষে পড়ল। রমরমিয়ে চলছিল পুজোর প্রস্তুতি, মাঝে আচমকাই ছন্দপতন। আরজি করে ঘটে যাওয়া নারকীয় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা বাংলা মায় দেশের মতোই মন ভারাক্রান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যদেরও। পুজোয় আনন্দ করার মানসিকতায় বাঁধা পড়েছে। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠার ইচ্ছে যেন জাগছে না মন থেকে। তাঁদের ভাষায়, ” মা আসছেন, পুজো হবে, কিন্তু পুজোর এই ক’টা দিন আগের মতো আর আনন্দে মাততে পারব না বোধহয়।”
বারুইপুরের কল্যাণপুরের বন্দোপাধ্যায় বাড়ির প্রতিটা সদস্যের এক দাবি, ” দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি ও ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে।” তাঁদের কথায়, ” পুজোর আগে দোষীরা শাস্তি পেলে ভারাক্রান্ত মনটা খানিক হালকা হবে অন্তত। আর কবে দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে? দেখতে দেখতে এক মাস গড়িয়ে গেল। গোটা দেশের কোণায় কোনায় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ রব… আমরাও চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার হোক। দোষীরা কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি পাক। তাহলে অন্তত মন কিছুটা হলেও স্বান্তনা পাবে। মা আসছেন। মার কাছেও মনপ্রাণ থেকে প্রার্থণা করব, একজন দোষীও যেন নিস্তার না পায়।”
সুমন সাহা