চুনচু নায়ার নামের সেই বিড়ালের শোকবার্তা

Mumbai Cat News : মৃত্যু পরও বেঁচে! কেরলের নায়ার পরিবারের এই পোষ্যের কাহিনী চোখে জল আনবে

মুম্বই : চুনচু নায়ারকে এখনও ভুলতে পারেনি তার পরিবার৷ তাই মৃত্যুর পর বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও চার পায়ের পোষ্য এখনও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল থেকে গিয়েছেন৷

চুনচু নায়ার আসলে কোনও মানুষ নন৷ নায়ার পরিবারের এই পোষ্য প্রায় ১৮ বছর বেঁচে ছিল৷ শেষমেশ ২০১৮-তে বার্ধক্যজনিত কারণে সে মারা যায়৷ তার জন্য এক বিশেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করেছিল নায়ার পরিবার৷ আর সে কারণেই চুনচু-এর স্মৃতি এখনও পৃথিবীতে বর্তমান৷

আরও পড়ুন : মহিলারা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, নিউজ 18-এর অনুষ্ঠানে বিশেষ বার্তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

আসলে আদরের বেড়ালেন প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে, তার পরিবার একটি শোকবার্তা শেয়ার করেছে, যা ইন্টারনেটে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এই শোকবার্তা৷ এরপর থেকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট দিনে চুনচুর জন্য করা এই স্মৃতিচারণ বারবার নেট দুনিয়ায় প্রকাশ্যে চলে আসে৷ সেটাই যেন নায়ার পরিবারের কাছে চারপেয়ী পোষ্য জীবন্ত রাখছে বছরের পর বছর৷

ঠিক কী আছে সেই শোকবার্তায়? “চুঞ্চু নায়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। মোলুত্তি, তোমাকে খুব মিস করি আমরা!”

আরও পড়ুন : লোন নিয়ে ট্র্যাক্টর কিনেছিলেন কৃষক, কিন্তু কিস্তি পরিশোধ না করায় বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্যাঙ্কের অফিসাররা; তারপর যা দেখলেন…

টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বেড়ালের পোষ্য মা৷ নায়ার পরিবারের সদস্যা বলছিলেন, চুনচুর সাথে বাড়ির বাইরে একটি বাগানে প্রথম দেখা হয়েছিল। তাঁর কথায়, “বেড়ালটি প্রতিদিন ঠিক সন্ধ্যার সময় বাগানে একই জায়গায় বসে থাকত৷ আসলে সে আমার বাড়ির ফেরার জন্য অপেক্ষা করত৷ আমি মাঝে মাঝে তাকে দুধ বা খাবার দিতাম৷ এভাবেই সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।”

চুনচুকে কখনও কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি৷ এরপরও পরিবারের সদস্যদের প্রতি তার আনুগত্য ছিল দেখার মতো৷ সে কখনও তার মালিকের খাবারের প্লেটে থাবা বসায়নি। সে শুধু তাজা মাছ খেতে ভালোবাসত৷

চুনচু, অন্য যে কোনও বিড়ালের মতোই মালিকের গায়ে গায়ে থাকত, এবং অন্য কেউ সেটা করলে সহ্য করতে পারত না৷ “আমার মেয়েরাও কখনও আমাদের কাছে এসে বসলে চুনচু সেটা সহ্য করতে পারত না৷ রেগে যেত৷” জানিয়েছিলেন সেই সদস্যা৷

শুধু পরিবার নয়, পাড়ার লোকেরাও বিড়ালটিকে খুব ভালোবাসত৷ চুনচুর মালিক বলছিলেন, “পাড়ার প্রায় সবাই আমাদের বিড়লটিকে খুব ভালোবসত৷ বার্ধক্যজনিত কারণে ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছিল৷ তখন আমাদের প্রতিবেশীরাও ওকে দেখতে আসত৷ চুনচুর অবস্থা দেখে অনেকে কেঁদেও ফেলত৷”