রাজগড়, মধ্যপ্রদেশ: প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাব ইন্সপেক্টরকেই গাড়ি চাপা দিয়ে খুন। এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে লেডি কনস্টেবল পল্লবী সোলাঙ্কির বিরুদ্ধে। রাজগড়ের বিওড়ায় এই নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, সাব ইন্সপেক্টরকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের পর থানায় গিয়ে দুর্ঘটনার গল্প শুনিয়েছিলেন লেডি কনস্টেবল।
১০ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। দুপুর দেড়টা নাগাদ সাব ইন্সপেক্টর দীপঙ্কর গৌতমকে দেখা করতে বলেছিলেন লেডি কনস্টেবল পল্লবী সোলাঙ্কি। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন তাঁর প্রেমিক করণ ঠাকুর। অভিযোগ, দীপঙ্কর এলে প্রথমে করণ হুমকি দিয়ে বলেন, “আমাদের প্রেমের মাঝে এলে ফল ভাল হবে না।’’
অবস্থা বেগতিক বুঝে দীপঙ্কর আর সেখানে থাকেননি। বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান। পথে সাহায্যের জন্য এক ইন্সপেক্টর বন্ধুকে ফোন করেন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দীপঙ্করকে পিছন থেকে পিষে দেয় মহিলা কনস্টেবল ও তাঁর প্রেমিকের গাড়ি। থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করেন তাঁরা। বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই মিথ্যা ফাঁস হয়ে যায়। দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
করণের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম করণের। তবে ২০২০ সালে অন একজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পল্লবীর। রাগে পল্লবীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করেছিল করণ। এই অপরাধে জেলও হয় তার। যদিও পরে দু’জনের মধ্যে ফের বন্ধুত্ব হয়। পল্লবী লেডি কনস্টেবলের চাকরিতে মন দেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পল্লবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করে করণও।
এদিকে করণ জেলে থাকাকালীন এসআই দীপঙ্করের সঙ্গে পরিচয় হয় পল্লবীর। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপরে প্রেম। যদিও দীপঙ্কর বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী উত্তর প্রদেশের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। রাজগড়ে একাই থাকতেন দীপঙ্কর। ফলে ঘনিষ্ঠতা হতে সময় লাগেনি। দুজনকে একসঙ্গে ঘুরতেও দেখা গিয়েছে।
জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর পল্লবী ও দীপঙ্করের ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পারে করণ। পল্লবীকে পুরনো প্রেমের কথা বলে চলতে থাকে ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলিং’। এক পর্যায়ে দীপঙ্করকে বিওড়ায় দেখা করতে ডাকেন পল্লবী। সেখানে করণ তাঁকে প্রথমে হুমকি দেন। তারপর দুজনে মিলে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করেন।