দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রয়েছে ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল। ভাদ্রমাসের দুটি কোটালকে ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল বলে গণ্য করে থাকেন মৎস্যজীবীরা। এই সময় নদী ও সমুদ্রের জলের স্তর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সময় মাছ ধরা একেবারেই যায়না। জলের স্রোতও থাকে বেশি। ফলে নৌকা এবং ট্রলারগুলিকে এনে বেঁধে রাখতে হয় ঘাটে।
১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রয়েছে পূর্ণিমা। ফলে নতুন করে আতঙ্ক বাড়ছে।নিম্নচাপের জেরে এমনিতেই মাছ ধরতে যেতে পারছিলেন না মৎস্যজীবীরা। বর্তমানে নিম্নচাপ কেটেছে, কিন্তু শিয়রে রয়েছে ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল। ফলে মৎস্যজীবীদের আপাতত বের হওয়া হচ্ছে না। এমন কথা জানিয়েছিল মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে হারাধন ময়রা।
ষাঁড়াষাঁড়ির কোটালের জেরে জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে নদী ও সমুদ্রে। প্রতিবছর ভাদ্রমাসে এই ষাঁড়াষাঁড়ি কোটাল হয়। শুধু মাছ ধরার উপর প্রভাব পড়বে তা নয়। জলের স্তর খুব বাড়লে নদী বাঁধগুলির উপর প্রভাব পড়বে। সেক্ষেত্রে এই মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের। কোটাল নিয়ে এখন আতঙ্কে তারা। ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
নবাব মল্লিক