রাজনৈতিক মানুষেরা সংস্কৃতিতে জড়িয়েছেন অনেক দিন থেকেই। বিশ্বে এবং বঙ্গসংস্কৃতিতে রাজনৈতিক মানুষদের নাট্যে যোগদান এখন বেশ সুগম। এমনই সারণীতে নবতম সংযোজন অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা সভাধিপতি শ্রী নারায়ণ গোস্বামী।
যিনি নিজেই বলেছেন, ‘অশোকনগরে বিধায়ক হয়ে আসার পর নাট্যমুখের অভি চক্রবর্তী’র সঙ্গে পরিচয় আমার জীবনের বন্ধ দরজা খুলে দিয়েছে।’ অর্থাৎ তার থিয়েটারের প্রতি প্রেম, যা আগেই তিনি নাট্যোৎসব সংগঠিত করবার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন, এবার স্বয়ং মঞ্চের স্পটলাইটের নীচে দাঁড়াবার জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
অভিনয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছেন কিংবদন্তি বাঞ্ছারামের চরিত্রে। হ্যাঁ মনোজ মিত্রের ‘সাজানো বাগান’ থেকে এ নাট্য নির্মাণ করছেন প্রথিতযশা পরিচালক অশোকনগর নাট্যমুখের অভি চক্রবর্তী। অভি জানাচ্ছেন, ‘ নারায়ণ গোস্বামীকে কেন্দ্র করে এই থিয়েটারটি দলের ২৫ বছরে মনোজ মিত্রের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ। আমরা তাকে জীবনকৃতি সম্মানও দিয়েছিলাম।’’
অভি আরও জানালেন, ‘‘মোহিত চট্টোপাধ্যায় নভেন্দু সেনের পর ইচ্ছা ছিল মনোজ মিত্রের কোনও নাটক করবার, নারায়ণ দা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় এই ইচ্ছে প্রকাশ করতেই আমরা লাফিয়ে পড়ি। আমরা বলতে এই কাজে দলের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী সংগীতা চক্রবর্তী এবং বর্ষীয়াণ অভিনেতা অরূপ গোস্বামীর নাম আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করব। তাদের উদ্যোগেই এ কাজের সলতে পাকানোর শুরু হয়।’’
এ ছাড়াও আমার অনেক পুরোনো ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষানবীশ অভিনেতা সহ বিশিষ্ট অভিনেতা রাজা গুহও আছেন এই কাজটিতে।’ আলোক প্রক্ষেপণে আছেন সাহেব সান্যাল, আবহ প্রক্ষেপণে স্নেহাশিস দে, মঞ্চ নির্মাণে অরুণ মন্ডল এবং বাকি কাজ দলের ছেলেমেয়েরা মিলিয়ে মিশিয়ে করছে। খুবই আনন্দের সঙ্গে। আগামী ৫ অক্টোবর নিউব্যারাকপুর কৃষ্টিতে এই নাট্যের প্রথম অভিনয়, সন্ধে ৬-৩০এ।