জল ছাড়া হচ্ছে মাইথন থেকে।

Flood Situation: বহু কৃষি জমি জলের তলায়,ডুবছে আস্ত বাড়ি! কোথায় কত ক্ষতির আশঙ্ক?

আসানসোল ও দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : শেষে সত্যি হল আশঙ্কা। পুজোর মুখে বন্যা পরিস্থিতি জেলা জুড়ে। দামোদরের দু’কূল ছাপিয়ে জল ঢুকছে হু হু করে। বিপর্যস্ত জেলার জনজীবন। ডিভিসির ছাড়া জলে রীতিমতো পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। উত্তাল রূপ নিয়েছে দামোদর। মাইথন, পাঞ্চেত, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যেই দামোদরের দু’কূল ছাপিয়ে দামোদর ঘাট সংলগ্ন আসানসোলের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। অন্যদিকে অন্ডালের পরিস্থিতির রীতিমতো ভয়ঙ্কর। আসানসোলের বরাকর ফাঁড়িঘাট, কবরস্থান মহল্লা এলাকায় মঙ্গলবারের পর থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। আবার অন্ডালের মদনপুর, রামপ্রসাদপুর, শ্রীরামপুরে প্রচুর পরিমাণে জল ঢুকছে। ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুরের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন Video: বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে শুধুমাত্র ২ লক্ষ ৪২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে এদিন বুধবারও মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি। যদিও মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমছে। তবে পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। মাইথন থেকে এদিন সবমিলিয়ে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, এদিনও যে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হবে, তা দুর্গাপুর এসে পৌঁছলে আরও ভয়ঙ্কর হবে দুর্গাপুর ব্যারেজ। সব মিলিয়ে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই দামোদরের দু’কূল ছাপিয়ে বহু এলাকায় জল ঢুকেছে। দামোদরের নিম্ন অববাহিকা এলাকায় পরিস্থিতি আরও সংকটজনক।

আরও পড়ুনWeight Loss Before Durga Puja: জেদি মেদ ঝড়বে ঝপঝপ, এই ডাল পুষ্টির খনি, রোজ এক বাটি খেলে মেটিবলিজম বাড়বে, শরীরে আসবে জেল্লা

ইতিমধ্যেই বহু কৃষি জমি জলের তলায়। বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকেও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা। পাশাপাশি সেচ দফতর এবং ডিভিসি কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে জলাধারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জল এসে ঢুকেছে। তাই প্লাবনের আশঙ্কা সত্ত্বেও জল ছাড়া হচ্ছে দামোদরের জলাধারগুলি থেকে।

নয়ন ঘোষ