Tag Archives: DVC

Flood Situation in Bengal: ডিভিসির রিপোর্টে বড় ‘তথ‍্য’ ফাঁস! কমেছে জলধারণের ক্ষমতা, তবে কি দক্ষিণবঙ্গে বন‍্যা?

কলকাতাঃ বারবার জল ছাড়ছে ডিভিসি। ডিভিসির জলাধারগুলির জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়াই  জল ছাড়ার অন্যতম বড় কারণ বলে মত অনেকের। এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ডিভিসির বাঁধগুলিতে পলি জমার ফলে জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া নিয়ে। পলি তুলে জলাধার ­­সংস্কার করা হলে বন্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যেত বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ দামও কম, স্বাস্থ্যসম্মত! তাই প্রতিদিন চাহিদা বাড়ছে এই মাটির তৈরি বয়ামের 

এক্ষেত্রে ডিভিসির সাফল্য ও ব্য‌র্থতা বিশ্লেষণ করে জিওলজির অধ্যাপক ডঃ কৌশিক মুখোপাধ্যায় একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, মাইথন, পাঞ্চেত, তিলাইয়া ও কোনার—ডিভিসির এই চারটি বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা ১৯৫০ এর দশক থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২৩ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। সত্যব্রতবাবু তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, শুরুর সময়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার যদি ডিভিসির আওতায় সাতটি বাঁধই নির্মাণ করত, তাহলে ৩৫৯৬ মিলিয়ন কিউবিক মিটার (এমসিএম) জল ধরে রাখা সম্ভব হতো। কিন্ত চারটি বাঁধ নির্মিত হওয়ায় মোট জলধারণ ক্ষমতা কমে দাঁড়ায় ১৮৬৩ এমসিএম। তবে, জলাধার তৈরির জন্য পরিকল্পনামতো জমি না পাওয়ার কারণে জলধারণ ক্ষমতা বাস্তবে আরও কমে হয় ১২৯১ এমসিএম। প্রকল্প রূপায়ণের আগে যে পরিকল্পনা হয়েছিল, তার মাত্র ৩৬ শতাংশ জলধারণ করতে পারে ডিভিসির বাঁধগুলি।

আরও পড়ুনঃ ফের নিগ্রহের শিকার কলকাতা পুলিশ! নাকা চেকিং-এ দুস্কৃতীদের হাতে আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট

তবে, এই রিপোর্টে জলাধারের পলি তুলে ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগকে সমর্থন করা হয়নি। বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, কারিগরি ও আর্থিক কারণে এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ডিভিসি কর্তৃপক্ষও এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত। কারণ, শুধু মাইথন ও পাঞ্চেতের জলাধারে এই কাজ করতে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। তবে কেন ড্রেজিং করা হয় না। সে বিষয়ে নানা মত উঠে আসছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্য যথাসময়ে ড্রেজিং করা হয়। তবে, আবহাওয়াগত পরিবর্তন যে ভাবে বারবার ঘটে চলেছে তাতে লাগাতার অতিভারী বৃষ্টি হলে জল ছাড়তেই হয়। সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।

DVC: ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি, ভাসবে কোন কোন জেলা? দেখুন

শুক্রবার দুপুর থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। সোমবার অবধি তা চলেছে। মঙ্গলবার বৃষ্টি থেমে রোদের দেখা মিলেছে। পুজোর আগে স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু ডিভিসি জল ছাড়ায় ফের অস্বস্তি। আশঙ্কা, এর ফলে প্লাবিত হতে পারে বহু এলাকা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু করল ডিভিসি। জানা গেছে, নিম্নচাপের বৃষ্টির ফলে ডিভিসির দু’টি জলাধারে জলের চাপ বেড়েছে। মাইথন ও পাঞ্চেত–দুই জলাধার থেকেই জল ছাড়া হচ্ছে। সোমবার সন্ধে থেকেই মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

Flood Situation: বহু কৃষি জমি জলের তলায়,ডুবছে আস্ত বাড়ি! কোথায় কত ক্ষতির আশঙ্ক?

আসানসোল ও দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : শেষে সত্যি হল আশঙ্কা। পুজোর মুখে বন্যা পরিস্থিতি জেলা জুড়ে। দামোদরের দু’কূল ছাপিয়ে জল ঢুকছে হু হু করে। বিপর্যস্ত জেলার জনজীবন। ডিভিসির ছাড়া জলে রীতিমতো পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। উত্তাল রূপ নিয়েছে দামোদর। মাইথন, পাঞ্চেত, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যেই দামোদরের দু’কূল ছাপিয়ে দামোদর ঘাট সংলগ্ন আসানসোলের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। অন্যদিকে অন্ডালের পরিস্থিতির রীতিমতো ভয়ঙ্কর। আসানসোলের বরাকর ফাঁড়িঘাট, কবরস্থান মহল্লা এলাকায় মঙ্গলবারের পর থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। আবার অন্ডালের মদনপুর, রামপ্রসাদপুর, শ্রীরামপুরে প্রচুর পরিমাণে জল ঢুকছে। ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুরের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন Video: বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে শুধুমাত্র ২ লক্ষ ৪২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে এদিন বুধবারও মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি। যদিও মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমছে। তবে পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। মাইথন থেকে এদিন সবমিলিয়ে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, এদিনও যে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হবে, তা দুর্গাপুর এসে পৌঁছলে আরও ভয়ঙ্কর হবে দুর্গাপুর ব্যারেজ। সব মিলিয়ে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই দামোদরের দু’কূল ছাপিয়ে বহু এলাকায় জল ঢুকেছে। দামোদরের নিম্ন অববাহিকা এলাকায় পরিস্থিতি আরও সংকটজনক।

আরও পড়ুনWeight Loss Before Durga Puja: জেদি মেদ ঝড়বে ঝপঝপ, এই ডাল পুষ্টির খনি, রোজ এক বাটি খেলে মেটিবলিজম বাড়বে, শরীরে আসবে জেল্লা

ইতিমধ্যেই বহু কৃষি জমি জলের তলায়। বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকেও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা। পাশাপাশি সেচ দফতর এবং ডিভিসি কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে জলাধারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জল এসে ঢুকেছে। তাই প্লাবনের আশঙ্কা সত্ত্বেও জল ছাড়া হচ্ছে দামোদরের জলাধারগুলি থেকে।

নয়ন ঘোষ

Video: বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

ম্যান মেড বন্যা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত তিন-চারদিন ধরে একই কথা বলে চলেছেন। বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। তিন-চার দিনের নিম্নচাপের বৃষ্টি, তার উপর ডিভিসি-র ছাড়ার ফলে প্লাবিত বহু এলাকা। একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি। আজ, বুধবার, হুগলির বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পুরশুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদীর উপর ব্রিজের অবস্থা খারাপ। এদিন ওই এলাকায় গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখে ফের ডিভিসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্ল্যান করে বাংলাকে ডোবাচ্ছে। ড্রেজিং করে না কেন্দ্র। আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ধরতে পারে ৩৮ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। ৭০ শতাংশ যখন পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, তখন কেন জল ছাড়ে না! বাংলা আর কত বঞ্চনা সহ্য করবে!

DVC water discharge Flood situation: বুধবারও বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ল ডিভিসি! পুজোর আগে বহু জেলায় ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা

কলকাতা: বুধবারও বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ল ডিভিসি। এদিন সকালে দফায় দফায় জল ছাড়া হয় মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে। যার জেরে পুজোর আগে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়।

আরও পড়ুন: আন্ডারপাসের জমা জলে বিলাসবহুল গাড়ি আটকে মৃত্যু হল ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের

বুধবার সকালে ৭টা ১০ নাগাদ মাইথন জলাধার থেকে ৪০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তার পরে আবার সকাল ১০টা ৪৫ নাগাদ মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়। এই সময়ে মাইথন থেকে ২০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় উঠে এল অন্য সন্দীপের নাম! মঙ্গলবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান ইডির

অর্থাৎ দুই জলাধার থেকে বুধবার এখনও পর্যন্ত মোট ৩ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল ডিভিসির তরফে। এই জল ছাড়ার জন্য বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলায়। এর জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। বেশ কিছু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বুধবার আরও কতটা জল ছাড়ে ডিভিসি দেখার।

DVC: ডিভিসি-র ছাড়া জলে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা, ফুঁসছে নদী, ভাঙছে বাঁধ

ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি, জল ছাড়ছে ডিভিসি। ডিভিসি-র জলে বঙ্গে বন্যা, ডিভিসি-র ছাড়া জলে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা, ফুঁসছে নদী, ভাঙছে বাঁধ। ডিভিসির জলে প্লাবিত গোহাট-খানাকুল। জলমগ্ন গোঘাট, খানাকুল, ডেবরা। জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। সোমবার সন্ধে থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১,৪৯,০০০ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা। নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে ডিভিসির দুই জলাধারে জল বাড়ছে। তাই ডিভিসি এই দুই জলাধার মাইথন ও পঞ্চায়েত জল ছাড়া শুরু করে।সোমবার সন্ধ্যে থেকেই মাইথন জলাধার থেকেই জল ছাড়া শুরু হয়। সেটা বারতে বারতে ১ লাখ কিউসেকে দাঁড়ায়।অন্যদিকে, পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার ৪৯০০০ কিউসেক জল ছাড়ার কথা। এই দুই জলাধারের জল দামোদর নদী বেয়ে দুর্গাপুর ব্যরেজে পৌঁছায়। ফলে সেখান থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে।ডিভিসি জানিয়েছে, নিম্নচাপের জন্য আসানসোল-দুর্গাপুরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শানিবার থেকে অনবরত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার জন্য জল ছাড়ার পরিমান বাড়ানো হয়েছে।

চিন্তা বাড়াল ডিভিসি, মাইথন থেকে ছাড়া হল ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক জল

পশ্চিম বর্ধমান : দক্ষিণবঙ্গে সোমবার রাতের পর থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে আবহাওয়ার। কমেছে বৃষ্টির পরিমাণ। কিন্তু চিন্তা বাড়িয়েছে ডিভিসি।

বৃষ্টিপাত কমলেও হুহু করে জল ছাড়া হচ্ছে দামোদরের জলাধারগুলি থেকে। মঙ্গলবার মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। সকাল ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র মাইথন জলাধার থেকেই ১ লক্ষ ৭০ হাজার জল ছাড়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- সমুদ্রে দুর্যোগ, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ… নিখোঁজ ৩ ট্রলার ফিরল ৪ দিন পর!

মাইথন জলাধারের সঙ্গে চিন্তা বাড়িয়েছে পাঞ্চেত জলাধার। মঙ্গলবার পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। উল্লেখ্য, সোমবার বেলার পর থেকেই ধীরে ধীরে এই জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছিল।

মঙ্গলবার জল ছাড়ার সেই মাত্রা রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে সকলের মনে। মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ার ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজে যে আরও ভয়ানক নেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এমনিতেই বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৮৪৫৫০ কিউসেক।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বেড়েছে। তারওপর মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জল দুর্গাপুর ব্যারেজে এসে পৌঁছলে, সেই মাত্রা আরও বাড়বে। ফলে দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় প্লাবনের আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে।

আরও পড়ুন- লোকাল ট্রেনে বিশ্বকর্মা পুজো, নিত্যযাত্রীদের স্লোগানেও কেবলই বিচারের দাবি!

প্রসঙ্গত, বিগত তিন দিনের টানা বৃষ্টিপাতে আসানসোল, দুর্গাপুরের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য বহু কৃষি জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। তার ওপর যেভাবে দামোদরে জলস্তর বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন মানুষ।

বিশেষ করে পুজোর মুখে কৃষকরা ধান জমে ডুবে গেলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যদিকে উৎসবের মরশুমে দামোদরের ভয়ংকর রূপ দেখে চিন্তিত সকলে।

নয়ন ঘোষ

এক ‘কিউসেক’ মানে কতটা জল বলুন তো? লাখ লাখ কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিসি!

টানা বৃষ্টিতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গ। তার মধ্যে ল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। সোমবার সন্ধে থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১,৪৯,০০০ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা।
টানা বৃষ্টিতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গ। তার মধ্যে ল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। সোমবার সন্ধে থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১,৪৯,০০০ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা।
জলাধার মাইথন ও পঞ্চায়েত জল ছাড়া শুরু করে ডিভিসি। ফলে একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বহু এলাকায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জলাধার মাইথন ও পঞ্চায়েত জল ছাড়া শুরু করে ডিভিসি। ফলে একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বহু এলাকায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার সন্ধে থেকেই জল ছাড়া শুরু হয় মাইথন জলাধার থেকে। ১ লাখ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর।
সোমবার সন্ধে থেকেই জল ছাড়া শুরু হয় মাইথন জলাধার থেকে। ১ লাখ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর।
পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার ৪৯০০০ কিউসেক জল ছাড়ার কথা। এই দুই জলাধারের জল দামোদর নদী বেয়ে দুর্গাপুর ব্যরেজে পৌঁছায়। ফলে সেখান থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে।
পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার ৪৯০০০ কিউসেক জল ছাড়ার কথা। এই দুই জলাধারের জল দামোদর নদী বেয়ে দুর্গাপুর ব্যরেজে পৌঁছায়। ফলে সেখান থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে।
গত কয়েকদিনে কিউসেক শব্দটা শোনা গিয়েছে বারবার। এই একটা শব্দ বহু মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বর্ষার এই সময় কিউসেক শব্দটা বেশি শোনা যায়।
গত কয়েকদিনে কিউসেক শব্দটা শোনা গিয়েছে বারবার। এই একটা শব্দ বহু মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বর্ষার এই সময় কিউসেক শব্দটা বেশি শোনা যায়।
কিন্তু জানেন কি, কেউসেক শব্দের অর্থ কী? কীভাবে কিউসেকের মাধ্যমে জলের পরিমাপ করা হয়? এক কিউসেক সমান কত লিটার জল হয় জানেন? বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন দফতরের এক আধিকারিক।
কিন্তু জানেন কি, কেউসেক শব্দের অর্থ কী? কীভাবে কিউসেকের মাধ্যমে জলের পরিমাপ করা হয়? এক কিউসেক সমান কত লিটার জল হয় জানেন? বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন দফতরের এক আধিকারিক।
মূলত তরল পদার্থের প্রবাহ পরিমাপ করা হয় কিউসেকের মাধ্যমে। প্রতি সেকেন্ডে এক ঘন ফুটে মধ্যে দিয়ে কতটা জল বা তরল প্রবাহিত হচ্ছে, তা বুঝতে কিউসেকের ব্যবহার করা হয়।
মূলত তরল পদার্থের প্রবাহ পরিমাপ করা হয় কিউসেকের মাধ্যমে। প্রতি সেকেন্ডে এক ঘন ফুটে মধ্যে দিয়ে কতটা জল বা তরল প্রবাহিত হচ্ছে, তা বুঝতে কিউসেকের ব্যবহার করা হয়।
জলধারগুলি থেকে কত জল ছাড়া হল, তা বুঝতে কেউসেক ব্যবহার করা হয়। ওই অধিকারিক জানিয়েছেন, হিসাব বলছে ১ কিউসেক সমান ২৮.৩১৭ লিটার।
জলধারগুলি থেকে কত জল ছাড়া হল, তা বুঝতে কেউসেক ব্যবহার করা হয়। ওই অধিকারিক জানিয়েছেন, হিসেব বলছে ১ কিউসেক সমান ২৮.৩১৭ লিটার।

Flood Situation in West Bengal: জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি, নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে রাজ্যের একাধিক এলাকা

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: ক্রমাগত জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েই চলেছে ডিভিসি ৷ ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির কারণে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৷ আজ, মঙ্গলবার সকালে পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে যে পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে তাতে পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই টেলিফোনে তিন বার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসি লাগাতার জল ছাড়ার কারণে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ অন্যদিকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন ৷ রাজ্যের তিন মন্ত্রীকে বিশেষ বিশেষ জায়গার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷

আরও পড়ুন– নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে, আবহাওয়ার উন্নতি হবে দক্ষিণবঙ্গে, আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই

নিম্নচাপের জন্য একটানা বৃষ্টি আর ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ডিভিসি-সহ বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে যে কোনও মুহূর্তে আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে খানাকুল ও পুরশুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। বর্ষা এলেই বুক কাঁপে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। বন্যায় শস্য়-সম্পত্তি এবং জীবনহানির ঘটনা যেন প্রতি বছরের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই খানাকুল-২ ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের দাবি, বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান। কিন্তু সেই দাবি মেটা তো দূর, বছর বছর বন্যার ক্ষতেরই অধিকাংশ মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

আরও পড়ুন– DMart এত সস্তায় জিনিসপত্র বিক্রি করে কীভাবে? অবশেষে জানা গেল এর পিছনের আসল রহস্য

২০২১ সালের বন্যার পর এখনও পুরো ব্লক এলাকাই বিধ্বস্ত। বিষয়টি নিয়ে ধান্যগোড়ি, জগৎপুর, মাড়োখানা, নতিবপুর-১ ও ২, পলাশপাই-১ ও ২ অঞ্চলের বাসিন্দারা ফুঁসছেন। নিম্মচাপের ভ্রুকুটি রাজ্যে। অন্যদিকে, জেলায় বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় অবস্থা জটিল হয়েছে। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পর রাজ্যে বন্য়া পরিস্থিতি জটিল হয়েছে আরও। হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা। জলের নীচে একাধিক জমি-বাড়ি। গত দু’দিন ধরে জলের তলায় ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়ক। অধিকাংশ জায়গায় পানীয় জলের সঙ্কট চরমে।