পুরশুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Ghatal master plan: দু’ বছরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, ১৫০০ কোটি খরচ করবে রাজ্যই! ঘোষণা মমতার

ঘাটাল: দু বছরের মধ্যেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ করবে রাজ্য সরকার৷ প্রকল্পের জন্য খরচ হবে দেড় হাজার কোটি টাকা৷ এ দিন ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এ দিন হুগলির পাঁশকুড়া, গোঘাট-আরামবাগের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ডিভিসি ইচ্ছাকৃত ভাবে জল ছাড়ার কারণেই এই ম্যান মেড বন্যা হয়েছে৷ ঘাটালে গিয়েও একই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন:  নার্সের প্রেমে হাবুডুবু রোগীর আত্মীয়, বজবজের হাসপাতালে প্রেমপত্র দিয়ে ফেঁসে গেলেন যুবক

ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের পর ডিভিসি এত বিপুুল পরিমাণ জল কখনও ছাড়েনি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফরাক্কায় ড্রেজিং হয় না, ডিভিসি-তেও করা হয় না৷ ড্রেজিং হলে আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ডিভিসি-তে থাকতে পারত৷ পরশু দিন হাতজোড় করে জল না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম৷ বলেছিলাম আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে, অল্প অল্প করে জল ছাড়ুন৷ কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে৷ আমরা ডিভিসি-র ব্যবহারে স্তম্ভিত৷ বাংলাকে বঞ্চনা করছে, ঝাড়খণ্ড এবং অন্যান্য রাজ্যকে বাঁচাচ্ছে৷ অন্য রাজ্য বাঁচুক তাতে আমার আপত্তি নেই৷ কিন্তু বাংলায় কেন জল ছেড়ে দেওয়া হবে৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২০ বছর ধরে পড়ে আছে৷ ওরা করছে না৷ আমরা এই কাজটা করে দেব৷ দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হবে, আমাদের কাজটা করতে দু বছর সময় লাগবে৷

ঘাটালে প্রত্যেক বছর বর্ষায় বন্যা হওয়াটা এখন কার্যত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বন্যা হবে ধরে নিয়েই প্রত্যেক বছর বর্ষায় প্রস্তুতি নেন ঘাটালবাসী৷ তবে এবার বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে দাবি করছেন ঘাটালের বাসিন্দারাও৷ বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর৷ আজ রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরেই থাকবেন তিনি৷