পশ্চিম মেদিনীপুর: আবহাওয়ার উন্নতি হলেও জল বাড়ছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। উপরের জেলাগুলির একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বানভাসি হয়েছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। জল ঢুকেছে চন্দ্রকোণা, দাসপুর-সহ বিভিন্ন ব্লক এলাকায়। জলের প্রবল স্রোত চলছে রাস্তার উপর দিয়ে। শুধু তাই নয়, একাধিক মাটির ঘর ভেঙে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে ঘরের ছাদে দিন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পুজোর আগে জলযন্ত্রণা অব্যাহত ঘাটালে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মাটির বাড়ি। নাবালক শিশুকে নিয়ে কোনওভাবে প্রাণ বাঁচালেন মা। পুজোর ভাবনা তো দূর, এখন প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া সকলে।
ইতিমধ্যে ঘাটালের বিভিন্ন জায়গায় এনডিআরএফ তদারকি শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাত্রে এক প্রসূতি মহিলাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। শুধু তাই নয়, মহকুমা জুড়ে এখন হাহাকার। একাধিক নদীতে জলস্তর বাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ঘাটালে। এখনও বিপদ সীমার উপরে বইছে জল। ঘাটালের শিলাবতী, ঝুমী নদীর জল বইছে বিপদসীমায়। মূল রাস্তার উপরে চলছে নৌকা। তৎপর রয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সহ প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা পরিদর্শন করেছেন।
বন্যা কবলিত এলাকার ঘুরে দেখেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী। স্বাভাবিকভাবে ক্রমে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। মেডিক্যাল টিম, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী-সহ প্রশাসন সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাত জাগছে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে তৎপর সকলে। তবে কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়? কবে আবার চেনা ছন্দে ফিরবে ঘাটাল? প্রশ্ন প্রত্যেকের।
রঞ্জন চন্দ