বড়নগর গ্রামের চারবাংলা মন্দির

Best Tourism Village: সকলকে টেক্কা পশ্চিমবঙ্গের, কেন্দ্রের দেওয়া পুরস্কার ছিনিয়ে আনল মমতার রাজ্যের এই গ্রাম

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম বিখ্যাত চার বাংলার মন্দির। যা অবস্থিত জিয়াগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত বড়নগর গ্রামে। আর এই গ্রামকেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কৃষি ট্যুরিজমে দেশের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ তকমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। যা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বড়নগর গ্রাম দেশের শিরোপা হতেই খুশি সকলেই। ফলে আরও আগামীদিনে পর্যটকরা আসবেন এই এলাকায় বলেই দাবি সকলের।

 বাংলার অন্যতম বারানসী গ্রাম এবার পাচ্ছে দেশের সেরা ভিলেজ গ্রামের পুরস্কার। জিয়াগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত বড়নগরে টেরাকোটা মন্দির কমপ্লেক্সের অধীনে চার বাংলা মন্দির ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য মন্দির। শিব, কালী, বিষ্ণু প্রভৃতি বিভিন্ন হিন্দু দেবতার মন্দির এখানে রয়েছে। মন্দিরের গায়ে রয়েছে হিন্দু পুরাণের নানা ঘটনা। রানি ভবানী স্বয়ং অষ্টাদশ শতকে এই মন্দিরগুলি তৈরি করিয়ে ছিলেন। তাঁর সময়ে এই বড়নগর গ্রামটি ‘বাংলার বারাণসী’ নামে পরিচিত ছিল। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরী মন্দিরের পরেই আরও এক নতুন পালক। দেশের সেরা পর্যটন ভিলেজ তকমা পাচ্ছে এই গ্রাম।

আরও পড়ুন – Shakib Al Hasan Viral Video: শাকিবের মুখে দড়ি, ব্যাট করার সময় ক্রমাগত চিবোচ্ছেন সেটা, কাণ্ডটা কী, ফাঁস করে দিলেন তাঁরই সতীর্থ

ইতি মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই খবর প্রকাশ করেছেন। মমতা জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ ব্লকের লালবাগ মহকুমার ছোট্ট গ্রাম বড়নগর কেন্দ্রের পর্যটন মন্ত্রকের কৃষি-পর্যটন প্রতিযোগিতায় ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’- শিরোপা পেয়েছে। বড়নগরের এই সাফল্যে আবেগে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আমি এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে মুর্শিদাবাদ জেলার বরানগর গ্রামকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক কৃষি-পর্যটন বিভাগে ‘সেরা পর্যটন গ্রাম ‘ হিসেবে নির্বাচিত করেছে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসে কেন্দ্রের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’-এর পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বাংলার হাতে।

অন্যদিকে গ্রামের বাসিন্দা অনিল মন্ডল জানান, এই গ্রাম যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে অনেকটাই। তবে এই গ্রামে সেরা পর্যটন গ্রাম হতেই আগামী দিনে পর্যটন আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে আরও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হলে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে বলেও জানান সকলেই।

Kaushik Adhikary