নাকাশিপাড়া: নাকাশিপাড়ায় নবম শ্রেণীর ছাত্র খুনের ঘটনায় ঘনিয়েছিল রহস্য। ঝোপের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলেছিল প্রীতম বিশ্বাস নামের ওই কিশোরের। টিউশন পড়তে গিয়েছিল সে সন্ধ্যায়, পরের দিন সকালে দেহ মেলে ছাত্রের। সেই ঘটনার কিনারা হল শনিবার। প্রীতমেরই এক সহপাঠী এবং আরও এক দশম শ্রেনীর ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, এই খুনের ঘটনায়। ঠিক কী হয়েছিল?
জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমের আসক্তিই এই ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে! ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি ফেরত না দেওয়ায় খুন করা হয়েছে প্রীতমকে! নাকাশিপাড়ার পাটিকাবাড়িতে নবম শ্রেণীর ছাত্র প্রীতমকে খুনের ঘটনায় অপর দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠাল নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন মৃত ছাত্রের সহপাঠী। অপরজন দশম শ্রেণীর ছাত্র, তার নাম রাজেশ বিশ্বাস। দু’জনেরই বাড়ি পাটিকাবাড়ি গ্রামে।
আরও পড়ুন- টিউশন পড়তে বেরিয়ে আর ফিরল না ছেলে! ঝোপের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মিলল দেহ!
ধৃত রাজেশ সাবালক হওয়ায় তাকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে নবম শ্রেণীর ছাত্রকে জুভেনাইল আদালাতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজেশের মোবাইলের ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি নিয়ে রেখেছিল প্রীতম। বারবার চাওয়ার পরেও আইডি ফেরত না দেওয়ায় তাকে খুনের পরিকল্পনা করে রাজেশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৃহ শিক্ষকের কাছে থেকে পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পাঠিকাবাড়ির ওই মাঠে যায় প্রীতম। পুলিশের দাবি ওই মাঠটি নির্জন এলাকায় হওয়ায় অল্প বয়সি ছেলেরা সেখানে লুকিয়ে ধূমপান করতে যায়।
আরও পড়ুন- দু’চোখের দৃষ্টি হারানোর পরেও অনায়াসেই সাইকেল সারাই করেন ৭০ বছরের এই বৃদ্ধ
সূত্রের খবর, প্রীতমও নিয়মিত ওই মাঠে যেত, তা আগে থেকেই জানত রাজেশ। সেই মতো সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছিল রাজেশ ও অপর এক নবম শ্রেণীর ছাত্র। প্রীতম সেখানে আসতেই সে আইডি ফেরত চায়, কিন্তু সে দিতে না চাওয়ায় তাকে মারধর করে। এর পর গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় প্রীতমকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলাতেও ছুরি চালায় রাজেশ। এর পর মৃতদেহ ঝোপের আড়ালে ফেলে রেখে চম্পট দেয় তারা। শুক্রবার সকালে প্রীতমের দেহ উদ্ধার হয়।