কথায় বলে, লাখ কথা হলে তবেই একটা বিয়ে সম্পন্ন হয়। আসলে বিয়ের মতো একটা বড় অনুষ্ঠানে ছোট-বড় সব কিছু যাতে ঠিকঠাক থাকে, সেদিকে লক্ষ্য থাকে বর আর কনের বাড়ির সকলেরই। আর বাড়িতে বিয়ে লাগলে তো কথাই নেই। মাসের পর মাস ধরে চলে তার প্রস্তুতি। যাতে বর-কনের গয়না, পোশাক থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়নের সমস্ত খুঁটিনাটি যেন ঠিকঠাক থাকে। এক্ষেত্রে আসলে পান থেকে চুন খসলে যেন সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায়। ফলে বিয়ের কার্ড বা আমন্ত্রণপত্রের ক্ষেত্রেও নজর দেওয়া আবশ্যক।
বিয়ের কার্ড দিয়ে অতিথিদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করার পরেই আমন্ত্রিত লোকজনেরা তা ভাল করে পড়ে নেন। যাতে তাঁরা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন। বিয়ের স্থান-কাল ছাড়াও নানা রকম কিছু লেখা থাকে আমন্ত্রণপত্রে। এমনকী অনেকে তাতে কবিতা বা শায়ারিও লেখা থাকে। তবে সম্প্রতি একটি বিয়ের কার্ড ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। যা পড়তে গেলে অন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন হবে।
ভাইরাল হওয়া বিয়ের কার্ডটি যথেষ্ট পুরনো। বিয়ের কার্ডে ইংরাজি কিংবা বর-কনের মাতৃভাষায় লেখা থাকে। হিন্দি, বাংলা থেকে শুরু করে গুজরাতি কিংবা অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় লেখা হয় বিয়ের কার্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কার্ডটি ভাইরাল হয়েছে, তার উপর হরিয়ানভি ভাষায় লেখা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম পিন্টরেস্টে শৈলেন্দ্র টোকাস নামে এক ব্যক্তি ওই কার্ডটি শেয়ার করেছেন।
মজার বিষয় হল, কার্ডটি ২০১৫ সালের। এর উপর লেখা রয়েছে হরিয়ানভি ভাষায়। বর আর কনের নামের আগে লেখা রয়েছে ‘ছোড়া আর ছোড়ি’। কার্ডের শুরুতেই লেখা রয়েছে – “বড়ে চাও তে ত্যৌন্দা দেরে, সব কাম ছোড় কে আনা হোগা।” এর নীচে লেখা হয়েছে, “বর আর কনের শুভ বিবাহ পাকা হয়েছে। আর আনন্দের এই অনুষ্ঠানে আপনার গোটা পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আর আমাদের গোটা পরিবার জিন্দ জেলার হৈবতপুর গ্রামে আপনাদের আগমনের জন্য অপেক্ষা করে থাকবে।”
আর ভাইরাল ওই কার্ডে সবথেকে মজার বিষয় হল – বিয়ের প্রীতিভোজ সংক্রান্ত তথ্য। যেখানে লেখা হয়েছে – “খানে পে টুট পড়ন কা টেইম, ছড়দম নারণ কা টেইম। অগর আপকো হরিয়ানভি আতি হ্যায় তো ঠিক, বরনা অ্যায়সে কার্ড মিলে তো কিসি তাউ কি মদদ লেনি পড়েগি।”