বীরভূম: এক সময় অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে হাতে খড়ি! সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের নকল করে মন কেড়েছে একাংশ মানুষের।নেটিজেনদের মনে সাড়া ফেলেছিল তাঁর ভিডিও। তবে অনুব্রত মণ্ডল দীর্ঘ প্রায় দুই বছরের৷ বেশি সময় থেকে তিহাড়ে জেলবন্দি। কবিগুরুর লালমাটি জেলা বীরভূম এই লাল মাটির জেলার লালমাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন।বোলপুরে আজ থেকে দুই বছর আগে পর্যন্ত ছবিটা ছিল অন্যরকম। অনুব্রত মণ্ডলের নাম শুনলেই বাঘে গরুতে জল খেত এক ঘাটে।আর সেই অনুব্রত মণ্ডলের নকল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাম তৈরি করেছিলেন সাজেদ খান।
তবে প্রায় দুই বছর ধরে অনুব্রত মণ্ডল এলাকায় নেই।আর যেহেতু অনুব্রত মণ্ডল নেই তাই তাঁর নিত্য নতুন জনপ্রিয় ডায়লগ আর শোনা যায় না। এর ফলে সেই ডায়লগ এর নকল করা হয়ে হয়ে উঠেনি সাজিদ খানের।তাই এতদিন তার ভরসা ছিল মুকুল,মদন। অনুব্রত মণ্ডলের ‘গুড় বাতাসা’ থেকে শুরু করে মদন মিত্রের ‘কচি আম’।এই সমস্ত জনপ্রিয় ডায়লগের নকল করে নেটিজেনদের মন কেড়েছিল সাজেদ খান। একসময় সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই সাজিদ খানের এই সমস্ত ভিডিও সাধারণ মানুষের নজর কাড়তেন।
অনুব্রত মণ্ডলের নকল করে যে সাজিদ খান একসময় সোশ্যাল মিডিয়ার শিরোনামে উঠেছিলেন সেই সাজিদ আমাদের জানান “গুরু(অনুব্রত মণ্ডল)আবার ফিরছে।আবার গুরুর ডায়লগ নিয়ে খেলা হবে।” প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ১০ আগস্ট হাজিরা এড়ানোর পর ১১ আগস্ট সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় দুই বছর ধরে তিহাড়ে বন্দি থাকার পর শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি।এবার ইডির মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।আর তাতেই খুশির হাওয়া তৃণমূল ভবনে।
আর এই নিয়ে সাজিদ জানান অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি তিনি কুণাল ঘোষ, মদন মিত্র বিভিন্ন রাজনৈতিকদের নিয়ে তিনি নকল করেছেন।তবে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে সফলতা অর্জন করেছেন তিনি৷ বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে অন্য কোন নেতা-নেত্রীকে নিয়ে এই ভিডিও করে সেই সফলতা অর্জন করতে পারেননি তিনি।তাই আবার অনুব্রত মণ্ডল ফিরে আসলে তাঁকে নিয়ে ভিডিও বানাবেন সাজিদ।তবে সাজিদের কথায় এই অনুব্রত হবে এক অন্য মেজাজের।অন্য লুকে হয়তো ফিরবেন অনুব্রত।ওজন আগের থেকে কম হবে।থাকবে হালকা পাকা পাকা দাড়ি সঙ্গে চুলও হয়তো পাকা থাকবে।তবে সব মিলিয়ে এখন অনুব্রত মণ্ডলের ঘর ফেরার অপেক্ষায় তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী থেকে শুরু করে তৃণমূল ভবন।
সৌভিক রায়