দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিনই বাকি নিজেদের বাদ্যযন্ত্র ঝালিয়ে নিচ্ছে বাদ্যকাররা। ঢাকি পাড়া গুলিতে এখন চরম ব্যস্ততার ছবি উঠে আসছে। উমা আসছে সপরিবারে বাপের বাড়িতে। দুর্গাপুজো মানে ঢাকের তাল আর ধুনুচি নাচ। পুজোর এই পাঁচটা দিনের অপেক্ষা করে থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢাকি পাড়ার বাদ্যকাররা। সারা বছর বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পুজোর পাঁচটা দিন ডাক পড়ে তাদের। পরিবার স্বজনকে ছেড়ে লক্ষ্মী লাভের আশায় দিন রাজ্য এবং শহরতরিতে পাড়ি দেয় ঢাকিরা। এখন তাই পুজো মাত করার জন্য মহড়া চালাচ্ছেন ।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে, তারমধ্যেই দুঃস্থ শিশুদের পাশে দাঁড়াতে বিরাটের বড় পদক্ষেপ
এবার পুজো কেউ কেউ পুজোর আড়ম্বর কমিয়ে দিতে চান, আরজিকর কাণ্ডের জেরে। ঢাকিরা বলছেন,পুজো প্রাঙ্গণে ঢাকের বোল জোরালো হোক। যাতে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভশক্তির জয়গানের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে।পুজোর দিকে তাকিয়েই স্বপ্ন বোনেন ঢাকিরা। ঠিকমতো বায়না এলে সংসারের অভাব কাটে। স্ত্রী-সন্তানের মুখে হাসি। জয়নগরে দক্ষিণ বারাসাতের রুইদাস পাড়াতে এখন যেন বাদ্যকারদের নাওয়া খাওয়া সময় নেই। না খাওয়া ভুলে এখন ব্যস্ত তাদের বাদ্যযন্ত্র প্রস্তুত করতে।
আরও পড়ুন: কংক্রিটের রাস্তা কোথায়? চলছে নৌকা, সারা বছর জলের উপর দিয়েই যাতায়াত! কোন পথের এই হাল?
সারা বছর তারা বিভিন্ন চাষবাস এবং অন্যান্য কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও। পুজোর এই পাঁচটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। ইতিমধ্যে ই শহরতলীর বিভিন্ন দুর্গো উৎসব কমিটির সদস্যরা এসে তাদেরকে বায়না দিয়ে দিয়েছে। এখন বাদ্যযন্ত্র প্রস্তুতির কাজে লেগে পড়েছে। এই পাড়াতে প্রায় অনেকগুলি বাদ্যকার পরিবার রয়েছে। এখান থেকে বহু ঢাকিরা ভিন রাজ্যেও পাড়ি দেয় পুজোর পাঁচটা দিন। পুজোর পাঁচটা দিন পরিবারের ছেড়ে থাকলেও পাঁচ দিন পর পরিবারের ফিরে এসে পরিবারের সঙ্গে আনন্দের মেতে উঠে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সুমন সাহা