বাহরাইচ: দোকানের সামনে ঘুরে বেড়িয়েছে লেপার্ড৷ রাতে কেউ টেরও পায়নি৷ কিন্তু সকালে সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি দেখতেই মোটামুটি আত্মারাম খাঁচা ছাড়াও গ্রামবাসীর৷
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে৷ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় হিংস্র পশুদের আক্রমণে এমনিতেই সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে৷ প্রায় রোজই কোনও না কোনও জেলার কেউ না কেউ জন্তুদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন৷ আতঙ্কে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কার্যত ভুলতে বসেছেন সবাই৷ এবার নতুন করে চিতাবাঘের আতঙ্ক৷
কিছুদিন আগেও বাহরাইচের মানুষের আতঙ্কের নাম ছিল মানুষ খেকো নেকড়ে৷ এবার তার থেকেও ভয়ঙ্কর পশু ঘুরে বেড়াচ্ছে গ্রামে৷ জানা গিয়েছে, গ্রামের কুকুরগুলি অস্বাভাবিকভাবে ডাকছিল রাত্রিবেলা। তখনও আন্দাজ করা গিয়েছিল, এমন কিছু ঢুকেছে গ্রামে যে কুকুরগুলি ভয় পেয়ে গিয়েছে৷ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যখন ক্যামেরার ফুটেজ সামনে আসে তখন সবাই অবাক। ক্যামেরার একটি ফুটেজে একটি লেপার্ডকে দেখা গেছে। ভিডিয়ো ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি৷ ভিডিওটি বাহরাইচের মহসি এলাকার খয়েরি ঘাট থানার। এরপর থেকে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। তবে আহত-নিহতের কোনও খবর নেই৷
আরও পড়ুন : মারাত্মক বিষধর এই সাপ কামড়ালে আপনি টেরও পাবেন না, অজান্তেই এক ছোবলে হয়ে যাবেন ছবি!
বাহরাইচের মহসি এলাকার রাজাপুর কালা গ্রামে অবস্থিত এক দোকানের মালিক দীপক৷ রাতে কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ শুনতে পান। সকালে দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো দেখে তিনি অবাক হয়ে যান৷ চিতাবাঘটি তাঁর দোকানের ঠিক বাইরেই ঘুরছিল। এরপর তিনি আর দেরি না করে স্থানীয় পুলিশ ও বন বিভাগকে খবর দেন৷
চিতাবাঘের নাম শুনলেই মানুষ ভয় পায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কে বাহরাইচের ডিএফও অজিত প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, যে জায়গা থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেই অঞ্চলে একটি চিতাবাঘ যে ছিল সেটা তাঁরা জানতেন। তিনি বলছিলেন, ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। লেপার্ডটির অবস্থান জানতে এবার প্রয়োজনে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও মনিটরিং করা হবে।
ক্যামেরায় চিতাবাঘ দেখা যাওয়ার পর ডিএফও বলেন, লেপার্ড দেখা মানেই যে সেটিকে আটক করতে হবে এমন কোনও ব্যাপার নেই। কারণ তাদেরও বাঁচতে দিতে হবে৷ যতক্ষণ না তারা নিজের দেখে আক্রমণাত্মক হয়ে কাউকে আক্রমণ করছে, ততক্ষণ কিছু করার প্রয়োজন নেই৷ উদ্ধারের দরকারো নেই। বরং তাদের রক্ষা করতে হবে। গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘাস, আখ কাটাতে বা মাঠে শৌচাগারের জন্য একা না যাওয়াই ভালো৷