শিলিগুড়ি: সাত সকালে নিজের ২৫দিনের কন্যা সন্তানকে কুয়োয় ফেলে দিল মা। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি ৩৮ নং ওয়ার্ডের সুকান্ত নগর অটো স্ট্যান্ডের কাছে ।জানা গিয়েছে, সকালে বাচ্চাটি বাবার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল সেই সময় বাচ্চাটিকে কুয়োতে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয় একজন ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এর পর খবর দেওয়া হয় আশীঘর ফাঁড়ির পুলিশ ও দমকল বিভাগকে।
ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পুলিশ ও দমকল পৌঁছানোর আগে উদ্ধারের চেষ্টা চালায় স্থানীয় কিছু যুবক। কিন্তু কিছুতেই উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। আরও গভীরে চলে যায় সদ্যোজাত শিশুটি।
তৎক্ষণাৎ দমকল বিভাগের কর্মীরা পৌঁছে কুয়োর জল শুকিয়ে সিঁড়ি দিয়ে বাচ্চাটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। দমকলকর্মীরা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা এই জায়গায় এসে পড়ি। তারপর পাম্পের সাহায্যে কুয়োর জল শুকিয়ে সিঁড়ি দিয়ে কুয়োয় নেমে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল দত্ত বলেন, ‘আমি অফিসেই বসে ছিলাম হঠাৎ শুনি যে নয়ন চক্রবর্তীর ২৫ দিনের শিশু কন্যাকে ওর নিজের মা কুয়োতে ফেলে দিয়েছে। আমি তৎক্ষণাৎ ছুটে এসেছি।’
দীর্ঘদিন ধরেই ওই মহিলা তার বাচ্চাকে দুধে ফেলে দেবে বলে ভয় দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ। মৃত শিশুর র বাবা বাচ্চাকে আগলে রাখতেন সবসময়। সকাল বেলায় বাবার সঙ্গেই ঘুমোচ্ছিল ওই শিশুকন্যা। কিন্তু তাঁর অগোচরে শিশুকে নিয়ে কুয়াতে ফেলে দেয় তার মা। বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সেই মহিলা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন তাই হয়তো এরকম কাজ করেছে । তবে এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে নাকি তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Anirban Roy