পশ্চিম মেদিনীপুর: বন্যা পরিস্থিতিতে বাড়ছে সাপের ভয়। বেশ কিছু জায়গায় বাড়িতেও ঢুকে যাচ্ছে সাপ। সাপ থেকে রক্ষা পেতে একাধিক পরামর্শ দিলেন এক সর্পবন্ধু। পরিবেশের জন্য সাপ বাঁচিয়ে রাখার আহ্বানও দিলেন তিনি।বাড়িতে সাপ ঢুকলে কী করণীয় কিংবা সাপের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কী কী করা উচিত তা সবিস্তারে তুলে ধরলেন তিনি। শুধু তাই নয় বাড়িতে সাপ প্রবেশ করলে দ্রুত বন দফতর বা সাপ উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ঝোপ ঝাড় জলের তলায়। স্বাভাবিকভাবে বন্যা পরিস্থিতিতে লোকালয়ে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। ফলত, কখনও সাধারণ মানুষের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করছে বিষাক্ত সাপ। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। বন্যা কবলিত এলাকায় প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে একাধিক বিষধর সাপ। তবে সাপ থেকে বাঁচতে একাধিক উপায় জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সর্পবন্ধু তথা সাপ উদ্ধারকারী দেবরাজ চক্রবর্তী।বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতিতে বাড়িঘর পরিষ্কার রাখা, বিভিন্ন জায়গায় আগাছা জমিয়ে না রাখা, এমনকি ঘরের চারিদিকে ব্লিচিং, ফিনাইল এই জাতীয় জীবাণুনাশক ছড়িয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে কার্বলিক এসিড ব্যবহারে তিনি বাধা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন কার্বলিক অ্যাসিড বাড়িতে দিলে ঘরের মধ্যেই বাসা বাঁধতে পারে সাপ।প্রসঙ্গত মেদিনীপুর সংলগ্ন এলাকায় বিষাক্ত সাপ হিসেবে গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, কালাচ সহ একাধিক সাপ দেখা যায়। শুধু তাই নয়, একাধিক বিষমুক্ত সাপ রয়েছে। বিষমুক্ত একাধিক সাপ বেশিরভাগ সময় ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।স্বাভাবিকভাবে মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছেন দেবরাজ। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় টর্চ লাইট বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে সামান্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে বিষাক্ত সাপ থেকে সচেতন থাকা যাবে অনায়াসে। Input- Ranjan Chanda
