দেশ, পাঁচমিশালি Indian Railway: সম্পূর্ণ এসি, প্রতি কিমির ভাড়া ১ টাকারও কম! দেশের ‘সবচেয়ে সস্তা ট্রেন’ কোনটি বলুন তো? গতিতে টেক্কা দেয় রাজধানী, বন্দে ভারতকেও Gallery September 24, 2024 Bangla Digital Desk দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ‘মেরুদণ্ড’ ভারতীয় রেল। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের অন্যতম সেরা মাধ্যম ট্রেন। বিমানের চেয়ে ট্রেনের খরচ অনেক কম, তাই বেশিরভাগ মানুষের দূরে যাতায়াতের জন্য ভরসা রেল। কম খরচে যাতায়াতের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ বেছে নেন ট্রেন যাত্রা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন ভারতীয় রেলের গর্ব। সারা বছরই এইসব ট্রেনের টিকিট পূর্ণ থাকে। হোলি, দীপাবলির মতো উত্সব হলে তো কথাই নেই। তবে এসব ট্রেনের পরিষেবাও যেমন নামজাদা ট্রেনগুলির টিকিটের দামও যথেষ্ট বেশি। কিন্তু দেশের কোন ট্রেনে যাতায়াতের খরচ সবচেয়ে কম জানেন? দেশে বিলাসবহুল ট্রেনের অভাব নেই। তবে সেই ট্রেনগুলির ভাড়াও যথেষ্ট বেশি। তবে এই ট্রেনের টিকিটের দাম নির্ভর করে একাধিক বিষয়ের উপর। ট্রেনের গতি, পরিষেবার মতো বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ট্রেনের টিকিটের দাম। আবার ট্রেনের টিকিটের দাম সবসময় স্থির থাকে না। কখনও দাম বাড়ে, কখনও কমে। কিন্তু দেশের একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট সবচেয়ে সস্তা। যদিও সার্ভিস বা গতির দিক থেকে মোটেই কম যায় না এই ট্রেন। বন্দে ভারত, রাজধানীর মতো নামজাদা এক্সপ্রেসকেও দিতে পারে টক্কর। সম্পূর্ণ এসি এই ট্রেনে যাতায়াতের খরচ একেবারে কম। এসি কোচের এই ট্রেনের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৬৮ পয়সা। এই ভাড়ায় আপনি এসি কোচে যেকোনও জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন। ভারতের সবচেয়ে সস্তা ট্রেনের খেতাব পাওয়া এই ট্রেনের নাম ‘গরীব রথ’। সম্পূর্ণ এসি কোচ বিশিষ্ট এই ট্রেনটিকে বলা হয় ‘গরীবের রাজধানী এক্সপ্রেস’। মানুষকে কম টাকায় এসি কোচে ভ্রমণের আনন্দ দিতেই এই ট্রেন চালু করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে, এই ট্রেনটি প্রথম বিহারের সহরসা থেকে অমৃতসর পর্যন্ত চালানো হয়েছিল। আজ এই ট্রেনটি বিভিন্ন শহরের মধ্যে ২৬ টি রুটে চলাচল করে। এটি দিল্লি-মুম্বাই, দিল্লি-চেন্নাই, পাটনা-কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটে চলে। সারা বছরই এই ট্রেনে ভিড় থাকে। নিশ্চিত টিকিট পাওয়া কঠিন। যদিও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি ঘণ্টায় মাত্র ১৬০ কিমি, কিন্তু বর্তমানে বন্দে ভারত ট্রেনের গড় গতি ঘণ্টায় ৬৬ থেকে ৯৬ কিলোমিটার। যেখানে গরীব রথ ট্রেন ঘণ্টায় গড়ে ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গতিতে চলে। চেন্নাই থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিনের মধ্যে চলে একটি গরিব রথ এক্সপ্রেস। এটিই দেশের দীর্ঘতম দূরত্ব অতিক্রম করে। এই ট্রেনটি চেন্নাই থেকে দিল্লির দূরত্ব ২৯:২৫ ঘণ্টায় অতিক্রম করে। এই ট্রেনের ভাড়া ১৫০০ টাকা। রাজধানী এক্সপ্রেস এই রুটে ২৯:২৫ ঘন্টা সময় নেয়। অর্থাত্ মোটামুটি একই সময় লাগায়। যেখানে রাজধানী এক্সপ্রেসের থার্ড এসির ভাড়া ৪২১০ টাকা। মানে গরীব রথের প্রায় তিনগুণ ভাড়া।