মাটির তলায় চলে গিয়েছে আস্ত কুয়ো।

West Bardhaman News: চোখের পলকে মাটির তলায় চলে গেল আস্ত কুয়ো! খনি অঞ্চলে ধসের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে

অন্ডাল, পশ্চিম বর্ধমান: খনি অঞ্চলে ধসের আতঙ্ক এখন যেন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বৃষ্টি হলেই যেখানে সেখানে যখন তখন নামছে ধস। কখনও চোখের পলকে মাটির তলায় চলে যাচ্ছে আস্ত কুয়ো, কখনও আবার ঘরবাড়িতে বিশাল আকারের ফাটল দেখা দিচ্ছে। আবার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যে মাঠে খেলা করে, তার সামনে দেখা দিচ্ছে বিশাল গর্ত।

আরও পড়ুনঃ মাছ ধরতে গিয়ে জালে উঠল যা! দেখেই থরথর করে কাঁপতে শুরু করল জেলেরা

অন্ডালের কয়লা খনি অঞ্চল। এখানেই রয়েছে একাধিক গ্রাম। আর সেই সব গ্রামগুলিতেই বিভিন্ন সময়ে ধসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সারা বছরই ছোট বড় ধসের ঘটনা সামনে আসে। তবে বর্ষাকাল এবং ভারী বৃষ্টিপাত হলেই সেই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এলাকার মানুষজনকে। তাঁরা বলছেন, এইভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে বসবাস করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠছে। কপাল খারাপ থাকলে যখন তখন বড় বিপদ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অন্ডাল, রানীগঞ্জ সহ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কয়লা উত্তোলন হয়। কিন্তু কয়লা উত্তোলনের পর সেই জায়গাগুলি ভালভাবে ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে এই সমস্ত জায়গাগুলির মাটির নিচে আলগা হয়ে থাকছে। যার ফলে বিভিন্ন সময় ধসের ঘটনা সামনে আসছে। তারা আরও মনে করছেন, যেহেতু মাটি আলগা হয়ে থাকছে, তার ফলে বৃষ্টি হলেই ধসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। মাটির তলায় চলে যাচ্ছে কুয়ো। বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এলাকায়।

কিন্তু স্থানীয়রা? তাঁরা বলছেন, বিভিন্ন সময় ধসের ঘটনা সামনে আসে। কখনও খবর পেয়ে ইসিএলের আধিকারিকরা আসেন। কখনও আবার তাঁরা খবর নিতেও আসেন না। ধসের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন বারবার কয়লা উত্তোলক সংস্থাগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু সেই অর্থে ফলপ্রসু কিছু হয়নি। বারবার তাঁদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হলেও, আদতে তার বাস্তবায়ন হয়েছে খুবই কম। স্থানীয়দের বলছেন, যেভাবে বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে, তাতে বড় বিপদের আশঙ্কা বেশি। তাই দ্রুত তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।

নয়ন ঘোষ