মাত্র ৯ হাজার টাকায় বাইক! গুটখা খাইয়ে কৃষককে সর্বশান্ত করল প্রতারকরা

Fraud Case : মাত্র ৯ হাজার টাকায় বাইক! গুটখা খাইয়ে কৃষককে সর্বশান্ত করল প্রতারকরা

ছাতারপুর : অতি লোভ ভালো নয়৷ চারপাশে এখন গিজগিজ করছে প্রতারকেদর দল৷ অনলাইন বা অফলাইন, বিন্দুমাত্র অসতর্ক হলেই বড় ক্ষতি হবে আপনার৷ এমনই এক ঘটনার শিকার মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরের এক কৃষক৷ মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁর৷

জানা গিয়েছে, আর পাঁচদিনের মতোই নিজের মোষগুলি নিয়ে বাড়ির কাছেই এক মাঠে চরাতে গিয়েছিলেন সেই কৃষক৷ সেই সময় কিছুটা দূরে গাছের নীচে বসেছিল বেশ কয়েকজন ব্যক্তি৷ ভাইয়ারাম পাল নামের ওই কৃষককে দেখেই ডাকতে থাকে তারা৷ এমনকি একজন এগিয়ে এসে তার হাতে একটা পুরষ্কারও তুলে দেয়৷

আরও পড়ুন : ব্রেকফাস্টে প্রতিদিন মেটাতে হত বসের শখ! প্রতিবাদ করতেই চাকরি গেল মহিলা কর্মচারীর

এরপরই প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন ভাইয়ারাম৷ তিনি আরও পুরষ্কারের লোভে সেই অপরিচিত গ্রুপের কাছে চলে যান৷ প্রতারকরা তাঁকে আরও নিজের মনে করাতে গুটখা দেয়৷ এরপর তারা বোঝাতে থাকে কী ভাবে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, ওয়াশিংমেশিনের মতো পুরষ্কার অতি সহজে পেতে পারেন ভাইয়ারাম৷ মধ্যপ্রদেশের কৃষক তো তখন দারুণ খুশি৷

পুরো ব্যাপারটাই আগে থেকে ছক কষা ছিল৷ ভাইয়ারামের সামনেই একজন বলে, কী ভাবে সে বাক্স খুলে ওয়াশিংমেশিন পেয়েছে৷ এরপর ওই কৃষককেও একটি বাক্স দেখানো হয়৷ বলা হয়, সেটার মধ্যে বাইক আছে৷ এবং মাত্র ৯০০০ টাকা দিলেই বাইকটি তিনি পেয়ে যাবেন৷

আরও পড়ুন : ১২ স্ত্রী, ১০২ সন্তান নিয়ে বিশাল পরিবার বৃদ্ধের! জেলা ঘোষণা করার দাবী নেটিজনদের

এত কম টাকায় বাইক! মাথা ঠিক রাখতে পারেননি কৃষক৷ দৌড়ে বাড়ি গিয়ে টাকা এনে দিয়ে দেন অপরিচিত ব্যক্তিদের৷ তারা তখনই সেখান থেকে চলে যায়৷ এরপর বাক্স খুলতেই কৃষকের মাথায় হাত৷ দেখেন, বাক্সের মধ্যে কয়েকটি জামা আর মাদুর ছাড়া কিছুই নেই৷ তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন তখনই বুঝে যান ভাইয়ারাম৷

এরপরই তিনি ভেঙে পড়েন৷ বারবার বলতে থাকেন, তাঁর লোভই কাল হল৷ এই নয় হাজার টাকা তিনি রেখেছিলেন রবি শস্য কিনে চাষ করবেন বলে৷ গোটা ঘটনায় এতটাই হতাশা গ্রাস করে এই কৃষককে যে, তিনি দুদিন ঘুমোতেই পারেননি৷ মুখে তোলেননি খাবার৷ শিক্ষা পেয়ে তিনি এবার বাকি কৃষকদেরও সতর্ক থাকতে বলেছেন৷ বারবার জানিয়েছেন, তাঁর মতো ভুল যেন কেউ না করে৷

প্রতারণার শিকার হয়ে মোটা টাকা খুইয়ে ফেলা৷ এমন ঘটনা নতুন নয়৷ এখন ফ্রডের ব্যাপারটা অনলাইন-অফলাইন দুই জায়গাতেই হয়৷ সামান্য অসতর্কতা মানেই আপনার টাকা গেল৷ কিছু বছর আগে তেলেঙ্গানার এক কৃষকের ছেলেও প্রতারণার শিকার হয়ে হারিয়েছিলেন সর্বস্ব৷ অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে ৯২ লাখ টাকা চোট হয়ে গিয়েছিল পরিবারের৷