সেলফ স্টার্ট বেশি ব্যবহার করলে ইঞ্জিন দ্রুত খারাপ হয়ে যায়? এমন দাবি কি সত্যি?

কলকাতা: কিক স্টার্ট উঠে গেছে বললেই চলে। সব বাইকেই এখন থাকে সেলফ স্টার্ট টেকনোলজি। এতে চালকদেরও সুবিধা। খাটতে হয় না। বাটন প্রেস করলেই বাইক চলতে শুরু করে। ইদানীং অনেক বাইকে আবার সাইলেন্ট স্টার্ট সিস্টেমও এসে গিয়েছে। কোনও শব্দ ছাড়াই ইঞ্জিন চালু হয়ে যায়।

অনেকে বলেন, বেশি সেলফ স্টার্ট ব্যবহার করলে ইঞ্জিন দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। সত্যিই কী তাই? টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেলফ স্টার্টের প্রভাব সরাসরি ব্যাটারির অবস্থার উপর নির্ভর করে। ব্যাটারি যদি ভাল থাকে, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তাহলে যত খুশি সেলফ স্টার্ট করা হোক না কেন, গাড়িতে কোনও প্রভাব পড়বে না।

আরও পড়ুন- অর্ধেকের কম দামে পুজোতে বাড়িতে নিয়ে আসুন নতুন টিভি, ফ্রিজ, মিলছে বিপুল ছাড়

বাইক দীর্ঘদিন না চালালে ব্যাটারি ঠিক মতো কাজ করে না। এটা খুব স্বাভাবিক। কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়। এই পরিস্থিতিতে সেলফ স্টার্টের মাধ্যমে ইঞ্জিন চালু করা শক্ত কাজ।

যাইহোক, সেলফ স্টার্ট সহজ এবং নিরাপদ প্রক্রিয়া। কোনও অতিরিক্ত চাপ ছাড়াই ইগনিশন সিস্টেম সক্রিয় হয়। ফলে ইঞ্জিন চলতে শুরু করে। এভাবে ইঞ্জিন চালু করলে দূষণ কম হয়। তেল কম পোড়ে। সোজা কথায়, সব দিক থেকেই লাভজনক।

সেলফ স্টার্ট প্রযুক্তিতে চালকদের সুবিধা হয়েছে। বাইক চালু করতে কাঠখড় পোড়াতে হয় না। যাঁরা নতুন বাইক চালানো শিখেছেন, তাঁদের কাছে এই প্রযুক্তি আশীর্বাদস্বরূপ।

তবে সেলফ স্টার্টের ফায়দা তুলতে চাইলে বাইকের নিয়মিত সার্ভিসিং এবং টেকনিক্যাল মেইনটেনেন্স করা জরুরি। টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালককে নিয়মিত ব্যাটারির অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কোনও ত্রুটি দেখা দিলে সময়মতো মেরামত করা উচিত।

আরও পড়ুন- ১৬ হাজার টাকার মধ্যেই iPhone 15! কীভাবে-কোথায় বিস্তারিত জানুন

সেলফ স্টার্ট ব্যবহার করলে ইঞ্জিন দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে, এমন দাবির কোনও যৌক্তিকতা নেই। বরং সঠিক ব্যবহার এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সেলফ স্টার্ট ব্যবহার করলে ইঞ্জিনের আয়ু বাড়তে পারে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সার্ভিসিং এবং বাইকের সব পার্টস ঠিক আছে কি না দেখা জরুরি। তবেই সেলফ স্টার্টের সুবিধা পাওয়া যাবে।