ফের বিশ্বসেরার তালিকায়...পরপর ৩ বার! বাংলার গর্ব মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তনী

West Medinipur News: ফের বিশ্বসেরার তালিকায়…পরপর ৩ বার! বাংলার গর্ব মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তনী

পশ্চিম মেদিনীপুর: স্কুলজীবন থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক। এক-দু’বার নয়, তাঁর সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্ভাবনী আবিষ্কার সারা পৃথিবীর সেরা দশের মধ্যে ফের জায়গা করে দিয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা সুমন্ত, ফের বিশ্বসেরা। বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় তৃতীয়বার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের সুমন্ত সাহু।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিচারে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় উঠে এসেছেন এই মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তনী ছাত্র। এক দু’বার নয় তিনবার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম দাঁতনের বাসিন্দা তথা মেদিনীপুর কলেজ ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সুমন্ত সাহু।

আরও পড়ুন: পুজোর মাসে তৈরি হবে ৪ রাজযোগ! ৩ রাশির কপালে সুখের সময়, ধন-সম্পদ উপচে পড়বে

বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ, উদ্ভাবনী আবিষ্কার এবং গবেষণামূলক বিষয়ের ভিত্তিতে এইচ ইনডেক্স, এইচ-এম ইনডেক্স-সহ বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ধৃতির ভিত্তিতে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দুই শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রস্তুত করে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার পৃথিবী বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি।

এবার সেই তালিকায় পরপর ২০২১, ২০২৩ এবং ২০২৪-এ জায়গা করে নিলেন আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তনী সুমন্ত সাহু। সুমন্ত মূলত সুপার ক্যাপাসিটর নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে চলেছেন। বিদেশের একটি কলেজে অধ্যাপনা করছেন।

আরও পড়ুন: দেখলেই নাক সিঁটকান! এই সবজি খেয়েই ৮৮ তেও ফিট ধর্মেন্দ্র, দামও একেবারে কম, নাম জানলে অবাক হবেন

সম্প্রতি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিমধ্যে সুমন্তর প্রায় ১০০ টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনটি বই সম্পাদনা এবং চারটি বইয়ের চ্যাপ্টার লিখেছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী।

২০২১ সালে ইয়েংনাম ইউনিভার্সিটি অনুষ্ঠিত ২১তম ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোসিয়াম অন ক্লিন টেকনোলজিতে সুমন্তর একটি গবেষণাপত্র বেস্ট পোস্টার অ্যাওয়ার্ড পায়।

এছাড়াও সুপার ক্যাপাসিটর ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানী সুমন্ত সাহু। তার গবেষণা এবং আবিষ্কার দেশের কাছে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।বর্তমান দিনে ইলেকট্রিক গাড়ি বা পরিবেশবান্ধব ব্যাটারী চালিত গাড়ির ভূমিকা অপরিসীম।

আরও পড়ুন: নিজের কানেই পাবেন হার্ট অ‍্যাটাকের খবর! চিনে নিন সঙ্কেত, হৃদরোগকে রুখে দিন ‘হামলার’ আগেই

তবে কম খরচে যাতে আরও দীর্ঘ পথ চালান যেতে পারে সেই বিষয়ে ব্যবহৃত ব্যাটারির সুপার ক্যাপাসিটর নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন তিনি। সুমন্তর কথায়, গতানুগতিক ক্যাপাসিটরের তুলনায় সুপার ক্যাপাসিটর অনেক দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে। যা গাড়ির গতি এবং ব্যাটারির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

ইতিমধ্যেই ২০২১ এবং ২০২৩ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দুই শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।এবারেও সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার উত্তর রায়বাড় এলাকার বাসিন্দা সুমন্ত সাহু। প্রাথমিক জীবন কেটেছে দাঁতনে। সুমন্তর বাবা শ্রীকান্ত সাহু ছিলেন শিক্ষক। অবশ্য মেদিনীপুরের গর্ব সুমন্ত সাহু এখন সারাদেশ নয় সারা পৃথিবীর গর্ব।

রঞ্জন চন্দ