দুধ খাওয়া শুধুমাত্র শিশুদের জন্য নয়, সব বয়সের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ দুধ শুধুমাত্র আপনার হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে না, এটি অন্যান্য অনেক উপায়ে স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।দুধের গুণাগুণ, উপকারিতা এবং স্বাদ আরও বেড়ে যায় যখন আপনি এতে কিছু প্রাকৃতিক জিনিস মিশিয়ে পান করেন। এই উপাদানগুলো দুধে মেশালে দুধের স্বাদও বেড়ে যায়। এই ৬টি জিনিস দুধে মিশিয়ে নিলে উপকার মিলবে দ্বিগুণ।খুশবু শর্মা, ডায়েট ফর ডিলাইট ক্লিনিক নয়ডার ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান জানিয়েছেন, হলুদের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়। কারকিউমিন যৌগ, প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, প্রদাহ কমায়। আর্থ্রাইটিস বা হাড় সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যথা কমাতে পারে। হলুদের দুধ পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।খুব কম লোকই জানেন যে গ্রেট করা আদা অর্থাৎ শুকনো আদার গুঁড়ো দুধে মিশিয়ে খাওয়া ভীষণ উপকারী। এতে বদহজম, বমি বমি ভাব, বমির মতো সমস্যা হয় না। আদার প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রভাব রয়েছে, যা বমি এবং বদহজমের লক্ষণগুলি কমাতে পারে। এই দুধ পান করা ঠান্ডা ফ্লুতে বেশি উপকারী বলে প্রমাণিত হয়।অনেকেই চিনির পরিবর্তে মধু মিশিয়ে দুধ খান। যারা এটা করেন তারা অনেক সুবিধা পান। মধু একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মধু গলা ব্যথা ও কফ কমাতে কার্যকরী। মধু এবং দুধ খেতে শুধু সুস্বাদুই নয়, রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পান করলেও ভাল ঘুম হয়।দুধে এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এটিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও দারুচিনি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। ডায়াবেটিসে এক গ্লাস দারুচিনি দুধ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।দুধে জাফরান মিশিয়ে পান করলে আপনার মেজাজ ভাল হবে। জাফরান দুধ হতাশা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলি কমায়। এটি একটি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের মতোও কাজ করে। খারাপ মেজাজ উন্নত করে।শুকনো ফল বাদামে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। একটি মিক্সারে দুধের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে পান করলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল হয়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। হার্ট সুস্থ থাকে।
